শর্ত পূরণ ছাড়া ঋণ মিলবে না
দুর্নীতির বিষয়ে স্বচ্ছ ও পূর্ণাঙ্গ
তদন্তের শর্ত পূরণ না হলে কোনো ঋণ মিলবে না- পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের
বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের এ অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছেন সংস্থার প্রেসিডেন্ট
জিম ইয়ং কিম।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে
এক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, কিছু শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পদ্মা
সেতু প্রকল্পের জন্য প্রতিশ্রুত ১২০ কোটি ডলারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত
জানাবে না বিশ্বব্যাংক। জিম বলেন, 'যতক্ষণ পর্যন্ত এ প্রকল্পে দুর্নীতির
অভিযোগের স্বচ্ছ ও পূর্ণাঙ্গ ফৌজদারি তদন্ত নিশ্চিত না হবে, ততক্ষণ
পর্যন্ত আমরা এ প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারব না।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ও অর্থনীতির জন্য এ সেতু কতটা
গুরুত্বপূর্ণ, তা জেনেই আমি এ কথা বলছি।'
ওয়াশিংটন ডিসিতে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে 'অ্যান্টি-করাপশন এফোর্টস ইন অ্যা গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট : অ্যা কমিটমেন্ট টু অ্যাক্ট' শীর্ষক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে বিশ্বব্যাংক প্রধান এসব কথা বলেন।
সে সময় পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিষয়ে জিম আরো বলেন, 'কখনো কখনো সব কিছু ঠিকমতো হয় না এবং এ কারণে বিশ্বব্যাংককে শক্ত অবস্থান নিতে হয়। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছে। দুর্নীতির ব্যাপারে প্রমাণ থাকার পরও কর্তৃপক্ষের অপ্রতুল উদ্যোগের কারণে গত বছর জুন মাসে আমাদের ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করতে হয়েছিল। এ বিষয়ে আমি আগাম কোনো কথা বলতে চাই না। কারণ আইনগত বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।'
তিনি আরো বলেন, দুর্নীতির ব্যাপারে আপসহীনতার অর্থ এই নয় যে বিশ্বব্যাংক বড় বড় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের ৩০টি প্রকল্পে সংস্থাটির ৪৩০ কোটি ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্বব্যাংক প্রধান জিম ইয়ং কিম এমন এক সময় পদ্মা সেতুর বিষয়ে বক্তব্য দিলেন যখন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী তাঁর সঙ্গে দেখা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সরকার পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিকল্প অর্থায়নের সম্ভাব্য সব পথই খোলা রেখেছে। অবশ্য বিশ্বব্যাংকের 'চ্যাপ্টার ক্লোজড' বলে এক মন্ত্রীর মন্তব্যের পরও সংস্থাটির কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার আশা ছাড়েনি সরকার। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্বব্যাংককে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পার হলেও সংস্থাটির সঙ্গে ঠিকই যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাদের আরো সময় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নের চিন্তাও চলছে। বিদেশি অন্যান্য প্রস্তাবও হাতে রেখেছে সরকার। মালয়েশিয়ার পাশাপাশি চীনের আগ্রহও সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।
আবার বিশ্বব্যাংককে বাদ দিয়ে অন্য তিন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংককে (আইডিবি) এ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, সে চেষ্টাও চালানো হচ্ছে।
সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে কোন অর্থবছরে কত টাকা প্রয়োজন হবে, তা জানাতে সেতু বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর এমন নির্দেশনা পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সেতু বিভাগ। সেতু বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া না গেলে নিজস্ব অর্থায়নে কাজ শুরুর পুরো প্রক্রিয়া চলবে। এতে সংশোধিত এডিপিতে পদ্মা সেতুর জন্য বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তুতি রাখতে কমিশনকে বলা হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়টি গত বছরের ৯ জুলাই মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পদ্মা সেতু প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা চলছে।' তবে পদ্মা সেতুর জন্য সংশোধিত এডিপিতে বাড়তি অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব এখনো পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
ওয়াশিংটন ডিসিতে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে 'অ্যান্টি-করাপশন এফোর্টস ইন অ্যা গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট : অ্যা কমিটমেন্ট টু অ্যাক্ট' শীর্ষক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে বিশ্বব্যাংক প্রধান এসব কথা বলেন।
সে সময় পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিষয়ে জিম আরো বলেন, 'কখনো কখনো সব কিছু ঠিকমতো হয় না এবং এ কারণে বিশ্বব্যাংককে শক্ত অবস্থান নিতে হয়। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছে। দুর্নীতির ব্যাপারে প্রমাণ থাকার পরও কর্তৃপক্ষের অপ্রতুল উদ্যোগের কারণে গত বছর জুন মাসে আমাদের ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করতে হয়েছিল। এ বিষয়ে আমি আগাম কোনো কথা বলতে চাই না। কারণ আইনগত বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।'
তিনি আরো বলেন, দুর্নীতির ব্যাপারে আপসহীনতার অর্থ এই নয় যে বিশ্বব্যাংক বড় বড় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের ৩০টি প্রকল্পে সংস্থাটির ৪৩০ কোটি ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্বব্যাংক প্রধান জিম ইয়ং কিম এমন এক সময় পদ্মা সেতুর বিষয়ে বক্তব্য দিলেন যখন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী তাঁর সঙ্গে দেখা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সরকার পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিকল্প অর্থায়নের সম্ভাব্য সব পথই খোলা রেখেছে। অবশ্য বিশ্বব্যাংকের 'চ্যাপ্টার ক্লোজড' বলে এক মন্ত্রীর মন্তব্যের পরও সংস্থাটির কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার আশা ছাড়েনি সরকার। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্বব্যাংককে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পার হলেও সংস্থাটির সঙ্গে ঠিকই যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাদের আরো সময় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নের চিন্তাও চলছে। বিদেশি অন্যান্য প্রস্তাবও হাতে রেখেছে সরকার। মালয়েশিয়ার পাশাপাশি চীনের আগ্রহও সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।
আবার বিশ্বব্যাংককে বাদ দিয়ে অন্য তিন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংককে (আইডিবি) এ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, সে চেষ্টাও চালানো হচ্ছে।
সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে কোন অর্থবছরে কত টাকা প্রয়োজন হবে, তা জানাতে সেতু বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর এমন নির্দেশনা পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সেতু বিভাগ। সেতু বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া না গেলে নিজস্ব অর্থায়নে কাজ শুরুর পুরো প্রক্রিয়া চলবে। এতে সংশোধিত এডিপিতে পদ্মা সেতুর জন্য বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তুতি রাখতে কমিশনকে বলা হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়টি গত বছরের ৯ জুলাই মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পদ্মা সেতু প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা চলছে।' তবে পদ্মা সেতুর জন্য সংশোধিত এডিপিতে বাড়তি অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব এখনো পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
No comments