ডলারের অব্যাহত মূল্যপতন উদ্বিগ্ন রফতানিকারকেরা by আশরাফুল ইসলাম
টানা ছয় মাস ধরে ডলারের দরপতন হচ্ছে। ৮৪ টাকার ডলার এখন পাওয়া যাচ্ছে ৭৯
টাকায়। এর অর্থ মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান বাড়ছে। এতে আমদানি
ব্যয় কমে যাচ্ছে।
ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে মূল্যস্ফীতি
পরিস্থিতিতে। এটা খুশির খবরই বটে। তবে আমাদের অর্থনীতিতে ডলারের মূল্যপতনে
এক দিকে খুশির খবর হলেও আরেক দিকে তা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে।
কারণ এর ফলে দেশের অর্থনীতির প্রাণ সঞ্চারকারী রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটা
পড়তে পারে এবং তার জায়গায় বাড়তে পারে হুন্ডির প্রবণতা। ক্ষতির সম্মুখীন
হচ্ছেন রফতানিকারকেরাও। অপেক্ষাকৃত কম আয় হচ্ছে তাদের। এতে রফতানিকারকেরা
পণ্যের মূল্য প্রতিযোগিতা হারাচ্ছেন বলে সার্বিকভাবে কমে যাবে রফতানি আয়।
এ কারণে উদ্বিগ্ন রফতানিকারকেরা। ডলারের মূল্য ধরে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাজার থেকে ডলার কিনছে। এ ছাড়া ডলারের চাহিদা বাড়ানোর জন্য বেশি হারে
পণ্য আমদানির জন্য এলসি (ঋণপত্র) খুলতে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ডলারের দরপতনের কারণ : চলমান বিশ্বমন্দার পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে ডলারের চাহিদা কমে গেছে। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস সঙ্কট, দীর্ঘ চার বছর ধরে নতুন শিল্প-কারখানায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ, অবকাঠামো সুবিধার অভাব, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে বিনিয়োগ স্থবিরতা। ব্যবসায়ীরা আস্থাশীল হতে পারছেন না তাদের বিনিয়োগ নিয়ে। এর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখতে টাকার প্রবাহ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণপ্রবাহ কমানোর নির্দেশনা আছে। এসব কারণে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি ব্যাপক হারে কমে গেছে। এতে কমে গেছে সামগ্রিক আমদানি ব্যয়। আমদানি ব্যয় কমে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের চাহিদা কমেছে। অন্য দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ চাঙ্গা থাকায় অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ডলারের মূল্যপতন হচ্ছে।
ডলারের মূল্যপতন ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ : মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কিন্তু এর পরেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে সরাসরি হস্তক্ষেপ না করে বাজার থেকে ডলার কিনে পরোক্ষভাবে মুদ্রাবাজারে হস্তক্ষেপ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান মতে, গত ১ জুলাই থেকে গতকাল ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ২১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২৬২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার কিনেছে। গতকালও চারটি ব্যাংক থেকে ৭৯ টাকা ২০ পয়সা মূল্যে সাড়ে পাঁচ কোটি ডলার কেনা হয়েছে। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক না কিনলে ডলারের পতন আরো হতো।
ডলারের মূল্যপতনে উদ্বিগ্ন রফতানিকারক ও বাংলাদেশ ব্যাংক : ডলারের অব্যাহত মূল্যপতনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রফতানিকারকেরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডলারের মূল্যপতনের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যেতে পারে; আর বাড়তে পারে হুন্ডির প্রবণতা। কেননা, হুন্ডির সাথে জড়িতরা ব্যাংকের চেয়ে ডলারের বেশি দর দিলে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের পরিবর্তে হুন্ডির দিকে ঝুঁকে পড়তে পারেন। এতে ব্যাংকিং চ্যানেলে কমে যাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট এ কে খান গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, ডলারের মূল্যপতনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন রফতানিকারকেরা। ডলারের মূল্য কমে গেলে রফতানি আয় কমে যায়। আর রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে বেড়ে যায় হুন্ডি তৎপরতা। তিনি বলেন, বর্তমান চলমান মন্দায় বিশ্বের অনেক দেশেই রফতানি চাঙ্গা রাখতে রফতানিকারকদের ক্ষতিপোষাতে বিভিন্ন প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
ডলারের দরপতনের কারণ : চলমান বিশ্বমন্দার পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে ডলারের চাহিদা কমে গেছে। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস সঙ্কট, দীর্ঘ চার বছর ধরে নতুন শিল্প-কারখানায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ, অবকাঠামো সুবিধার অভাব, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে বিনিয়োগ স্থবিরতা। ব্যবসায়ীরা আস্থাশীল হতে পারছেন না তাদের বিনিয়োগ নিয়ে। এর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখতে টাকার প্রবাহ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণপ্রবাহ কমানোর নির্দেশনা আছে। এসব কারণে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি ব্যাপক হারে কমে গেছে। এতে কমে গেছে সামগ্রিক আমদানি ব্যয়। আমদানি ব্যয় কমে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের চাহিদা কমেছে। অন্য দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ চাঙ্গা থাকায় অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ডলারের মূল্যপতন হচ্ছে।
ডলারের মূল্যপতন ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ : মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কিন্তু এর পরেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে সরাসরি হস্তক্ষেপ না করে বাজার থেকে ডলার কিনে পরোক্ষভাবে মুদ্রাবাজারে হস্তক্ষেপ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান মতে, গত ১ জুলাই থেকে গতকাল ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ২১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২৬২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার কিনেছে। গতকালও চারটি ব্যাংক থেকে ৭৯ টাকা ২০ পয়সা মূল্যে সাড়ে পাঁচ কোটি ডলার কেনা হয়েছে। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক না কিনলে ডলারের পতন আরো হতো।
ডলারের মূল্যপতনে উদ্বিগ্ন রফতানিকারক ও বাংলাদেশ ব্যাংক : ডলারের অব্যাহত মূল্যপতনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রফতানিকারকেরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডলারের মূল্যপতনের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যেতে পারে; আর বাড়তে পারে হুন্ডির প্রবণতা। কেননা, হুন্ডির সাথে জড়িতরা ব্যাংকের চেয়ে ডলারের বেশি দর দিলে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের পরিবর্তে হুন্ডির দিকে ঝুঁকে পড়তে পারেন। এতে ব্যাংকিং চ্যানেলে কমে যাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট এ কে খান গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, ডলারের মূল্যপতনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন রফতানিকারকেরা। ডলারের মূল্য কমে গেলে রফতানি আয় কমে যায়। আর রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে বেড়ে যায় হুন্ডি তৎপরতা। তিনি বলেন, বর্তমান চলমান মন্দায় বিশ্বের অনেক দেশেই রফতানি চাঙ্গা রাখতে রফতানিকারকদের ক্ষতিপোষাতে বিভিন্ন প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
No comments