বিজিএমইএর সদস্যদের জন্য আইন কি ভিন্ন?- পোশাক কারখানায় দুর্ঘটনা
আইন কি সবার জন্য সমান নয়? দুটি দুর্ঘটনা
ঘটল দুই পোশাকশিল্প কারখানায়। এক কারখানার দুই মালিক এখন জেলে, আর অন্য
কারখানাটির মালিক সবকিছুর ঊর্ধ্বে বলেই মনে হচ্ছে।
তিনি
ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু তাঁকে ধরার কেউ নেই! একটি বিষয় দুটি কারখানার মধ্যে
পার্থক্য করে দিয়েছে; একটির মালিক পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর
সদস্য, অন্যটির মালিক তা নন। আইনও তাই দুই ক্ষেত্রে এক নয়।
মোহাম্মদপুরের স্মার্ট এক্সপোর্ট গার্মেন্টসের দুই মালিককে পুলিশ আটক করেছে দুর্ঘটনার চার দিন পর। তাঁরা এখন পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় সাতজন শ্রমিক মারা গেছেন। আর গত ২৪ নভেম্বর রাতে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনসে দুর্ঘটনার পর দুই মাসেরও বেশি সময় কেটে গেছে। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১১ জন শ্রমিক। এরই মধ্যে এই দুর্ঘটনার সরকারি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে এবং তাতে মালিকের অবহেলাকে দায়ী করা হয়েছে। এর পরও যখন সেই মালিকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও তাঁর গ্রেপ্তার না করার পক্ষে নানা যুক্তি দিতে দেখা যায়, তখন এটা মানতেই হচ্ছে যে আইন সবার জন্য সমান নয়। রপ্তানিমুখী একটি পোশাকশিল্প কারখানার মালিককে সম্পদশালী বলেই ধরে নিতে হচ্ছে, আর তাঁর সঙ্গে রয়েছে বিজিএমইএর মতো সংগঠন। ফলে, আইন তাঁকে স্পর্শ করে কীভাবে!
তৈরি পোশাক কারখানাগুলোয় কাজের পরিবেশ, যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা, শ্রমিকের ন্যায্য বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে না পারলেও মালিকদের রক্ষায় যে মালিকদের সংগঠনগুলো সক্ষম, সেটা পরিষ্কার। কারণ, একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে, শ্রমিকেরা আগুনের পুড়ে, দম বন্ধ হয়ে ও পায়ের নিচে চাপা পড়ে মারা পড়ছেন, আর মালিকেরা ছাড় পেয়েই যাচ্ছেন। এখনো যথাসময়ে বেতন-ভাতা পাওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের রাজপথে নামতে হয়, বিক্ষোভ করতে হয়।
স্মার্ট এক্সপোর্ট গার্মেন্টসের দুই মালিক যদি কারখানায় দুর্ঘটনার জন্য আটক হতে পারেন, তাহলে তাজরীন ফ্যাশনসের মালিককে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। আইন যে সবার জন্য সমান, সেটা প্রমাণ করার দায়িত্ব সরকারেরই।
মোহাম্মদপুরের স্মার্ট এক্সপোর্ট গার্মেন্টসের দুই মালিককে পুলিশ আটক করেছে দুর্ঘটনার চার দিন পর। তাঁরা এখন পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় সাতজন শ্রমিক মারা গেছেন। আর গত ২৪ নভেম্বর রাতে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনসে দুর্ঘটনার পর দুই মাসেরও বেশি সময় কেটে গেছে। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১১ জন শ্রমিক। এরই মধ্যে এই দুর্ঘটনার সরকারি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে এবং তাতে মালিকের অবহেলাকে দায়ী করা হয়েছে। এর পরও যখন সেই মালিকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও তাঁর গ্রেপ্তার না করার পক্ষে নানা যুক্তি দিতে দেখা যায়, তখন এটা মানতেই হচ্ছে যে আইন সবার জন্য সমান নয়। রপ্তানিমুখী একটি পোশাকশিল্প কারখানার মালিককে সম্পদশালী বলেই ধরে নিতে হচ্ছে, আর তাঁর সঙ্গে রয়েছে বিজিএমইএর মতো সংগঠন। ফলে, আইন তাঁকে স্পর্শ করে কীভাবে!
তৈরি পোশাক কারখানাগুলোয় কাজের পরিবেশ, যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা, শ্রমিকের ন্যায্য বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে না পারলেও মালিকদের রক্ষায় যে মালিকদের সংগঠনগুলো সক্ষম, সেটা পরিষ্কার। কারণ, একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে, শ্রমিকেরা আগুনের পুড়ে, দম বন্ধ হয়ে ও পায়ের নিচে চাপা পড়ে মারা পড়ছেন, আর মালিকেরা ছাড় পেয়েই যাচ্ছেন। এখনো যথাসময়ে বেতন-ভাতা পাওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের রাজপথে নামতে হয়, বিক্ষোভ করতে হয়।
স্মার্ট এক্সপোর্ট গার্মেন্টসের দুই মালিক যদি কারখানায় দুর্ঘটনার জন্য আটক হতে পারেন, তাহলে তাজরীন ফ্যাশনসের মালিককে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। আইন যে সবার জন্য সমান, সেটা প্রমাণ করার দায়িত্ব সরকারেরই।
No comments