বিলকাঠামো পরিবর্তন হবে- বিদ্যুতের দাম বাড়ছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে by অরুণ কর্মকার
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুতের আরেক দফা দাম বাড়ছে। পাইকারি ও গ্রাহক উভয় ক্ষেত্রেই দাম বাড়বে। গ্রাহকপর্যায়ে বৃদ্ধির হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দাম বৃদ্ধির ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
তদাম বাড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যুতের বিলকাঠামোও (স্লাব) পরিবর্তন করা হচ্ছে। বিলশ্রেণী কতটি হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ছয় থেকে নয়টির মধ্যে হতে পারে। বিলকাঠামো যেমনই হোক, গ্রাহকের ব্যবহূত বিদ্যুতের পরিমাণ কম-বেশি হওয়ার কারণে বিলশ্রেণী পরিবর্তন হলেও বিল যেন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি না পায়, তা নিশ্চিত করা হবে বলে বিইআরসি সূত্র জানিয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিইআরসির সভায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
দাম বৃদ্ধি আর কত: মাত্র ছয় মাস আগে, মার্চে সর্বশেষ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। ওই দাম বৃদ্ধি ছিল বর্তমান সরকারের আমলে পঞ্চমবার। এই পাঁচবারে সর্বনিম্ন বিলকাঠামোর আবাসিক গ্রাহকের ক্ষেত্রে (সর্বোচ্চ ১০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী) প্রতি ইউনিটে বিদ্যুতের দাম বেড়েছিল মোট এক টাকার মতো।
বর্তমান সরকারের শাসনমেয়াদে এবার দাম বাড়ছে ষষ্ঠবারের মতো। টাকার হিসাবে এবারের দাম বৃদ্ধি আগের পাঁচবারের মোট বৃদ্ধির সমান হতে পারে।
সরকারি সূত্রগুলো জানায়, ষষ্ঠবার দাম বৃদ্ধির পরও উপমহাদেশের অনেক দেশের তুলনায় এ দেশে বিদ্যুতের দাম কম থাকবে। তা ছাড়া সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী (লাইফলাইন) গ্রাহকের ক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধির অভিঘাতও সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা হবে সরকারি নীতি অনুযায়ী। বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধির হারও হবে বেশি।
বিলকাঠামো: বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ও বিইআরসির সূত্র জানায়, নতুন বিলকাঠামোতে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সর্বোচ্চ সীমা বর্তমানের ১০০ ইউনিট থেকে কমিয়ে ৭৫ ইউনিট করা হবে। এর পরের ধাপ হতে পারে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী গ্রাহকদের। তার পর থেকে প্রতি ১০০ ইউনিট অন্তর নতুন ধাপ সৃষ্টি করা হতে পারে।
তবে কাঠামো যেমনই হোক, কোনো গ্রাহকের ধাপ পরিবর্তনের ফলে যেন বিদ্যুৎ বিলে উল্লম্ফন না হয়, কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে সেটিই হবে প্রধান বিবেচনার বিষয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন ধাপের সুবিধা তুলে দিয়ে বিইআরসি এক অভিনব বিলকাঠামো ঘোষণা করায় সারা দেশে গ্রাহকদের কাছে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসতে থাকে। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সরকারি সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয় ও বিইআরসির সঙ্গে সভায় প্রধানমন্ত্রী কী বিবেচনায় ওই বিলকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল, তা জানতে চান। তখন বিইআরসির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলা হয়, এটি করা বিইআরসির ভুল হয়েছে।
সভার সূত্র জানায়, সেখানেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বর্তমান বিলকাঠামো বহাল রাখার পক্ষে বলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাতে কর্ণপাত করেননি। প্রকৃতপক্ষে মন্ত্রণালয়ের চাপেই বিইআরসি ওই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকের বিল বেড়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত।
গত মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিইআরসির সভায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
দাম বৃদ্ধি আর কত: মাত্র ছয় মাস আগে, মার্চে সর্বশেষ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। ওই দাম বৃদ্ধি ছিল বর্তমান সরকারের আমলে পঞ্চমবার। এই পাঁচবারে সর্বনিম্ন বিলকাঠামোর আবাসিক গ্রাহকের ক্ষেত্রে (সর্বোচ্চ ১০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী) প্রতি ইউনিটে বিদ্যুতের দাম বেড়েছিল মোট এক টাকার মতো।
বর্তমান সরকারের শাসনমেয়াদে এবার দাম বাড়ছে ষষ্ঠবারের মতো। টাকার হিসাবে এবারের দাম বৃদ্ধি আগের পাঁচবারের মোট বৃদ্ধির সমান হতে পারে।
সরকারি সূত্রগুলো জানায়, ষষ্ঠবার দাম বৃদ্ধির পরও উপমহাদেশের অনেক দেশের তুলনায় এ দেশে বিদ্যুতের দাম কম থাকবে। তা ছাড়া সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী (লাইফলাইন) গ্রাহকের ক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধির অভিঘাতও সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা হবে সরকারি নীতি অনুযায়ী। বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধির হারও হবে বেশি।
বিলকাঠামো: বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ও বিইআরসির সূত্র জানায়, নতুন বিলকাঠামোতে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সর্বোচ্চ সীমা বর্তমানের ১০০ ইউনিট থেকে কমিয়ে ৭৫ ইউনিট করা হবে। এর পরের ধাপ হতে পারে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী গ্রাহকদের। তার পর থেকে প্রতি ১০০ ইউনিট অন্তর নতুন ধাপ সৃষ্টি করা হতে পারে।
তবে কাঠামো যেমনই হোক, কোনো গ্রাহকের ধাপ পরিবর্তনের ফলে যেন বিদ্যুৎ বিলে উল্লম্ফন না হয়, কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে সেটিই হবে প্রধান বিবেচনার বিষয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন ধাপের সুবিধা তুলে দিয়ে বিইআরসি এক অভিনব বিলকাঠামো ঘোষণা করায় সারা দেশে গ্রাহকদের কাছে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসতে থাকে। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সরকারি সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয় ও বিইআরসির সঙ্গে সভায় প্রধানমন্ত্রী কী বিবেচনায় ওই বিলকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল, তা জানতে চান। তখন বিইআরসির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলা হয়, এটি করা বিইআরসির ভুল হয়েছে।
সভার সূত্র জানায়, সেখানেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বর্তমান বিলকাঠামো বহাল রাখার পক্ষে বলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাতে কর্ণপাত করেননি। প্রকৃতপক্ষে মন্ত্রণালয়ের চাপেই বিইআরসি ওই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকের বিল বেড়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত।
No comments