নায়ক ও খলনায়কেরা কে কোথায়?- মিসরের বিপ্লব
প্রেসিডেন্ট মুরসির বিরোধীরা বলছেন, হোসনি মোবারক বিদায় নিলেও স্বৈরশাসন
রয়েই গেছে। সরকার-সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘাত চলছেই। ঝরছে রক্ত। মিসরে
কি তাহলে ঘটতে যাচ্ছে আরেকটি বিপ্লব? সমপ্রতি নিউজ উইকে প্রকাশিত
বিপ্লব-সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের হাল-হকিকতে যেন তারই আভাস মেলে।
ওয়ায়েল ঘনিমগুগলের দুবাইভিত্তিক মাঝারি পর্যায়ের এই তরুণ কর্মকর্তা। আড়ালে বসে তিনিই
বিপ্লবের আগুন উসকে দিয়েছিলেন। পুলিশ বাহিনীর নির্যাতনে প্রাণ হারানো তরুণ
খালেদ সাঈদের নামে ফেসবুক পাতা খুলে নাম দেন ‘উই আর অল খালেদ সাঈদ’। ঘনিমের
ডাকে সাড়া দিয়ে কায়রোর ঐতিহাসিক তাহরির স্কয়ারে জড়ো হয়েছিল হাজারো মিসরীয়।
ঘনিম সমপ্রতি সাংবাদিকদের বলেন, বিপ্লবের স্বপ্ন পূরণে এখনো অনেক কাজ
বাকি। দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন। মিসরে এখন প্রতি
দুইজনে একজনের প্রতিদিনের আয় দুই মার্কিন ডলারের নিচে।’
হোসনি মোবারক
১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩০ বছর প্রেসিডেন্ট ছিলেন বিমানবাহিনীর সাবেক কমান্ডার হোসনি মোবারক। প্রায় তিন দশক কঠোর হাতে দেশ শাসন করেছেন। আরব বসন্তের জোয়ারে মিসরেও পরিবর্তনের দাবিতে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। ১৮ দিন বিক্ষোভ চলার পর পদত্যাগ করেন মোবারক। বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ বন্ধে হস্তক্ষেপ না করার অপরাধে ২০১২ সালের জুন মাসে আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। তবে আর্থিক দুর্নীতিসহ অন্য সব অভিযোগ থেকে খালাস পান তিনি। গত জানুয়ারি মাসে আপিল আদালত যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ বাতিল করে পুনর্বিচারের আদেশ দেন।
মোহাম্মদ এলবারাদি
মিসরে বিপ্লবের সময় নোবেল জয়ী এলবারাদি অস্ট্রিয়ায়। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি কমিশনের এই সাবেক প্রধান মনে করলেন, তাঁর উজ্জ্বল ভাবমূর্তি বিপ্লবে অনুপ্রেরণা জোগাবে। দেশে ফেরার প্রাক্কালে এলবারাদি নিউজ উইক-এ প্রকাশিত লেখায় বলেন, ‘মিসরের তরুণেরা ভয়ের বাঁধ ভেঙেছে। কোনো কিছুই আর তাদের থামাতে পারবে না।’
সংস্কারপন্থী এলবারাদি এখন মিসরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্টের প্রভাবশালী নেতা। জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাউয়ি
বিপ্লবের সময় শুরুতে মোবারকের পাশে থাকলেও শেষতক নিরপেক্ষ অবস্থানে চলে যান জেনারেলরা। বিপ্লবের পর হুসেইন তানতাউয়ির নেতৃত্বে এক সামরিক পরিষদ অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালন করে। গত আগস্টে অপ্রত্যাশিতভাবে তানতাউয়িসহ শীর্ষ জেনারেলদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠান প্রেসিডেন্ট মুরসি। এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ পল সালিভ্যান বলেন, ‘জেনারেল তানতাউয়ি (৮২) বৃদ্ধ হলেও এখনো তাঁর প্রভাব কম নয়। মিসরের পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয়, সেনাবাহিনী এর বাইরে থাকবে বলে মনে হয় না।’
রামি এসাম
