সংসদে প্রতিমন্ত্রী-রেন্টালে ক্ষতি সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা
ঘুষ
ছাড়া পল্লী বিদ্যুতের লাইন পাওয়া যায় না বলে সংসদে অভিযোগ করেছেন জাতীয়
পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু। তাঁর অভিযোগ শুনে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার
আশ্বাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ
এনামুল হক।
তিনি আরো জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল
কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছয় হাজার ৩০৫
কোটি টাকা দাঁড়াবে।
ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শুরু হওয়া অধিবেশনে মুজিবুল হক অভিযোগ করেন, 'আমরা নির্বাচনী এলাকায় বিদ্যুতের লাইন নিতে চাইলে বলা হয়, লাইন দেওয়া বন্ধ আছে। আবার ঘুষ দিলে লাইন দেওয়া হয়। এ অবস্থা চলতে পারে না। সামনে নির্বাচন। এলাকার লোকজনকে চাহিদা অনুযায়ী লাইন দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় এমপিদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।' তিনি এ বিষয়ে সরকারের মনোভাব জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ঘুষ নিয়ে বিদ্যুতের লাইন দেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর পল্লী বিদ্যুতের নতুন লাইন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'
সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান সামনে নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, 'বিদ্যুৎব্যবস্থার উন্নয়নে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু কতটুকু উন্নতি হয়েছে সেটা হিসাব করা দরকার। জনগণ ফলাফল দেখাতে চায়।' জবাবে প্রতিমন্ত্রী সরকারের বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে গৃহীত প্রকল্পের তথ্য তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগের বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১৭টি কুইক রেন্টাল কেন্দ্র থেকে ১৩৮৩.৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ডিজেলচালিত কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ১৮ টাকা ৫৪ পয়সায়, ফার্নেস অয়েল কেন্দ্র থেকে ১৫ টাকা ৬০ পয়সায় এবং গ্যাসচালিত কেন্দ্র থেকে ৪ টাকা ৭৬ পয়সায় সরবরাহ করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
সংসদে অনুপস্থিত বিএনপির সংসদ সদস্য এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, চলতি অর্থবছরে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছয় হাজার ৩০৫ কোটি টাকা দাঁড়াবে। তিনি বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বড় কথা নয়, বরং বিদ্যুৎ না থাকলে উৎপাদন হ্রাস, রপ্তানি ও বিনিয়োগ কমে যাওয়া এবং এর আর্থসামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে এনামুল হক বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন অত্যন্ত ব্যয়বহুল বিধায় উৎপাদন ব্যয় এবং বিক্রয় মূল্যের মধ্যে সামঞ্জস্যতা আনার লক্ষ্যে বিল সমন্বয় করা প্রয়োজন। এ কারণেই বর্তমান সরকার গত চার বছরে ছয়বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। দাম বাড়ানোর হার ছিল ৫ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। অন্যদিকে বিগত চারদলীয় জোট সরকার পাঁচ বছরে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ হারে তিনবার বাড়ায়।
আওয়ামী লীগের মো. রহমত আলীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়। সে কারণে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো প্রয়োজন হয়। তবে এ মুহূর্তে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী অভিযোগ করেন, কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রাজধানীর ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মাসে ১৩০ কোটি টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিচ্ছে। আর এর ফলে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অবৈধভাবে ব্যবহার হচ্ছে। তিনি এ অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কেও জানতে চান। জবাবে এনামুল হক বলেন, ফুটপাতে কোনো স্থায়ী স্থাপনা না থাকায় অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের শনাক্ত করা বা তাদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় না। প্রতিটি বিওবি (বিক্রয় ও বিতরণ) বিভাগের ভিজিলেন্স টিম স্ব-স্ব এলাকার ফুটপাত/বস্তি/অন্যান্য স্থাপনায় অবৈধ সংযোগ গ্রহণকারীর বিরুদ্ধে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করেছে। ঝটিকা অভিযান অব্যাহত থাকায় ফুটপাত/বস্তিতে অবৈধ সংযোগের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ চুরি ও গ্রাহকদের ভৌতিক বিল প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানি প্রতিরোধে ৭০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক হাজার ৭৬ জন মিটার রিডারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শুরু হওয়া অধিবেশনে মুজিবুল হক অভিযোগ করেন, 'আমরা নির্বাচনী এলাকায় বিদ্যুতের লাইন নিতে চাইলে বলা হয়, লাইন দেওয়া বন্ধ আছে। আবার ঘুষ দিলে লাইন দেওয়া হয়। এ অবস্থা চলতে পারে না। সামনে নির্বাচন। এলাকার লোকজনকে চাহিদা অনুযায়ী লাইন দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় এমপিদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।' তিনি এ বিষয়ে সরকারের মনোভাব জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ঘুষ নিয়ে বিদ্যুতের লাইন দেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর পল্লী বিদ্যুতের নতুন লাইন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'
সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান সামনে নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, 'বিদ্যুৎব্যবস্থার উন্নয়নে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু কতটুকু উন্নতি হয়েছে সেটা হিসাব করা দরকার। জনগণ ফলাফল দেখাতে চায়।' জবাবে প্রতিমন্ত্রী সরকারের বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে গৃহীত প্রকল্পের তথ্য তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগের বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১৭টি কুইক রেন্টাল কেন্দ্র থেকে ১৩৮৩.৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ডিজেলচালিত কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ১৮ টাকা ৫৪ পয়সায়, ফার্নেস অয়েল কেন্দ্র থেকে ১৫ টাকা ৬০ পয়সায় এবং গ্যাসচালিত কেন্দ্র থেকে ৪ টাকা ৭৬ পয়সায় সরবরাহ করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
সংসদে অনুপস্থিত বিএনপির সংসদ সদস্য এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, চলতি অর্থবছরে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছয় হাজার ৩০৫ কোটি টাকা দাঁড়াবে। তিনি বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বড় কথা নয়, বরং বিদ্যুৎ না থাকলে উৎপাদন হ্রাস, রপ্তানি ও বিনিয়োগ কমে যাওয়া এবং এর আর্থসামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে এনামুল হক বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন অত্যন্ত ব্যয়বহুল বিধায় উৎপাদন ব্যয় এবং বিক্রয় মূল্যের মধ্যে সামঞ্জস্যতা আনার লক্ষ্যে বিল সমন্বয় করা প্রয়োজন। এ কারণেই বর্তমান সরকার গত চার বছরে ছয়বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। দাম বাড়ানোর হার ছিল ৫ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। অন্যদিকে বিগত চারদলীয় জোট সরকার পাঁচ বছরে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ হারে তিনবার বাড়ায়।
আওয়ামী লীগের মো. রহমত আলীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়। সে কারণে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো প্রয়োজন হয়। তবে এ মুহূর্তে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী অভিযোগ করেন, কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রাজধানীর ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মাসে ১৩০ কোটি টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিচ্ছে। আর এর ফলে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অবৈধভাবে ব্যবহার হচ্ছে। তিনি এ অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কেও জানতে চান। জবাবে এনামুল হক বলেন, ফুটপাতে কোনো স্থায়ী স্থাপনা না থাকায় অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের শনাক্ত করা বা তাদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় না। প্রতিটি বিওবি (বিক্রয় ও বিতরণ) বিভাগের ভিজিলেন্স টিম স্ব-স্ব এলাকার ফুটপাত/বস্তি/অন্যান্য স্থাপনায় অবৈধ সংযোগ গ্রহণকারীর বিরুদ্ধে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করেছে। ঝটিকা অভিযান অব্যাহত থাকায় ফুটপাত/বস্তিতে অবৈধ সংযোগের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ চুরি ও গ্রাহকদের ভৌতিক বিল প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানি প্রতিরোধে ৭০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক হাজার ৭৬ জন মিটার রিডারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
No comments