জাতিসংঘের প্রতিবেদন ইসরায়েলের প্রত্যাখ্যান-ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে সব বসতি সরাতে হবে
ইসরায়েলকে অবশ্যই ফিলিস্তিনের অধিকৃত ভূখণ্ড থেকে তাদের বসতি সরিয়ে নিতে হবে। ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল করে বসতি স্থাপন করায় ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। ইহুদি বসতিগুলোর কারণে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার পাশাপাশি তাদের ফসল ও সম্পদও নষ্ট করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা বলা হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই একে 'পক্ষপাতদুষ্ট' বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েল। প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যানও করেছে তারা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ গঠিত তিন সদস্যের একটি কমিটি প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। এতে বলা হয়, 'ইসরায়েলকে অবশ্যই কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই অধিকৃত ভূখণ্ড থেকে তাদের বসতিগুলো সরিয়ে নিতে হবে। বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করতে হবে।' গত বছর মার্চে গঠিত ওই কমিটি জানায়, ইহুদি বসতিগুলো প্রতিদিন ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এ প্রতিবেদন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিটির প্রধান ফ্রান্সের ক্রিস্তিনা শ্যানেত বলেন, অধিকৃত ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আইনানুসারে যুদ্ধাপরাধ।
তবে আইসিসি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না সে সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন। আগামী ১৮ মার্চ ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার কমিশনের বৈঠকে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে। প্রতিবেদনে বসতি স্থাপনের কারণে ফিলিস্তিনি জনগণ যে ভোগান্তিতে পড়েছে তা লাঘবে পর্যাপ্ত, কার্যকর ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক আইনানুসারে, ১৯৪৯ সালে নির্ধারিত সীমান্তরেখার বাইরে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে পরবর্তী সময় স্থাপিত ইসরায়েলের সব স্থাপনাই অবৈধ। ওই কমিটির সদস্যদের অবশ্য ইসরায়েল বা ফিলিস্তিন সফরের অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ড, গোলান মালভূমি, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েল ২৫০টি বসতি গড়ে তোলে। এসব বসতিতে অন্তত পাঁচ লাখ ২০ হাজার ইহুদি বসবাস করছে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়েগাল পালমোর এক বিবৃতিতে বলেন, 'ইসরায়েল প্রসঙ্গে মানবাধিকার পরিষদের অবস্থান পক্ষপাতদুষ্ট। তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে সে কথাই আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়া হলো।' এ প্রতিবেদন প্রকাশের দুই দিন আগে ইসরায়েল মানবাধিকার পরিষদের নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠক বর্জন করে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ গঠিত তিন সদস্যের একটি কমিটি প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। এতে বলা হয়, 'ইসরায়েলকে অবশ্যই কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই অধিকৃত ভূখণ্ড থেকে তাদের বসতিগুলো সরিয়ে নিতে হবে। বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করতে হবে।' গত বছর মার্চে গঠিত ওই কমিটি জানায়, ইহুদি বসতিগুলো প্রতিদিন ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এ প্রতিবেদন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিটির প্রধান ফ্রান্সের ক্রিস্তিনা শ্যানেত বলেন, অধিকৃত ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আইনানুসারে যুদ্ধাপরাধ।
তবে আইসিসি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না সে সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন। আগামী ১৮ মার্চ ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার কমিশনের বৈঠকে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে। প্রতিবেদনে বসতি স্থাপনের কারণে ফিলিস্তিনি জনগণ যে ভোগান্তিতে পড়েছে তা লাঘবে পর্যাপ্ত, কার্যকর ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক আইনানুসারে, ১৯৪৯ সালে নির্ধারিত সীমান্তরেখার বাইরে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে পরবর্তী সময় স্থাপিত ইসরায়েলের সব স্থাপনাই অবৈধ। ওই কমিটির সদস্যদের অবশ্য ইসরায়েল বা ফিলিস্তিন সফরের অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ড, গোলান মালভূমি, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েল ২৫০টি বসতি গড়ে তোলে। এসব বসতিতে অন্তত পাঁচ লাখ ২০ হাজার ইহুদি বসবাস করছে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়েগাল পালমোর এক বিবৃতিতে বলেন, 'ইসরায়েল প্রসঙ্গে মানবাধিকার পরিষদের অবস্থান পক্ষপাতদুষ্ট। তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে সে কথাই আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়া হলো।' এ প্রতিবেদন প্রকাশের দুই দিন আগে ইসরায়েল মানবাধিকার পরিষদের নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠক বর্জন করে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments