রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে রাজি করাতে কাজ করুন- ওআইসি সদস্যদের প্রতি রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ ও সমৃদ্ধ জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করার জন্য তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারকে রাজি করাতে ওআইসির সদস্যভূক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার রাতে মক্কা আল-মুকাররামায় ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনের চতুর্থ বিশেষ অধিবেশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা দ্বি-পাক্ষিক ও বহুপাক্ষিকভাবে এই দীর্ঘস্থায়ী (রোহিঙ্গা) সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারে অবশ্যই সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করবো।’ খবর বাসসর।
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রেক্ষিতে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ হাইকমিশনার সেখানে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালানোর বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত সংখ্যালঘু মুসলমানদের অবস্থা গভীর উদ্বেগজনক। তিনি আরও বলেন, এটি কেবলমাত্র মুসলমানদের সুরক্ষা ও তাদের বিশ্বাসের বিষয় নয়; এটি একটি সর্বজনীন মানবাধিকারের বিষয়। জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এই সংখ্যালঘু জনগণের পক্ষে আমাদের বিশ্ববাসীর নৈতিক আদর্শ পুনরুজ্জীবিত করা এবং এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে
প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া দরকার। সৌদি বাদশাহ আব্দুলাহ বিন আব্দুল আজিজ আল- সউদ আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনের চতুর্থ অধিবেশনে ওআইসি’র (ইসলামি সহযোগিতা সংখ্যা) সদস্যভূক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যোগ দেন। রাষ্ট্রপ্রতি জিল্লুর রহমান বলেন, ফিলিস্তিন প্রশ্ন মুসলমানদের নিপীড়ন ও তাদের প্রতি অবিচারের একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রচলিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি গণসচেতনতার জন্য বিশেষ করে অ-মুসলিম দেশগুলোর সরকারকে এ ব্যাপারে প্রভাবিত করতে আমাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ফিলিস্তিন সংকটের ন্যায়সঙ্গত সমাধানের জন্য ফিলিস্তিনিদের বৈধ অধিকারের পক্ষে অবশ্যই বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে হবে।
রাষ্ট্রপতি রহমান দাবি করেন যে ইসলামি ভ্রাতৃত্বের মহান মূল্যবোধ আন্তর্জাতিক রাজনীতির গতি-প্রকৃতির কারণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে অনেক সংঘাত ও বিরোধের সম্মুখীন হচ্ছি। এসব কেবল মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে নয়, দুঃখজনকভাবে সেগুলো মুসলিমদের সঙ্গে মুসলিমদের।’ রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, আজকের দিনে আমরা মুসলিমদের ওপর যে অত্যাচার-নিপীড়ন প্রত্যক্ষ করছি তা ইসলামের শান্তি ও ন্যায়বিচারের আদর্শ সমুন্নত রাখার বাধ্যবাধকতার প্রতি আমাদের জন্য এক জাগরণী আহ্বান। এই বিশ্বায়নের যুগে আমরা বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করতে পারি না।’ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে আমাদের স্বপক্ষে প্রভাবিত করার মতো প্রজ্ঞা, জ্ঞান, সম্পদ, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আমাদের রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটা করতে হলে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি এবং ইসলামের ন্যায়বিচার ও সাম্যের মূল্যবোধ বাস্তবায়ন এবং মুসলিম দেশের জনগণকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রাণহানি ও সম্পদ বিনষ্টের ঘটনায় হতাশা ব্যক্ত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সিরিয়ায় এমনকি এই রমজান মাসেও অন্তহীন হত্যাকাণ্ড ইসলামের সমবেদনা ও দয়ার সুমহান আদর্শের পরিপন্থী।’ তিনি বলেন, এসব বিরোধের কারণ ও প্রকৃতি নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, কেউ এসবকে গণতন্ত্র অর্জনের জন্য অপরিহার্য দুঃখকষ্ট হিসেবে দেখতে পারে, কেউ এসবকে বিশ্বায়নের বিরূপ প্রভাবের ফল হিসেবে কেউবা আবার এসবকে বাইরের শক্তির ষড়যন্ত্র হিসেবেও দেখতে পারে। কারণ যা-ই হোক এসব ভোগান্তি কোনো পরিস্থিতিতেই যৌক্তিক হতে পারে না।রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আমাদের নাগরিকদের মৌলিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা এসব মানবিক বিপর্যয় এড়াতে পারি।’ তিনি বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অমর্যাদা থেকে মুক্তি ভবিষ্যতে এ ধরনের যেকোনো রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে একটি টেকসই সমাধান হতে পারে। তিনি বলেন, ‘ইসলামের মধ্যপন্থা এবং আলাপ-আলোচনার ঐতিহ্য অনুসরণের মাধ্যমে একটি অহিংস সমাধানে পৌঁছা সম্ভব। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হিসেবে শুরু থেকেই সিরিয়া সংকটের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আসছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের সময় ইসলামী উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা কেবল আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয় বরং আমাদের সামাজিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এটি বাস্তবায়িত হওয়া উচিত।’ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান রোববার রাতে সৌদি বাদশাহর আমন্ত্রণে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। রাষ্ট্রপতি আজ দেশে ফিরবেন।
