বিদ্যুত বিতরণে সব সংখ্যা বাড়িয়ে ৭টি করা হচ্ছে- গ্রাহককে বিল পরিশোধে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হবে না

বিদ্যুত বিতরণে সব সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বিতরণ কোম্পানি ভেদে তিন এবং চারটি সব ভেঙ্গে সাতটি সব করা হবে। আজ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আদেশের সঙ্গে জ্বালানি সহায়তা তহবিল বা এনার্জি সাপোর্ট ফান্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।


বুধবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সব পরিবর্তন নিয়ে বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়। জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গত মঙ্গলবার এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের পক্ষ থেকে দেখা করা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে বলেন, সøাব পুনর্বিন্যাস না করে এর সুবিধা প্রত্যাহারে বিদ্যুত বিল দিতে গিয়ে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। শীঘ্র জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি। বিইআরসি সদস্য এমদাদুল হক বুধবার সন্ধ্যায় জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা ছয় থেকে সাতটি সব করার চিন্তাভাবনা করছি। বিভিন্ন সবে বিদ্যুত বিল বিভক্ত করে দেখা হচ্ছে কোন্টা গ্রাহকের জন্য সহনীয় হয়। তিনি বলেন, আজ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বলেন, আবার বিতরণ কোম্পানিগুলো ক্ষতির মুখে পড়ে এমনটাও করা যাবে না।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সূত্র বলছে, এখন বিদ্যুত বিতরণে চারটি সব বা ধাপ রয়েছে পল্লী বিদ্যুত বিতরণ সমিতির। এ ছাড়া অন্য বিতরণ কোম্পানির তিনটি সøাব রয়েছে। এখন তা ভেঙ্গে সাতটি করা হবে।
সবগুলো হচ্ছে এক থেকে ৭৫, ৭৬ থেকে ২০০, ২০১ থেকে ৩০০, ৩০১ থেকে ৪০০, ৪০১ থেকে ৫০০, ৫০১ থেকে ৭০০ এবং ৭০০-এর উর্ধে।
এখন বিদ্যুত ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৪০০ ইউনিটের ওপরে বিদ্যুত ব্যবহার করলে তাকে সাত টাকা ৮৯ পয়সা করে বিল দিতে হয়। কিন্তু ৪০০ ইউনিটের নিচে থাকলে তাকে চার টাকা ২৯ পয়সা করে বিল দিতে হয়। আর এক থেকে ১০০ ইউনিটের জন্য তিন টাকা ০৫ পয়সা করে বিল দিতে হয়।
গত মার্চে সব প্রথা তুলে দেয়ার পর দেখা যায় কেউ ৪০১ ইউনিট বিদ্যুত ব্যবহার করলে তাকে সাত টাকা ৮৯ পয়সা দরে দাম দিতে হয়েছে। তবে মার্চের আগে বিদ্যুত বিল দেয়ার ক্ষেত্রে কেউ ৪০১ ইউনিট ব্যবহার করলে তাদের বিল প্রস্তুত করা হতো শূন্য থেকে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত তিন টাকা ০৫ পয়সা, পরবর্তী ৩০০ ইউনিট চার টাকা ২৯ পয়সা এবং পরের এক ইউনিট সাত টাকা ৮৯ পয়সা দরে। তাতে একজন গ্রাহকের বিদ্যুত বিল হতো এক হাজার ৫৯৯ টাকা (ভ্যাট, ট্যাক্স বাদে)। কিন্তু সøাব তুলে দেয়ায় একই পরিমাণ বিদ্যুত ব্যবহারে বিল গুনতে হয়েছে তিন হাজার ১৬৩ টাকা।
এনার্জি সাপোর্ট ফান্ড ॥ যেসব বিদ্যুত কেন্দ্রে জ্বালানি অপচয় হচ্ছে সেগুলোর সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। এ জন্য বিদ্যুত কেন্দ্রর জ্বালানি সরবরাহ অডিট করা হবে। পরে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। বিতরণ কোম্পানির মুনাফার অর্থে ওই তহবিল গড়ে উঠবে।

No comments

Powered by Blogger.