সাক্ষাৎকার: হিনা রাব্বানি খার- কাদরি ধর্তব্যের মধ্যে পড়েন না
বিশাল লংমার্চের আয়োজন করে পাকিস্তানের রাজনীতির মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছেন
কানাডাপ্রবাসী রহস্যময় আধ্যাত্মিক নেতা তাহির উল-কাদরি। এ ছাড়া অব্যাহত
জঙ্গি হামলা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা ও আফগানিস্তান
থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার-পরবর্তী অনিশ্চয়তা নিয়ে সংকটে রয়েছে
পাকিস্তান।
এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি সিএনএন কথা বলে পাকিস্তানের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের সঙ্গে। সেই সাক্ষাৎকারের উল্লেখযোগ্য
অংশ—
আমাদের অনুষ্ঠানে স্বাগত। পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আপনি কি শঙ্কিত?
আপনি কি তাহির উল-কাদরির সমাবেশের কথা বলছেন?
হ্যাঁ, সেটাই।
আচ্ছা। পাকিস্তানে কাদরি ধর্তব্যের মধ্যে পড়েন না। তিনি মাত্র ৩০ হাজার লোক নিয়ে রাজপথে সমাবেশ করেছেন। দেখুন, পার্লামেন্ট নির্বাচনে আমি ৮০ হাজার ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছি।
পুলিশ কিন্তু বলছে, কাদরির সমাবেশে ৮০ হাজার লোক ছিল। এটা নিয়ে কি আপনারা উদ্বিগ্ন? কাদরির এ সমাবেশ করার কোনো কারণ ছিল কি? তিনি দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছেন...
দুর্নীতি সরকারের জন্য উদ্বেগের বিষয়। দুর্নীতি দমনে সরকার সম্ভব সবকিছুই করছে।
পাকিস্তানে কবে নাগাদ পার্লামেন্ট নির্বাচন হতে পারে?
বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৬ মার্চ। ১৬ মার্চের পর ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
পাকিস্তানের অনেকের মতো আপনিও কি মনে করেন কাদরির প্রতি সামরিক বাহিনীর সমর্থন রয়েছে?
সামরিক বাহিনী বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, কাদরির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
পাকিস্তানে শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর জঙ্গি হামলা বেড়েছে। শুধু ২০১২ সালেই জঙ্গি হামলায় ৪০০ শিয়া মুসলমান প্রাণ হারিয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের ভাবনা কী?
দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারকে ভাবতে হয়। শিয়া সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কোয়েটায় হামলার ঘটনায় শিয়া নেতাদের দাবির মুখে মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সীমান্ত প্রসঙ্গে আসি। আফগানিস্তানে নিযুক্ত আন্তর্জাতিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ম্যাকক্রিস্টাল বলেছেন, তাঁরা মনে করেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সাফল্য পাবে—পাকিস্তান তা মনে করে না। তাঁদের অভিযোগ, আফগান সীমান্তে হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও তালেবানকে সহায়তা দিচ্ছে পাকিস্তান।
যুক্তরাষ্ট্রের সাফল্য পাওয়া নিয়ে আমাদের সংশয় থাকলে এবং জঙ্গি দমনে দৃঢ় ভূমিকা না রাখলে আমরা এখন এত বিপদে কেন? গত তিন বছরে পাকিস্তানে অন্তত ২০০ আত্মঘাতী হামলা হয়েছে। ২০০১ সালের আগে হয়েছিল মাত্র একটি। জঙ্গি হামলা ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ে আমাদের ৩০ হাজার বেসামরিক নাগরিক এবং সামরিক, আধাসামরিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছয় হাজার সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রায় নয় বছর আগে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। সম্প্রতি সীমান্তে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি ভারতকে যুদ্ধবাজ বলেছেন।
সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক নেতা, বিশ্লেষক, সামরিক বাহিনী ও গণমাধ্যমে উসকানিমূলক মন্তব্য করা শুরু হয়। এটি ছিল অত্যন্ত বিরক্তিকর। সীমান্তে আমাদের পক্ষের কেউ উত্তেজনা শুরু করেনি। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ দুই প্রতিবেশী। আমরা আশা করি, দুই দেশই দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে শান্তি-প্রক্রিয়ার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে।
ভাষান্তর: মাহফুজার রহমান
আমাদের অনুষ্ঠানে স্বাগত। পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আপনি কি শঙ্কিত?
