তাওকীরের ‘গোল ও যোগ’ by মাহফুজ রহমান
হাওয়াপুরের টুকু ভাইয়ের দেয়ালে লেখা ছিল ‘এখানে প্রস্রাব করিবেন না, করিলে
৫০০ টাকা দণ্ড’। কেউ হয়তো দুষ্টামি করে ‘করিবেন’-এর পর জুড়ে দিয়েছে একটি
দাঁড়ি (।) আর মুছে দিয়েছে ‘না’-এর পরের কমাটি (,)! ব্যস, হয়ে গেছে ‘এখানে
প্রস্রাব করিবেন।
না করিলে ৫০০ টাকা দণ্ড’! কী সাংঘাতিক ব্যাপার! আর সত্যি
সত্যিই দেয়াললিখন মেনে চলল হাওয়াপুরের অনেকেই। এই নিয়ে টুকু ভাইয়ের পক্ষে
কিছু লোক আবার মানববন্ধনও করতে শুরু করল। সেই মানববন্ধন ভেঙে দিল
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এভাবেই শুরু হলো গোল ও যোগ। গোল ও যোগ হলো
তাওকীর ইসলামের খুদে ছবি। খুদে পরিচালক তাওকীরের এই ছবিই এবার ষষ্ঠ
আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে জিতে নিল সেরা ছবির পদক।
দেয়াল থেকে শুরু হলো গোল ও যোগ, কিন্তু ক্যামেরা তো আর থামে না! চলতেই লাগল, চলতেই লাগল! ভেবো না তাওকীরের ছবির দৈর্ঘ্য অনেক লম্বা। মজার বিষয় হলো, একটি ক্যামেরা দিয়ে একবারে পুরো ছবিটাই ফ্রেমবন্দী করেছে রাজশাহীর তাওকীর! চিন্তা করতে পারো কত্ত কঠিন কাজ করে ফেলেছে ও! কাজটা কঠিন ছিল, তবে গোল ও যোগ কিন্তু খুবই বুদ্ধিদীপ্ত ও মজার একটা ছবি। মজার এই ছবিটির ভেতরে আবার লুকিয়ে আছে অনেক কঠিন কঠিন বিষয়ও। যাদের বোঝার তারা নিশ্চয়ই বুঝবেন। আর কেউ যদি নাও বোঝে, সমস্যা নেই, মজা পাওয়া যাবে নিশ্চিত।
এর আগে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের পঞ্চম আসরেও সেরা ছবির পুরস্কারটি ঘরে তুলেছিল তাওকীর। সেবার ও বানিয়েছিল দ্য ইউনিট ছবিটি। পুরস্কারে জেতা ২৫ হাজার টাকা দিয়ে কী করেছিলে? মুখে রহস্যপূর্ণ হাসি ফুটিয়ে তাওকীরের জবাব, ‘ওই টাকা দিয়েই তো গোল ও যোগ বানালাম!’ বাব্বাহ! এক টাকাও অন্য কাজে ব্যবহার করেনি ছেলেটা! তাওকীর পড়াশোনা করছে রাজশাহী বরেন্দ্র কলেজে, উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে। ছবি বানাতে শুরু করেছে ২০০৯ সাল থেকে। তাওকীরের বয়স যখন ছয় বছর তখন তাঁর পরিবারের সদস্যরা বানিয়েছিলেন একটা মজার ছবি। তাতে অভিনয়ও করেছিল সে। তার পর থেকেই তার বিপুল আগ্রহ ক্যামেরা নামক আশ্চর্য যন্ত্রটার ওপর। তাই সময় পেলেই ভিনদেশ থেকে পাঠানো মামার একটা ক্যামেরা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করত ও। করতে করতে একসময় শুনল আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের কথা। ব্যস, রাজশাহী থেকে দলেবলে চলে এল ঢাকায়। তার পর থেকে নিয়মিত ছবি বানানো, ছবি নিয়ে গবেষণা।
‘প্রতি রাতে একটা করে ছবি না দেখলে ঘুম আসে না।’ বলছিল তাওকীর, ‘আমার প্রিয় পরিচালক তারেক মাসুদের একটা কথা খুব ভালো লাগে—‘তুমি যদি খুব ভালো পরিচালক হতে চাও, বিশেষ করে বাংলাদেশে, তাহলে পরিচালনার পাশাপাশি অন্য সব কাজও পারতে হবে।’ তাই আমি ছবি বানানোর জন্য অনেক খাটাখাটুনি করি। আমাদের একটা দল আছে, আমরা সবাই ছবি বানাই। আমাদের বোঝাপড়াও অনেক ভালো, ফলে সব কাজই খুব সহজ হয়ে যায় আমাদের জন্য।’ বেশ কয়েকটি ছবি বানিয়েছে তাওকীর। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—কঙ্কপুরাণ, গ্যাস বেলুন, লামা (নিউইয়র্ক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ২০১০ সালে প্রদর্শিত হয়েছিল এই ছবিটি।), দ্য ইউনিট, টমটম আর গোল ও যোগ তো আছেই।
ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসে তাওকীর। ছবি দেখতে তো বটেই। আর ভালোবাসে ভালো ভালো ছবি বানাতে। তাওকীর বলল, ‘এবার উৎসবে পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম আমার খুব প্রশংসা করেছেন! বলেছেন, “অনেক বড় নির্মাতা হবে তুমি!” আমিও চাই এই সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে। চাই আরও ভালো ভালো ছবি বানাতে।’
দেয়াল থেকে শুরু হলো গোল ও যোগ, কিন্তু ক্যামেরা তো আর থামে না! চলতেই লাগল, চলতেই লাগল! ভেবো না তাওকীরের ছবির দৈর্ঘ্য অনেক লম্বা। মজার বিষয় হলো, একটি ক্যামেরা দিয়ে একবারে পুরো ছবিটাই ফ্রেমবন্দী করেছে রাজশাহীর তাওকীর! চিন্তা করতে পারো কত্ত কঠিন কাজ করে ফেলেছে ও! কাজটা কঠিন ছিল, তবে গোল ও যোগ কিন্তু খুবই বুদ্ধিদীপ্ত ও মজার একটা ছবি। মজার এই ছবিটির ভেতরে আবার লুকিয়ে আছে অনেক কঠিন কঠিন বিষয়ও। যাদের বোঝার তারা নিশ্চয়ই বুঝবেন। আর কেউ যদি নাও বোঝে, সমস্যা নেই, মজা পাওয়া যাবে নিশ্চিত।
এর আগে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের পঞ্চম আসরেও সেরা ছবির পুরস্কারটি ঘরে তুলেছিল তাওকীর। সেবার ও বানিয়েছিল দ্য ইউনিট ছবিটি। পুরস্কারে জেতা ২৫ হাজার টাকা দিয়ে কী করেছিলে? মুখে রহস্যপূর্ণ হাসি ফুটিয়ে তাওকীরের জবাব, ‘ওই টাকা দিয়েই তো গোল ও যোগ বানালাম!’ বাব্বাহ! এক টাকাও অন্য কাজে ব্যবহার করেনি ছেলেটা! তাওকীর পড়াশোনা করছে রাজশাহী বরেন্দ্র কলেজে, উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে। ছবি বানাতে শুরু করেছে ২০০৯ সাল থেকে। তাওকীরের বয়স যখন ছয় বছর তখন তাঁর পরিবারের সদস্যরা বানিয়েছিলেন একটা মজার ছবি। তাতে অভিনয়ও করেছিল সে। তার পর থেকেই তার বিপুল আগ্রহ ক্যামেরা নামক আশ্চর্য যন্ত্রটার ওপর। তাই সময় পেলেই ভিনদেশ থেকে পাঠানো মামার একটা ক্যামেরা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করত ও। করতে করতে একসময় শুনল আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের কথা। ব্যস, রাজশাহী থেকে দলেবলে চলে এল ঢাকায়। তার পর থেকে নিয়মিত ছবি বানানো, ছবি নিয়ে গবেষণা।
‘প্রতি রাতে একটা করে ছবি না দেখলে ঘুম আসে না।’ বলছিল তাওকীর, ‘আমার প্রিয় পরিচালক তারেক মাসুদের একটা কথা খুব ভালো লাগে—‘তুমি যদি খুব ভালো পরিচালক হতে চাও, বিশেষ করে বাংলাদেশে, তাহলে পরিচালনার পাশাপাশি অন্য সব কাজও পারতে হবে।’ তাই আমি ছবি বানানোর জন্য অনেক খাটাখাটুনি করি। আমাদের একটা দল আছে, আমরা সবাই ছবি বানাই। আমাদের বোঝাপড়াও অনেক ভালো, ফলে সব কাজই খুব সহজ হয়ে যায় আমাদের জন্য।’ বেশ কয়েকটি ছবি বানিয়েছে তাওকীর। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—কঙ্কপুরাণ, গ্যাস বেলুন, লামা (নিউইয়র্ক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ২০১০ সালে প্রদর্শিত হয়েছিল এই ছবিটি।), দ্য ইউনিট, টমটম আর গোল ও যোগ তো আছেই।
ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসে তাওকীর। ছবি দেখতে তো বটেই। আর ভালোবাসে ভালো ভালো ছবি বানাতে। তাওকীর বলল, ‘এবার উৎসবে পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম আমার খুব প্রশংসা করেছেন! বলেছেন, “অনেক বড় নির্মাতা হবে তুমি!” আমিও চাই এই সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে। চাই আরও ভালো ভালো ছবি বানাতে।’
No comments