সিদ্ধান্ত নিতে হবে ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে- উদ্বেগজনক পরিস্থিতি
আন্দোলনের নামে গত কয়েক দিনে জামায়াতে
ইসলামী ও এর সমর্থক ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির সারা দেশে যে নৈরাজ্য ও
সন্ত্রাস চালাচ্ছে, তাতে জনমনে গভীর উদ্বেগ লক্ষ করা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার হরতাল পালনের ডাক দিয়েই জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা রাস্তায়
তাণ্ডব শুরু করে। গতকাল হরতাল চলাকালে তারা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন
স্থানে গাড়িতে আগুন দেয় ও ভাঙচুর করে। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।
জামায়াত-শিবির যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বাতিল এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে আটক নেতাদের মুক্তির যে আবদার জানিয়েছে, তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। বিচারের বিষয়টি পুরোপুরি আইন-আদালতের। বিচারটি হচ্ছে ১৯৭৩ সালে প্রণীত আন্তর্জাতিক অপরাধ (আদালত) আইনের অধীনে। জামায়াতে ইসলামী এই আদালত বাতিলের বিরুদ্ধে এখন রাস্তায় ভাঙচুর ও জ্বালাও-পোড়াও করলেও গত জোট সরকারের শরিক থাকাকালে তারা কিন্তু আইনটি বাতিল করেনি। এর অর্থ, আইনটি তাদের কাছে তখন গ্রহণযোগ্য ছিল। এ আইনে উচ্চ আদালতে আপিলসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রয়েছে।
আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও জামায়াতে ইসলামীর এই অন্যায় কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। একদিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, সরকার দেশকে নৈরাজ্য ও গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, অন্যদিকে তাঁরাই জামায়াতে ইসলামীর সহিংস তৎপরতায় ইন্ধন জোগাচ্ছেন। তাঁদের এই নীতি কেবল স্ববিরোধীই নয়, আত্মঘাতীও। বিএনপি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধাদের দল বলে দাবি করে। তাহলে কীভাবে তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের কথিত আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাল?
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো যে আন্দোলন করে যাচ্ছে, তার পক্ষে-বিপক্ষে মত আছে। সরকার ও বিরোধী দলের উচিত, যত দ্রুত সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটির সমাধান করা। গায়ের জোরে কিছু চাপিয়ে দেওয়া কিংবা আদায় করার চেষ্টা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য যে সুফল বয়ে আনবে না, তা উভয় পক্ষকে অনুধাবন করতে হবে।
কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনের সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি যুক্ত করা যাবে না। যুদ্ধাপরাধের বিচার সমগ্র জাতির দাবি। বিচার-প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে জামায়াত-শিবির এটিকে যে ভন্ডুল করতে চাইছে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এর জবাবে সরকারেরও এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে জামায়াত-শিবিরের দুরভিসন্ধি চরিতার্থ হয়। এই জটিল ও কঠিন পরিস্থিতিতে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। সরকারকে বুঝতে হবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরই। তারা কঠোর হাতে সব বেআইনি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ করবে। কিন্তু এ ব্যাপারে
দলীয় কর্মী নামানো ঠিক হবে না। কেননা এক পক্ষ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার চেষ্টা চালালে অন্য পক্ষও সেই সুযোগ নিতে চাইবে। তখন দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, যা কারোরই কাম্য নয়।
জামায়াত-শিবির যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বাতিল এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে আটক নেতাদের মুক্তির যে আবদার জানিয়েছে, তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। বিচারের বিষয়টি পুরোপুরি আইন-আদালতের। বিচারটি হচ্ছে ১৯৭৩ সালে প্রণীত আন্তর্জাতিক অপরাধ (আদালত) আইনের অধীনে। জামায়াতে ইসলামী এই আদালত বাতিলের বিরুদ্ধে এখন রাস্তায় ভাঙচুর ও জ্বালাও-পোড়াও করলেও গত জোট সরকারের শরিক থাকাকালে তারা কিন্তু আইনটি বাতিল করেনি। এর অর্থ, আইনটি তাদের কাছে তখন গ্রহণযোগ্য ছিল। এ আইনে উচ্চ আদালতে আপিলসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রয়েছে।
আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও জামায়াতে ইসলামীর এই অন্যায় কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। একদিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, সরকার দেশকে নৈরাজ্য ও গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, অন্যদিকে তাঁরাই জামায়াতে ইসলামীর সহিংস তৎপরতায় ইন্ধন জোগাচ্ছেন। তাঁদের এই নীতি কেবল স্ববিরোধীই নয়, আত্মঘাতীও। বিএনপি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধাদের দল বলে দাবি করে। তাহলে কীভাবে তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের কথিত আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাল?
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো যে আন্দোলন করে যাচ্ছে, তার পক্ষে-বিপক্ষে মত আছে। সরকার ও বিরোধী দলের উচিত, যত দ্রুত সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটির সমাধান করা। গায়ের জোরে কিছু চাপিয়ে দেওয়া কিংবা আদায় করার চেষ্টা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য যে সুফল বয়ে আনবে না, তা উভয় পক্ষকে অনুধাবন করতে হবে।
কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনের সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি যুক্ত করা যাবে না। যুদ্ধাপরাধের বিচার সমগ্র জাতির দাবি। বিচার-প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে জামায়াত-শিবির এটিকে যে ভন্ডুল করতে চাইছে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এর জবাবে সরকারেরও এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে জামায়াত-শিবিরের দুরভিসন্ধি চরিতার্থ হয়। এই জটিল ও কঠিন পরিস্থিতিতে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। সরকারকে বুঝতে হবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরই। তারা কঠোর হাতে সব বেআইনি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ করবে। কিন্তু এ ব্যাপারে
দলীয় কর্মী নামানো ঠিক হবে না। কেননা এক পক্ষ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার চেষ্টা চালালে অন্য পক্ষও সেই সুযোগ নিতে চাইবে। তখন দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, যা কারোরই কাম্য নয়।
No comments