প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে শিকসমাজ হতাশ- চাকরি জাতীয়করণে ৪০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজনের তথ্য সঠিক নয়
জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী এমপিওভুক্তি এবং শিক্ষক
আন্দোলন সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে শিকসমাজ খুবই ব্যথিত ও হতাশ
হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্য মো:
সেলিম ভূঁইয়া এবং নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট
সভাপতি অধ্যক্ষ মো: এশারত আলীসহ অন্যান্য শিক্ষক সংগঠনের নেতারা।
গতকাল
বৃহস্পতিবার পৃথক বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষকেরা পেশার দাবিতেই
রাজপথে নেমেছেন। সরকারের কাছে দাবি পেশ করা ছাড়াও কয়েক দফায় স্মারকলিপি
পেশের পরও কোনো ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি নিতে বাধ্য
হয়েছেন শিক্ষকেরা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিশ্চয়ই তথ্য ছিল যে, শিক্ষকেরা
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাস বা তাদের তদারকি বাদ দিয়ে ধর্মঘটে যাননি।
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষক ধর্মঘটের বাইরেই রাখা হয়েছিল।
বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা জোটের সমর্থনে শিক্ষকেরা ধর্মঘটে আসেননি। শিক্ষকেরা তাদের দাবির ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই ধর্মঘট করেছেন এবং তাতে সফল হয়েছেন। কারণ সব শিক্ষক সংগঠনই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে এবং এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগেই তা আপাতত স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে শিক্ষকেরা কাসে ফিরে গেছেন।
চাকরি জাতীয়করণের জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন বলে যে বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তা শিকসমাজে গ্রহণযোগ্য নয় বলে বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা উল্লেখ করে বলেন, এটি শিামন্ত্রীর আগের বক্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি। এ বক্তব্য শিক্ষকেরা আগেই প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, বর্তমানে বেসরকারি শিক কর্মচারীদের মূল বেতনের শতভাগের জন্য যেখানে প্রায় ৫১৪৫ কোটি টাকা দরকার, সেখানে শিক কর্মচারীদের বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা, বার্ষিক প্রবৃদ্ধির জন্য কিভাবে ৪০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজনÑ সেটির পরিষ্কার ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
চাকরি জাতীয়করণের মূল প্রস্তাবক শিক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্য মো: সেলিম ভূঁইয়া বিবৃতিতে বলেন, চাকরি জাতীয়করণের জন্য সরকারের কাছ থেকে কোনো অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ বর্তমান বরাদ্দের অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হবে না। সরকার শিক্ষকদের জন্য যে টাকা দেয় তার সাথে প্রায় দুই হাজার পাঁচ শ’ কোটি টাকা হলেই চাকরি জাতীয়করণ সম্ভব। সরকার প্রায় এক কোটি ৩১ লাখ ছাত্রছাত্রীর বেতন, সেশন চার্জ, রিজার্ভ ফান্ড, সাধারণ তহবিল ও অন্যান্য উৎস থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাবে জাতীয়করণের ঘোষণা ও তা বাস্তবায়ন করলেই। চাকরি জাতীয়করণের পরও সরকারের এক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে এবং তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যুক্ত হবে। তিনি বলেন, এ প্রস্তাব জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের স্মারকলিপি আকারে দেয়া হয়েছে। ইতঃপূর্বে প্রধানমন্ত্রী ও শিামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি আকারে দেয়া হয়েছে। এ প্রস্তাব নিয়ে সরকারকে শিক্ষকদের সাথে আলোচনায় বসার আহ্বানও জানান তিনি।
নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট সভাপতি অধ্যক্ষ মো: এশারত আলী পৃথক বিবৃতিতে বলেন, এমপিও করতে ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন বলে কথা বলা হচ্ছেÑ তা সঠিক ও তথ্যভিত্তিক নয়। সব স্বীকৃতপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এমপিও করতে লাগবে আট থেকে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার মতো। প্রধানমন্ত্রীকে তার আশপাশের লোকজন বিভ্রান্ত করছেন। এতে শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ শিক সমিতির সভাপতি কাজী আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ কলেজ শিক সমিতির সভাপতি প্রিন্সিপাল রেজাউল করিম ও মহাসচিব চৌধুরী মুগীসউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ অধ্য সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্য মো: শামসুল হক ও মহাসচিব ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক সমিতির মহাসচিব মাওলানা মো: দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ প্রধান শিক সমিতির সভাপতি মো: ইব্রাহীম ও মহাসচিব মো: জাকির হোসেন, বাংলাদেশ সহকারী অধ্যাপক সমিতির আহ্বায়ক মো: আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ প্রভাষক সমিতির আহ্বায়ক অধ্যাপক তফাজ্জল হোসেন বাদল ও সদস্যসচিব রকিবউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক সমিতির সভাপতি অধ্য মো: জাকির হোসেন ও মহাসচিব অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আকাশ, বাংলাদেশ কারিগরি শিক সমিতির আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান, বাংলাদেশ সহকারী শিক সমিতির আহ্বায়ক সামছুল হক ফারুক ও সদস্যসচিব নাজির আহমাদ, শিাপ্রতিষ্ঠান কর্মচারী ঐক্য ফেডারেশনের সভাপতি কামরুজ্জামান মিজান, মহাসচিব আজিজুল হক প্রমুখ।
বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা জোটের সমর্থনে শিক্ষকেরা ধর্মঘটে আসেননি। শিক্ষকেরা তাদের দাবির ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই ধর্মঘট করেছেন এবং তাতে সফল হয়েছেন। কারণ সব শিক্ষক সংগঠনই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে এবং এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগেই তা আপাতত স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে শিক্ষকেরা কাসে ফিরে গেছেন।
চাকরি জাতীয়করণের জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন বলে যে বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তা শিকসমাজে গ্রহণযোগ্য নয় বলে বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা উল্লেখ করে বলেন, এটি শিামন্ত্রীর আগের বক্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি। এ বক্তব্য শিক্ষকেরা আগেই প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, বর্তমানে বেসরকারি শিক কর্মচারীদের মূল বেতনের শতভাগের জন্য যেখানে প্রায় ৫১৪৫ কোটি টাকা দরকার, সেখানে শিক কর্মচারীদের বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা, বার্ষিক প্রবৃদ্ধির জন্য কিভাবে ৪০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজনÑ সেটির পরিষ্কার ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
চাকরি জাতীয়করণের মূল প্রস্তাবক শিক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্য মো: সেলিম ভূঁইয়া বিবৃতিতে বলেন, চাকরি জাতীয়করণের জন্য সরকারের কাছ থেকে কোনো অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ বর্তমান বরাদ্দের অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হবে না। সরকার শিক্ষকদের জন্য যে টাকা দেয় তার সাথে প্রায় দুই হাজার পাঁচ শ’ কোটি টাকা হলেই চাকরি জাতীয়করণ সম্ভব। সরকার প্রায় এক কোটি ৩১ লাখ ছাত্রছাত্রীর বেতন, সেশন চার্জ, রিজার্ভ ফান্ড, সাধারণ তহবিল ও অন্যান্য উৎস থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাবে জাতীয়করণের ঘোষণা ও তা বাস্তবায়ন করলেই। চাকরি জাতীয়করণের পরও সরকারের এক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে এবং তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যুক্ত হবে। তিনি বলেন, এ প্রস্তাব জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের স্মারকলিপি আকারে দেয়া হয়েছে। ইতঃপূর্বে প্রধানমন্ত্রী ও শিামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি আকারে দেয়া হয়েছে। এ প্রস্তাব নিয়ে সরকারকে শিক্ষকদের সাথে আলোচনায় বসার আহ্বানও জানান তিনি।
নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট সভাপতি অধ্যক্ষ মো: এশারত আলী পৃথক বিবৃতিতে বলেন, এমপিও করতে ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন বলে কথা বলা হচ্ছেÑ তা সঠিক ও তথ্যভিত্তিক নয়। সব স্বীকৃতপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এমপিও করতে লাগবে আট থেকে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার মতো। প্রধানমন্ত্রীকে তার আশপাশের লোকজন বিভ্রান্ত করছেন। এতে শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ শিক সমিতির সভাপতি কাজী আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ কলেজ শিক সমিতির সভাপতি প্রিন্সিপাল রেজাউল করিম ও মহাসচিব চৌধুরী মুগীসউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ অধ্য সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্য মো: শামসুল হক ও মহাসচিব ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক সমিতির মহাসচিব মাওলানা মো: দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ প্রধান শিক সমিতির সভাপতি মো: ইব্রাহীম ও মহাসচিব মো: জাকির হোসেন, বাংলাদেশ সহকারী অধ্যাপক সমিতির আহ্বায়ক মো: আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ প্রভাষক সমিতির আহ্বায়ক অধ্যাপক তফাজ্জল হোসেন বাদল ও সদস্যসচিব রকিবউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক সমিতির সভাপতি অধ্য মো: জাকির হোসেন ও মহাসচিব অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আকাশ, বাংলাদেশ কারিগরি শিক সমিতির আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান, বাংলাদেশ সহকারী শিক সমিতির আহ্বায়ক সামছুল হক ফারুক ও সদস্যসচিব নাজির আহমাদ, শিাপ্রতিষ্ঠান কর্মচারী ঐক্য ফেডারেশনের সভাপতি কামরুজ্জামান মিজান, মহাসচিব আজিজুল হক প্রমুখ।
No comments