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রেক্ষিতে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ হাইকমিশনার সেখানে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালানোর বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত সংখ্যালঘু মুসলমানদের অবস্থা গভীর উদ্বেগজনক। তিনি আরও বলেন, এটি কেবলমাত্র মুসলমানদের সুরক্ষা ও তাদের বিশ্বাসের বিষয় নয়; এটি একটি সর্বজনীন মানবাধিকারের বিষয়। জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এই সংখ্যালঘু জনগণের পক্ষে আমাদের বিশ্ববাসীর নৈতিক আদর্শ পুনরুজ্জীবিত করা এবং এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে
প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া দরকার। সৌদি বাদশাহ আব্দুলাহ বিন আব্দুল আজিজ আল- সউদ আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনের চতুর্থ অধিবেশনে ওআইসি’র (ইসলামি সহযোগিতা সংখ্যা) সদস্যভূক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যোগ দেন। রাষ্ট্রপ্রতি জিল্লুর রহমান বলেন, ফিলিস্তিন প্রশ্ন মুসলমানদের নিপীড়ন ও তাদের প্রতি অবিচারের একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রচলিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি গণসচেতনতার জন্য বিশেষ করে অ-মুসলিম দেশগুলোর সরকারকে এ ব্যাপারে প্রভাবিত করতে আমাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ফিলিস্তিন সংকটের ন্যায়সঙ্গত সমাধানের জন্য ফিলিস্তিনিদের বৈধ অধিকারের পক্ষে অবশ্যই বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে হবে।
রাষ্ট্রপতি রহমান দাবি করেন যে ইসলামি ভ্রাতৃত্বের মহান মূল্যবোধ আন্তর্জাতিক রাজনীতির গতি-প্রকৃতির কারণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে অনেক সংঘাত ও বিরোধের সম্মুখীন হচ্ছি। এসব কেবল মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে নয়, দুঃখজনকভাবে সেগুলো মুসলিমদের সঙ্গে মুসলিমদের।’ রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, আজকের দিনে আমরা মুসলিমদের ওপর যে অত্যাচার-নিপীড়ন প্রত্যক্ষ করছি তা ইসলামের শান্তি ও ন্যায়বিচারের আদর্শ সমুন্নত রাখার বাধ্যবাধকতার প্রতি আমাদের জন্য এক জাগরণী আহ্বান। এই বিশ্বায়নের যুগে আমরা বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করতে পারি না।’ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে আমাদের স্বপক্ষে প্রভাবিত করার মতো প্রজ্ঞা, জ্ঞান, সম্পদ, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আমাদের রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটা করতে হলে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি এবং ইসলামের ন্যায়বিচার ও সাম্যের মূল্যবোধ বাস্তবায়ন এবং মুসলিম দেশের জনগণকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রাণহানি ও সম্পদ বিনষ্টের ঘটনায় হতাশা ব্যক্ত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সিরিয়ায় এমনকি এই রমজান মাসেও অন্তহীন হত্যাকাণ্ড ইসলামের সমবেদনা ও দয়ার সুমহান আদর্শের পরিপন্থী।’ তিনি বলেন, এসব বিরোধের কারণ ও প্রকৃতি নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, কেউ এসবকে গণতন্ত্র অর্জনের জন্য অপরিহার্য দুঃখকষ্ট হিসেবে দেখতে পারে, কেউ এসবকে বিশ্বায়নের বিরূপ প্রভাবের ফল হিসেবে কেউবা আবার এসবকে বাইরের শক্তির ষড়যন্ত্র হিসেবেও দেখতে পারে। কারণ যা-ই হোক এসব ভোগান্তি কোনো পরিস্থিতিতেই যৌক্তিক হতে পারে না।রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আমাদের নাগরিকদের মৌলিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা এসব মানবিক বিপর্যয় এড়াতে পারি।’ তিনি বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অমর্যাদা থেকে মুক্তি ভবিষ্যতে এ ধরনের যেকোনো রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে একটি টেকসই সমাধান হতে পারে। তিনি বলেন, ‘ইসলামের মধ্যপন্থা এবং আলাপ-আলোচনার ঐতিহ্য অনুসরণের মাধ্যমে একটি অহিংস সমাধানে পৌঁছা সম্ভব। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হিসেবে শুরু থেকেই সিরিয়া সংকটের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আসছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের সময় ইসলামী উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা কেবল আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয় বরং আমাদের সামাজিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এটি বাস্তবায়িত হওয়া উচিত।’ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান রোববার রাতে সৌদি বাদশাহর আমন্ত্রণে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। রাষ্ট্রপতি আজ দেশে ফিরবেন।
No comments