পদ্মা সেতু প্রকল্প: আগামীকালপর্যন্ত সময়টুকু গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এডিবি ও জাইকার ঋণচুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে -বিশ্বব্যাংকের ঋণ পেতে সরকারের শেষ চেষ্টা
পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের ঋণ পেতে শেষবারের মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভীকে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, আলোচনা ইতিবাচক হলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের চিঠি বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানো হবে।
সরকার আশা করছে, শেষ সময়ের আলোচনায় ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।
সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ শর্ত ছিল প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমানের পদত্যাগ-সম্পর্কিত। তবে সরকার মনে করে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তাই বিশ্বব্যাংকের তিনটি শর্ত মানলেও প্রধানমন্ত্রী মসিউর রহমানকে পদত্যাগের কথা বলবেন না। অবশ্য তিনি নিজে থেকে পদত্যাগ করতে চাইলে সরকার আপত্তি করবে না।
সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংককে দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রী একটি চিঠি তৈরি করে রেখেছেন। এই চিঠিতে চারটি শর্তের মধ্যে তিনটি মানার কথা বলা হয়েছে। উপদেষ্টা মসিউর রহমানের পদত্যাগের শর্তটি এ মুহূর্তে স্থগিত রাখার জন্য বিশ্বব্যাংককে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ঋণ স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার করারও অনুরোধ করা হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংককে দেওয়ার জন্য চিঠির খসড়া প্রধানমন্ত্রীকে দেখান। সেখানে বিশ্বব্যাংকের অন্যতম শর্ত মসিউর রহমানের পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী জানান, যেহেতু পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি, তাই মসিউর রহমান দায়ী নন। কাজেই তিনি মসিউর রহমানকে পদত্যাগ করতে বলবেন না।
সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংককে এখনই চিঠিটি না দিয়ে আগে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আলোচনায় ইতিবাচক ফল পাওয়ার পর চিঠি দেওয়া হবে। এ জন্য উপদেষ্টা গওহর রিজভীকে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা গওহর রিজভী গতকাল লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দুই সপ্তাহের জন্য লন্ডন গিয়েছিলাম। আমার মেয়েকে নিয়ে ফিরেছি।’ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দুই দিন পর এ ব্যাপারে জানানোর আশ্বাস দেন।
সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগর পরিকল্পনা কমিশনে একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) বৈঠক শেষে উপদেষ্টা মসিউর রহমান সরকারের একজন শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ মুহূর্তে তাঁর করণীয় নিয়ে তিনি ওই নীতিনির্ধারকের কাছে জানতে চান। এই নীতিনির্ধারক উপদেষ্টাকে বলেন, ‘সরকার আপনাকে পদত্যাগের কথা বলবে না। তবে দেশ ও জাতির স্বার্থে আপনি কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন কি না, তা আপনার ব্যাপার।’ তখন মসিউর রহমান বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন।
সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা যায়, কাল ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়টুকু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওই দিন অন্যতম দাতা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার ঋণচুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সরকার আশা করছে, এ সময়ে কিছু একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে। এ কারণেই অর্থমন্ত্রী গতকাল বিবৃতি প্রকাশ স্থগিত রেখেছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের ঋণ পাওয়ার বিষয়টি এ মুহূর্তে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এটা সরকারের ভাবমূর্তিরও ব্যাপার। সরকার মনে করে, বিশ্বব্যাংকের ঋণ ছাড়াও পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। কিন্তু এই ঋণ পাওয়াটা এখন সরকারের মর্যাদার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ শর্ত ছিল প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমানের পদত্যাগ-সম্পর্কিত। তবে সরকার মনে করে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তাই বিশ্বব্যাংকের তিনটি শর্ত মানলেও প্রধানমন্ত্রী মসিউর রহমানকে পদত্যাগের কথা বলবেন না। অবশ্য তিনি নিজে থেকে পদত্যাগ করতে চাইলে সরকার আপত্তি করবে না।
সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংককে দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রী একটি চিঠি তৈরি করে রেখেছেন। এই চিঠিতে চারটি শর্তের মধ্যে তিনটি মানার কথা বলা হয়েছে। উপদেষ্টা মসিউর রহমানের পদত্যাগের শর্তটি এ মুহূর্তে স্থগিত রাখার জন্য বিশ্বব্যাংককে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ঋণ স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার করারও অনুরোধ করা হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংককে দেওয়ার জন্য চিঠির খসড়া প্রধানমন্ত্রীকে দেখান। সেখানে বিশ্বব্যাংকের অন্যতম শর্ত মসিউর রহমানের পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী জানান, যেহেতু পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি, তাই মসিউর রহমান দায়ী নন। কাজেই তিনি মসিউর রহমানকে পদত্যাগ করতে বলবেন না।
সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংককে এখনই চিঠিটি না দিয়ে আগে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আলোচনায় ইতিবাচক ফল পাওয়ার পর চিঠি দেওয়া হবে। এ জন্য উপদেষ্টা গওহর রিজভীকে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা গওহর রিজভী গতকাল লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দুই সপ্তাহের জন্য লন্ডন গিয়েছিলাম। আমার মেয়েকে নিয়ে ফিরেছি।’ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দুই দিন পর এ ব্যাপারে জানানোর আশ্বাস দেন।
সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগর পরিকল্পনা কমিশনে একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) বৈঠক শেষে উপদেষ্টা মসিউর রহমান সরকারের একজন শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ মুহূর্তে তাঁর করণীয় নিয়ে তিনি ওই নীতিনির্ধারকের কাছে জানতে চান। এই নীতিনির্ধারক উপদেষ্টাকে বলেন, ‘সরকার আপনাকে পদত্যাগের কথা বলবে না। তবে দেশ ও জাতির স্বার্থে আপনি কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন কি না, তা আপনার ব্যাপার।’ তখন মসিউর রহমান বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন।
সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা যায়, কাল ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়টুকু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওই দিন অন্যতম দাতা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার ঋণচুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সরকার আশা করছে, এ সময়ে কিছু একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে। এ কারণেই অর্থমন্ত্রী গতকাল বিবৃতি প্রকাশ স্থগিত রেখেছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের ঋণ পাওয়ার বিষয়টি এ মুহূর্তে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এটা সরকারের ভাবমূর্তিরও ব্যাপার। সরকার মনে করে, বিশ্বব্যাংকের ঋণ ছাড়াও পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। কিন্তু এই ঋণ পাওয়াটা এখন সরকারের মর্যাদার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
No comments