ছাত্রলীগের টার্গেট এবার সাংবাদিক- অস্ত্রধারী সেই সন্ত্রাসী এখনো ধরা পড়েনি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত মঙ্গলবার ছাত্রদল প্রবেশের চেষ্টা করলে
তাদের মিছিল ল্য করে গুলি ছোড়ে ছাত্রলীগ নামধারী এক সন্ত্রাসী।
পর
দিন জাতীয় পত্রিকায় ছবিসহ বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করা হয়। ওই দিনই
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা বলেন,
‘ছাত্রলীগ নেতাকর্র্মীরা আত্মরার জন্য খেলনা পিস্তল রাখতেই পারে।’ সেই
খেলনা পিস্তল (!) আর দেশীয় অস্ত্রধারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এবার চড়াও
হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই সদ্য সাবেক এক সাংবাদিকের ওপর। গত বুধবার
রাতে দৈনিক যুগান্তরের সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার কুতুবউদ্দিন
জসীমের ওপর হামলা করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। ধরা পড়েনি ছাত্রদলের মিছিলে
গুলি করা পিস্তলধারী সেই ছাত্রলীগ নেতা। সাংবাদিক মারধরের ঘটনায়
বিশ্ববিদ্যালয়ের প থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রত্যদর্শীরা জানান, গত বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বর থেকে আমার দেশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামন সাগর ও যুগান্তরের সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার কুতুবউদ্দিন জসীম দুইজন মোটরসাইকেলে রওনা হয়। সেখান থেকে তারা রোকেয়া হলের সামনে এসে পৌঁছলে ছাত্রলীগের জসীম উদ্দিন হলের কর্মী মেহেদী এবং সালামের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন তাদের ওপর রড, কিরিচ, চাপাতি, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এ সময় তাদের হামলা থেকে আমার দেশ রিপোর্টার সাগর রা পেলেও জসীমকে বেড়ক পেটায় এবং চাপাতি দিয়ে কোপায়। একপর্যায়ে তিনি মোটরসাইকেল থেকে মাটিতে পড়ে গেলে সেখানেও তাকে পেটাতে থাকে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। এতে তার পায়ের হাড় ভেঙে যায় এবং পিঠের দিকে চাপাতির কোপে গুরুতর জখম হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সাংবাদিক জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। তিনি বিচার করার আশ্বাস দিলেও কবে নাগাদ করবেন তার কোনো সময়সীমা বেঁধে দেননি।
সাংবাদিক মারধরের এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেনÑ সহকারী প্রক্টর বিজ্ঞান অনুষদের ড. মাঈনুল ইসলাম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মো: মফিজুর রহমান এবং চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প বিভাগের মো: রবিউল ইসলাম।
ধরা পড়েনি ছাত্রদলের মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করা ছাত্রলীগ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী জহুরুল হক হলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক তানজিল ভূইয়া তানভীর। পত্রিকাগুলোতে তার গুলি করার দৃশ্যসংবলিত ছবি ফলাও করে ছাপানো হলেও এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আটকের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি ছাত্রলীগের প থেকেও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মো: আমজাদ আলী বলেন, সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় গতকালও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রবেশ পথে তল্লাশি চৌকী বসায় ছাত্রলীগ। তবে ক্যাম্পাসে পুলিশের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটরসাইকেল মহড়া দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদণি শেষে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করে।
গতকালের হরতালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত ফাঁকা ছিল। কয়েকটি বিভাগের পরীাপ্রণুষ্ঠিত হয়েছে। তবে কোনো কাস হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বাসও চলাচল করতে দেখা যায়নি।
প্রত্যদর্শীরা জানান, গত বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বর থেকে আমার দেশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামন সাগর ও যুগান্তরের সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার কুতুবউদ্দিন জসীম দুইজন মোটরসাইকেলে রওনা হয়। সেখান থেকে তারা রোকেয়া হলের সামনে এসে পৌঁছলে ছাত্রলীগের জসীম উদ্দিন হলের কর্মী মেহেদী এবং সালামের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন তাদের ওপর রড, কিরিচ, চাপাতি, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এ সময় তাদের হামলা থেকে আমার দেশ রিপোর্টার সাগর রা পেলেও জসীমকে বেড়ক পেটায় এবং চাপাতি দিয়ে কোপায়। একপর্যায়ে তিনি মোটরসাইকেল থেকে মাটিতে পড়ে গেলে সেখানেও তাকে পেটাতে থাকে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। এতে তার পায়ের হাড় ভেঙে যায় এবং পিঠের দিকে চাপাতির কোপে গুরুতর জখম হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সাংবাদিক জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। তিনি বিচার করার আশ্বাস দিলেও কবে নাগাদ করবেন তার কোনো সময়সীমা বেঁধে দেননি।
সাংবাদিক মারধরের এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেনÑ সহকারী প্রক্টর বিজ্ঞান অনুষদের ড. মাঈনুল ইসলাম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মো: মফিজুর রহমান এবং চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প বিভাগের মো: রবিউল ইসলাম।
ধরা পড়েনি ছাত্রদলের মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করা ছাত্রলীগ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী জহুরুল হক হলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক তানজিল ভূইয়া তানভীর। পত্রিকাগুলোতে তার গুলি করার দৃশ্যসংবলিত ছবি ফলাও করে ছাপানো হলেও এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আটকের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি ছাত্রলীগের প থেকেও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মো: আমজাদ আলী বলেন, সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় গতকালও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রবেশ পথে তল্লাশি চৌকী বসায় ছাত্রলীগ। তবে ক্যাম্পাসে পুলিশের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটরসাইকেল মহড়া দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদণি শেষে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করে।
গতকালের হরতালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত ফাঁকা ছিল। কয়েকটি বিভাগের পরীাপ্রণুষ্ঠিত হয়েছে। তবে কোনো কাস হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বাসও চলাচল করতে দেখা যায়নি।
No comments