গান আর গিটার নিয়ে বিপ্লবে নেমেছিলেন নীলনদের তীরবর্তী মানসুরা নগরের তরুণ রামি এসাম। শখের এই গিটারবাদক তাহরির স্কয়ারে হাজারো মানুষকে যে মুক্তির গান শুনিয়েছিলেন, তা হয়ে উঠেছিল বিক্ষোভকারীদের বিপ্লবের গান। বিপ্লবের পর জনপ্রিয় এক সংগীতশিল্পী বনে যান এসাম। তিনি ফিরে এসেছেন তাহরির স্কয়ারে। কিছুদিন আগে জেনারেলদের বিরুদ্ধে গেয়েছেন। এখন গাইছেন ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে। এসাম বলেন, ‘দ্বিতীয় বিপ্লবের প্রত্যাশায় রয়েছি আমি।’
হোসনি মোবারক
১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩০ বছর প্রেসিডেন্ট ছিলেন বিমানবাহিনীর সাবেক কমান্ডার হোসনি মোবারক। প্রায় তিন দশক কঠোর হাতে দেশ শাসন করেছেন। আরব বসন্তের জোয়ারে মিসরেও পরিবর্তনের দাবিতে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। ১৮ দিন বিক্ষোভ চলার পর পদত্যাগ করেন মোবারক। বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ বন্ধে হস্তক্ষেপ না করার অপরাধে ২০১২ সালের জুন মাসে আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। তবে আর্থিক দুর্নীতিসহ অন্য সব অভিযোগ থেকে খালাস পান তিনি। গত জানুয়ারি মাসে আপিল আদালত যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ বাতিল করে পুনর্বিচারের আদেশ দেন।
মোহাম্মদ এলবারাদি
মিসরে বিপ্লবের সময় নোবেল জয়ী এলবারাদি অস্ট্রিয়ায়। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি কমিশনের এই সাবেক প্রধান মনে করলেন, তাঁর উজ্জ্বল ভাবমূর্তি বিপ্লবে অনুপ্রেরণা জোগাবে। দেশে ফেরার প্রাক্কালে এলবারাদি নিউজ উইক-এ প্রকাশিত লেখায় বলেন, ‘মিসরের তরুণেরা ভয়ের বাঁধ ভেঙেছে। কোনো কিছুই আর তাদের থামাতে পারবে না।’
সংস্কারপন্থী এলবারাদি এখন মিসরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্টের প্রভাবশালী নেতা। জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাউয়ি
বিপ্লবের সময় শুরুতে মোবারকের পাশে থাকলেও শেষতক নিরপেক্ষ অবস্থানে চলে যান জেনারেলরা। বিপ্লবের পর হুসেইন তানতাউয়ির নেতৃত্বে এক সামরিক পরিষদ অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালন করে। গত আগস্টে অপ্রত্যাশিতভাবে তানতাউয়িসহ শীর্ষ জেনারেলদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠান প্রেসিডেন্ট মুরসি। এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ পল সালিভ্যান বলেন, ‘জেনারেল তানতাউয়ি (৮২) বৃদ্ধ হলেও এখনো তাঁর প্রভাব কম নয়। মিসরের পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয়, সেনাবাহিনী এর বাইরে থাকবে বলে মনে হয় না।’
রামি এসাম
গান আর গিটার নিয়ে বিপ্লবে নেমেছিলেন নীলনদের তীরবর্তী মানসুরা নগরের তরুণ রামি এসাম। শখের এই গিটারবাদক তাহরির স্কয়ারে হাজারো মানুষকে যে মুক্তির গান শুনিয়েছিলেন, তা হয়ে উঠেছিল বিক্ষোভকারীদের বিপ্লবের গান। বিপ্লবের পর জনপ্রিয় এক সংগীতশিল্পী বনে যান এসাম। তিনি ফিরে এসেছেন তাহরির স্কয়ারে। কিছুদিন আগে জেনারেলদের বিরুদ্ধে গেয়েছেন। এখন গাইছেন ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে। এসাম বলেন, ‘দ্বিতীয় বিপ্লবের প্রত্যাশায় রয়েছি আমি।’
No comments