সিলেটে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক নেতা নিহত
সিলেটের গোলাপগঞ্জে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে জসিম আহমদ
(৩২) নামের এক নেতা নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির
‘নিখোঁজ’ নেতা এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবির পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র
করে এ সংঘর্ষ হয়। এতে নয়জন আহত হন।
জসিমের নিহত হওয়ার খবর পেয়ে তাঁর এলাকার লোকজন সড়ক অবরোধ করেন। উভয় পক্ষে
উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
নিহত জসিম উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি। তাঁর বাড়ি গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ী এলাকায়। তিনি পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী।
দলীয় ও পুলিশ সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, বিএনপির নেতা এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে রানাপিং বাজারের খলাগ্রামে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উপজেলা কমিটি কয়েক দিন আগে একটি সমাবেশ আহ্বান করে। এ সমাবেশ নিয়ে গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের দুটি পক্ষের সৃষ্টি হয়। একটি পক্ষ গতকাল সকালে একই স্থানে একই সময়ে পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিকেল চারটার দিকে গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের ব্যানারে সমাবেশ অভিমুখে দুই পক্ষ মিছিল করে রওনা করে। চৌমুহনীর কাছে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের মিছিলেই দা, রামদা, রডের পাইপসহ নানা রকম দেশীয় অস্ত্র ছিল। সংঘর্ষের শুরুতেই আহত হন জসিম। তাঁর মাথায় রডের আঘাত লাগে। পরে উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদ ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা শাহী আহমদ চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমদ, পৌর ছাত্রদলের রিপন আহমদ চৌধুরী, জাহেদ আহমদ, সুমন আহমদসহ নয়জন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, ছাত্রদলের দুই পক্ষে সংঘর্ষে জসিম আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সন্ধ্যায় জসিমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। দুই পক্ষে সংঘর্ষ চলাকালে একটি খাবারের (ফাস্ট ফুড) দোকানে লুটপাট চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা প্রায় এক মাস আগে ওই সমাবেশ আহ্বান করে প্রচার চালান। গতকাল সকাল থেকে ছাত্রদলের মধ্যে দুটি পক্ষ সৃষ্টি হয়ে সমাবেশের পক্ষে-বিপক্ষে প্রচার শুরু করে। বিষয়টি বিএনপি নেতাদের জানিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি তত্পরতা সংঘর্ষে রূপ পায়।
জসিম দুই বছর আগে বিয়ে করেন। তাঁর এক বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তিনি ইলিয়াসের সন্ধান দাবিতে যুবদলের ডাকা সমাবেশের পক্ষে ছিলেন বলে তাঁর ওপর শুরুতেই হামলা করা হয় বলে জানান যুবদলের নেতা মামুনুর।
সড়ক অবরোধ: সংঘর্ষে জসিমের নিহত হওয়ার খবরে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে ফুলবাড়ীসহ আশপাশ এলাকার মানুষ সিলেট-গোলাপগঞ্জ-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখেন। অবরোধস্থলে পুুলিশ মোতায়েন করা হয়। অবরোধকারীরা জসিমের খুনিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এ প্রসঙ্গে গোলাপগঞ্জ থানার ওসি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সংঘর্ষে ব্যবহূত পাঁচটি রামদা উদ্ধার করেছে। জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
নিহত জসিম উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি। তাঁর বাড়ি গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ী এলাকায়। তিনি পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী।
দলীয় ও পুলিশ সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, বিএনপির নেতা এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে রানাপিং বাজারের খলাগ্রামে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উপজেলা কমিটি কয়েক দিন আগে একটি সমাবেশ আহ্বান করে। এ সমাবেশ নিয়ে গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের দুটি পক্ষের সৃষ্টি হয়। একটি পক্ষ গতকাল সকালে একই স্থানে একই সময়ে পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিকেল চারটার দিকে গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের ব্যানারে সমাবেশ অভিমুখে দুই পক্ষ মিছিল করে রওনা করে। চৌমুহনীর কাছে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের মিছিলেই দা, রামদা, রডের পাইপসহ নানা রকম দেশীয় অস্ত্র ছিল। সংঘর্ষের শুরুতেই আহত হন জসিম। তাঁর মাথায় রডের আঘাত লাগে। পরে উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদ ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা শাহী আহমদ চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমদ, পৌর ছাত্রদলের রিপন আহমদ চৌধুরী, জাহেদ আহমদ, সুমন আহমদসহ নয়জন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, ছাত্রদলের দুই পক্ষে সংঘর্ষে জসিম আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সন্ধ্যায় জসিমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। দুই পক্ষে সংঘর্ষ চলাকালে একটি খাবারের (ফাস্ট ফুড) দোকানে লুটপাট চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা প্রায় এক মাস আগে ওই সমাবেশ আহ্বান করে প্রচার চালান। গতকাল সকাল থেকে ছাত্রদলের মধ্যে দুটি পক্ষ সৃষ্টি হয়ে সমাবেশের পক্ষে-বিপক্ষে প্রচার শুরু করে। বিষয়টি বিএনপি নেতাদের জানিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি তত্পরতা সংঘর্ষে রূপ পায়।
জসিম দুই বছর আগে বিয়ে করেন। তাঁর এক বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তিনি ইলিয়াসের সন্ধান দাবিতে যুবদলের ডাকা সমাবেশের পক্ষে ছিলেন বলে তাঁর ওপর শুরুতেই হামলা করা হয় বলে জানান যুবদলের নেতা মামুনুর।
সড়ক অবরোধ: সংঘর্ষে জসিমের নিহত হওয়ার খবরে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে ফুলবাড়ীসহ আশপাশ এলাকার মানুষ সিলেট-গোলাপগঞ্জ-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখেন। অবরোধস্থলে পুুলিশ মোতায়েন করা হয়। অবরোধকারীরা জসিমের খুনিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এ প্রসঙ্গে গোলাপগঞ্জ থানার ওসি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সংঘর্ষে ব্যবহূত পাঁচটি রামদা উদ্ধার করেছে। জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
No comments