পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি- মূল্যায়ন কমিটির দুই সদস্যকে সাক্ষী হিসেবে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্র্নীতি ষড়যন্ত্রের মামলায় সাী হিসেবে সেতু
প্রকল্পের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির দুই সদস্যকে জেরা করেছে দুর্নীতি দমন
কমিশন (দুদক)।
অপর দিকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নকশাসংক্রান্ত সব নথিপত্র দুদকে জমা দিয়েছে সেতু কর্তৃপ।
গতকাল দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে
সেতু প্রকল্পের প্রথম মূল্যায়ন কমিটির সদস্য বাংলাদেশ প্রকৌশল
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ ও বাংলাদেশ
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবি) সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মকবুল হোসেনকে
জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট দুদক কর্মকর্তারা।
দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মকবুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি ভাঙা হয়েছে এটা সত্য; তবে কেন ভাঙা হয়েছে, ভাঙার েেত্র কারো প্রভাব ছিল কী না সেসব বিষয় আমার জানা নেই। দুদকের একই কমিটি আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতু প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম ও মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তরুণ তপন দেওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে সূত্র জানায়।
এ দিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোটিশ পেয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নকশাসংক্রান্ত সব নথিপত্র দুদকে জমা দিয়েছে সেতু কর্তৃপ। গতকাল বিকেলে দুদক কার্যালয়ে এসব নথিপত্র পৌঁছে দেয় সেতু কর্তৃপ। তবে নথিপত্র জমার শেষ দিন ছিল ৩০ জানুয়ারি। নির্ধারিত সময়ের এক দিন পর এসব নথি জমা দেয়া হলো।
পদ্মা সেতুর নকশা সম্পন্ন না করেই ১১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে নকশাসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান মনসেল-এইকম লিমিটেড। বিষয়টি জানতে পেরে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দুদক। কমিটির প্রধান মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে টেন্ডারে অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া, অংশগ্রহণকারীদের তালিকা, বিল পরিশোধের ভাউচারসহ নকশাসংক্রান্ত সব নথিপত্র দুদকে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, সরকার ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নে মনসেল-এইকমকে ১১৬ কোটি টাকায় নিয়োগ করে। চুক্তি অনুযায়ী ২২ মাসের মধ্যে সেতু ও সেতুসংক্রান্ত বিষয়াদির চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন করার কথা ছিল। কিন্তু সরকার পরে প্রকল্পটি অগ্রাধিকার হিসেবে ধরে ১৬ মাসের মধ্যে নকশা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেয়। নকশা চূড়ান্ত করার আগেই ২০১০ সালের জুলাই মাসে চুক্তির পুরো ১১৬ কোটি টাকা তুলে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এর পর বাকি কাজ সম্পন্ন করতে তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম নকশা প্রণয়ন খাতে ৭০ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব দেন। সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর নকশা চূড়ান্ত করা ছাড়াই মনসেল-এইকমকে কেন পুরো টাকা দেয়া হয়, নকশা প্রণয়নে আরো কত দিন সময় প্রয়োজন এবং এ খাতে আরো কত টাকা বরাদ্দ দিতে হবে এই বিষয়ের ব্যাখ্যা চান।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত ১৭ ডিসেম্বর সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার দুই আসামি মোশাররফ ও নদীশাসন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো: ফেরদৌস বর্তমানে কারাগারে আছেন। অন্য আসামিরা হলেনÑ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালট্যান্ট লিমিটেডের (ইপিসি) ডিএমডি মো: মোস্তফা, এসএনসি-লাভালিনের তিন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল, রমেশ সাহা ও কেভিন ওয়ালেস। এর মধ্যে এসএনসি-লাভালিনের তিন কর্মকর্তা বর্তমানে কানাডায় আছেন। মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী আসামি না হলেও তাদেরকে সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, দুদক সাবেক এ দুই মন্ত্রীকে আবারো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদের দিনণ নির্ধারণ করে তাদের নামে দুদক নোটিশ পাঠাতে পারে।
দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মকবুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি ভাঙা হয়েছে এটা সত্য; তবে কেন ভাঙা হয়েছে, ভাঙার েেত্র কারো প্রভাব ছিল কী না সেসব বিষয় আমার জানা নেই। দুদকের একই কমিটি আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতু প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম ও মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তরুণ তপন দেওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে সূত্র জানায়।
এ দিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোটিশ পেয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নকশাসংক্রান্ত সব নথিপত্র দুদকে জমা দিয়েছে সেতু কর্তৃপ। গতকাল বিকেলে দুদক কার্যালয়ে এসব নথিপত্র পৌঁছে দেয় সেতু কর্তৃপ। তবে নথিপত্র জমার শেষ দিন ছিল ৩০ জানুয়ারি। নির্ধারিত সময়ের এক দিন পর এসব নথি জমা দেয়া হলো।
পদ্মা সেতুর নকশা সম্পন্ন না করেই ১১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে নকশাসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান মনসেল-এইকম লিমিটেড। বিষয়টি জানতে পেরে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দুদক। কমিটির প্রধান মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে টেন্ডারে অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া, অংশগ্রহণকারীদের তালিকা, বিল পরিশোধের ভাউচারসহ নকশাসংক্রান্ত সব নথিপত্র দুদকে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, সরকার ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নে মনসেল-এইকমকে ১১৬ কোটি টাকায় নিয়োগ করে। চুক্তি অনুযায়ী ২২ মাসের মধ্যে সেতু ও সেতুসংক্রান্ত বিষয়াদির চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন করার কথা ছিল। কিন্তু সরকার পরে প্রকল্পটি অগ্রাধিকার হিসেবে ধরে ১৬ মাসের মধ্যে নকশা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেয়। নকশা চূড়ান্ত করার আগেই ২০১০ সালের জুলাই মাসে চুক্তির পুরো ১১৬ কোটি টাকা তুলে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এর পর বাকি কাজ সম্পন্ন করতে তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম নকশা প্রণয়ন খাতে ৭০ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব দেন। সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর নকশা চূড়ান্ত করা ছাড়াই মনসেল-এইকমকে কেন পুরো টাকা দেয়া হয়, নকশা প্রণয়নে আরো কত দিন সময় প্রয়োজন এবং এ খাতে আরো কত টাকা বরাদ্দ দিতে হবে এই বিষয়ের ব্যাখ্যা চান।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত ১৭ ডিসেম্বর সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার দুই আসামি মোশাররফ ও নদীশাসন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো: ফেরদৌস বর্তমানে কারাগারে আছেন। অন্য আসামিরা হলেনÑ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালট্যান্ট লিমিটেডের (ইপিসি) ডিএমডি মো: মোস্তফা, এসএনসি-লাভালিনের তিন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল, রমেশ সাহা ও কেভিন ওয়ালেস। এর মধ্যে এসএনসি-লাভালিনের তিন কর্মকর্তা বর্তমানে কানাডায় আছেন। মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী আসামি না হলেও তাদেরকে সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, দুদক সাবেক এ দুই মন্ত্রীকে আবারো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদের দিনণ নির্ধারণ করে তাদের নামে দুদক নোটিশ পাঠাতে পারে।
No comments