আপনি কি তাহির উল-কাদরির সমাবেশের কথা বলছেন?
হ্যাঁ, সেটাই।
আচ্ছা। পাকিস্তানে কাদরি ধর্তব্যের মধ্যে পড়েন না। তিনি মাত্র ৩০ হাজার লোক নিয়ে রাজপথে সমাবেশ করেছেন। দেখুন, পার্লামেন্ট নির্বাচনে আমি ৮০ হাজার ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছি।
পুলিশ কিন্তু বলছে, কাদরির সমাবেশে ৮০ হাজার লোক ছিল। এটা নিয়ে কি আপনারা উদ্বিগ্ন? কাদরির এ সমাবেশ করার কোনো কারণ ছিল কি? তিনি দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছেন...
দুর্নীতি সরকারের জন্য উদ্বেগের বিষয়। দুর্নীতি দমনে সরকার সম্ভব সবকিছুই করছে।
পাকিস্তানে কবে নাগাদ পার্লামেন্ট নির্বাচন হতে পারে?
বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৬ মার্চ। ১৬ মার্চের পর ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
পাকিস্তানের অনেকের মতো আপনিও কি মনে করেন কাদরির প্রতি সামরিক বাহিনীর সমর্থন রয়েছে?
সামরিক বাহিনী বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, কাদরির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
পাকিস্তানে শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর জঙ্গি হামলা বেড়েছে। শুধু ২০১২ সালেই জঙ্গি হামলায় ৪০০ শিয়া মুসলমান প্রাণ হারিয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের ভাবনা কী?
দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারকে ভাবতে হয়। শিয়া সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কোয়েটায় হামলার ঘটনায় শিয়া নেতাদের দাবির মুখে মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সীমান্ত প্রসঙ্গে আসি। আফগানিস্তানে নিযুক্ত আন্তর্জাতিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ম্যাকক্রিস্টাল বলেছেন, তাঁরা মনে করেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সাফল্য পাবে—পাকিস্তান তা মনে করে না। তাঁদের অভিযোগ, আফগান সীমান্তে হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও তালেবানকে সহায়তা দিচ্ছে পাকিস্তান।
যুক্তরাষ্ট্রের সাফল্য পাওয়া নিয়ে আমাদের সংশয় থাকলে এবং জঙ্গি দমনে দৃঢ় ভূমিকা না রাখলে আমরা এখন এত বিপদে কেন? গত তিন বছরে পাকিস্তানে অন্তত ২০০ আত্মঘাতী হামলা হয়েছে। ২০০১ সালের আগে হয়েছিল মাত্র একটি। জঙ্গি হামলা ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ে আমাদের ৩০ হাজার বেসামরিক নাগরিক এবং সামরিক, আধাসামরিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছয় হাজার সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রায় নয় বছর আগে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। সম্প্রতি সীমান্তে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি ভারতকে যুদ্ধবাজ বলেছেন।
সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক নেতা, বিশ্লেষক, সামরিক বাহিনী ও গণমাধ্যমে উসকানিমূলক মন্তব্য করা শুরু হয়। এটি ছিল অত্যন্ত বিরক্তিকর। সীমান্তে আমাদের পক্ষের কেউ উত্তেজনা শুরু করেনি। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ দুই প্রতিবেশী। আমরা আশা করি, দুই দেশই দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে শান্তি-প্রক্রিয়ার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে।
ভাষান্তর: মাহফুজার রহমান
No comments