আলীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষীর জেরা শেষ
বিএনপির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী আবদুল মোমেনকে গতকাল বুধবার জেরা শেষ করেছে আসামিপক্ষ। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে দুই সদস্যের (এক সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন) ট্রাইব্যুনাল-২-এ সাক্ষীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী খলিলুর রহমান। শারীরিক কারণে জামিনে থাকা আলীম এ সময় ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।
হাটশহর গ্রামে গোলাগুলি শুরুর সময় সাক্ষী কোথায় ছিলেন—আইনজীবীর এই প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, তিনি তখন পবন বাবুর বাড়ির পেছনে লুকিয়ে ছিলেন। হাটশহরের হিন্দু পল্লি থেকে যাঁদের ধরা হয়েছিল, তাঁদের ট্রাকে নাকি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল—এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি তাঁর জানা নেই।
খলিলুর রহমান মত (সাজেশন) দেন, শাওনলাল বাজলার বাড়ি ও আবদুল আলীমের বাড়ি মুখোমুখি ছিল না। সাক্ষী বলেন, এটি সত্য নয়। আইনজীবী পরে মত দেন, সাক্ষী আওয়ামী লীগের সমর্থক, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় তিনি এই মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসেছেন। সাক্ষী এই মতেরও বিরোধিতা করেন। পরে এই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
মতিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার আবেদন: একই ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর নেতা কামারুজ্জামানের আইনজীবী তাজুল ইসলাম কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, ৭ আগস্ট মতিয়া চৌধুরী শেরপুরে গরিবদের মধ্যে সেমাই, চিনি প্রভৃতি বিতরণকালে বলেছেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সাফাই সাক্ষ্য দিতে যাবে, তাদের চিহ্নিত করে এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সাফাই সাক্ষ্য দিয়ে তারা বাড়ি ফিরতে পারবে কি না সন্দেহ। ঘরে ফেরার আগেই জনগণ তাদের পিটিয়ে বিচার করে ফেলবে।’ তাঁর এই বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। আবেদনের সঙ্গে দুটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।
শুনানির জন্য ৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
খলিলুর রহমান মত (সাজেশন) দেন, শাওনলাল বাজলার বাড়ি ও আবদুল আলীমের বাড়ি মুখোমুখি ছিল না। সাক্ষী বলেন, এটি সত্য নয়। আইনজীবী পরে মত দেন, সাক্ষী আওয়ামী লীগের সমর্থক, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় তিনি এই মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসেছেন। সাক্ষী এই মতেরও বিরোধিতা করেন। পরে এই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
মতিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার আবেদন: একই ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর নেতা কামারুজ্জামানের আইনজীবী তাজুল ইসলাম কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, ৭ আগস্ট মতিয়া চৌধুরী শেরপুরে গরিবদের মধ্যে সেমাই, চিনি প্রভৃতি বিতরণকালে বলেছেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সাফাই সাক্ষ্য দিতে যাবে, তাদের চিহ্নিত করে এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সাফাই সাক্ষ্য দিয়ে তারা বাড়ি ফিরতে পারবে কি না সন্দেহ। ঘরে ফেরার আগেই জনগণ তাদের পিটিয়ে বিচার করে ফেলবে।’ তাঁর এই বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। আবেদনের সঙ্গে দুটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।
শুনানির জন্য ৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
No comments