সভা সমাবেশের অধিকার হরণ- নিপীড়নমূলক তৎপরতা সঙ্ঘাত আরো বাড়িয়ে দেবে
বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে এখন সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশের
সাথে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে অসংখ্য পুলিশ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের
নেতাকর্মী হতাহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে ১৮ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর
ডাকে হরতাল পালিত হয়েছে। এই হরতালে প্রধান বিরোধী দল সমর্থন দিয়েছে।
জামায়াতের ডাকা হরতালে বগুড়ায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সশস্ত্র
হামলায় দুই জামায়াত ও শিবির কর্মী নিহত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জামায়াত-শিবির প্রতিহতের ঘোষণা দেয়ার পর এই
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। বিরোধী দল দমনের কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছে। রাজনৈতিক
কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন পুলিশ সদস্য হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া
বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। এমন এক স্থানে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন যেখানে পুলিশ ও
ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের সাথে বিরোধী ছাত্রসংগঠনের ব্যাপক সংঘর্ষ
হয়েছে এবং বিরোধী ছাত্রসংগঠনের কয়েকজন গুলিবদ্ধ হয়েছেন। অব্যাহতভাবে এ
ধরনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কঠোর অবস্থান এবং দমননীতি বিরোধী দলকে আরো বেশি সঙ্ঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর সাথে যোগ হয়েছে কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তার তৎপরতা। ঢাকার পুলিশ কমিশনার একটি ছাত্রসংগঠনের কর্মীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছেন, যা আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আবার অনেক পুলিশ কর্মকর্তা সরাসরি টেলিভিশনে এসে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখছেন। টেলিভিশনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের উপস্থিতি কমে গেলেও আশ্চর্যজনকভাবে পুলিশের রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে উপস্থিতি বেড়েছে। বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে গ্রেফতার নিয়ে দেশে-বিদেশে সরকার যখন তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি, তখন ঢাকার পুলিশের কমিশনার টেলিভিশনে তার গ্রেফতারের যৌক্তিকতা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। পুলিশের এ ধরনের রাজনৈতিক ভূমিকা শুধু সঙ্ঘাতকে উসকে দিচ্ছে না, দেশকে চূড়ান্তভাবে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। এর ফলে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন শত শত রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এর মধ্যে অনেক নিরীহ সাধারণ মানুষও রয়েছেন, যাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, বাসা এমনকি যানবাহন থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
আমরা মনে করি, নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দমন করা যায় না। এতে দেশে অস্থিরতা বাড়ে। সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও বিক্ষোভ বাড়তে থাকে। সরকারের উচিত দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। এ জন্য বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা। না হলে দেশে সঙ্ঘাত আরো বাড়বে। সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পিছিয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে, যা চূড়ান্ত বিচারে সরকারের জন্য হিতে বিপরীত হবে।
দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কঠোর অবস্থান এবং দমননীতি বিরোধী দলকে আরো বেশি সঙ্ঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর সাথে যোগ হয়েছে কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তার তৎপরতা। ঢাকার পুলিশ কমিশনার একটি ছাত্রসংগঠনের কর্মীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছেন, যা আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আবার অনেক পুলিশ কর্মকর্তা সরাসরি টেলিভিশনে এসে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখছেন। টেলিভিশনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের উপস্থিতি কমে গেলেও আশ্চর্যজনকভাবে পুলিশের রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে উপস্থিতি বেড়েছে। বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে গ্রেফতার নিয়ে দেশে-বিদেশে সরকার যখন তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি, তখন ঢাকার পুলিশের কমিশনার টেলিভিশনে তার গ্রেফতারের যৌক্তিকতা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। পুলিশের এ ধরনের রাজনৈতিক ভূমিকা শুধু সঙ্ঘাতকে উসকে দিচ্ছে না, দেশকে চূড়ান্তভাবে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। এর ফলে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন শত শত রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এর মধ্যে অনেক নিরীহ সাধারণ মানুষও রয়েছেন, যাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, বাসা এমনকি যানবাহন থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
আমরা মনে করি, নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দমন করা যায় না। এতে দেশে অস্থিরতা বাড়ে। সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও বিক্ষোভ বাড়তে থাকে। সরকারের উচিত দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। এ জন্য বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা। না হলে দেশে সঙ্ঘাত আরো বাড়বে। সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পিছিয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে, যা চূড়ান্ত বিচারে সরকারের জন্য হিতে বিপরীত হবে।
No comments