গুজরাট দাঙ্গা- গণহত্যার মামলায় ৩২ জন দোষী সাব্যস্ত
ভারতের গুজরাটে ২০০২ সালে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা চলাকালে আহমেদাবাদ শহরের নারোদা পাতিয়া এলাকায় গণহত্যার ঘটনায় করা মামলায় ৩২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন সে দেশের একটি আদালত। মামলায় ২৯ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার আদালত এই আদেশ দেন।
দোষী ব্যক্তিদের সাজা পরে ঘোষণা করা হবে।
দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী মায়া কোদনানি ও কট্টর হিন্দু গোষ্ঠী বজরং দলের সাবেক নেতা বাবু বজরংও রয়েছেন। রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরের নারোদা পাতিয়া এলাকায় ২৮ ফেব্রুয়ারি দাঙ্গায় অন্তত ৯৫ জন নিহত হন। দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা সরাসরি হত্যাযজ্ঞে কিংবা ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছেন আদালত।
এই মামলার শুনানি শুরু হয় ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে। প্রাথমিকভাবে ৬২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। শুনানি চলাকালে এক আসামির মৃত্যু হয়।
দাঙ্গার সময় মায়া কোদনানি রাজ্য সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়নবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে ২০০৯ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০২ সালে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬০ জন হিন্দু তীর্থযাত্রী নিহত হন। এ ঘটনার জের ধরে রাজ্যজুড়ে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত এক হাজার ব্যক্তি নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই ছিলেন মুসলিম।
হিন্দুরা অভিযোগ করেছিল, মুসলিমরা ওই ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে। এর প্রতিশোধ নিতে হিন্দুরা শহর, গ্রামসহ সারা গুজরাটে মুসলিমদের ওপর হামলা চালায়।
ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গুজরাট সরকার ২০০৮ সালে একটি কমিশন গঠন করে। তদন্ত শেষে কমিশন নিশ্চিত হয় এই ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু ২০০৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তে বলা হয়েছিল, দুর্ঘটনাবশত ট্রেনে আগুন ধরে যায়।
দাঙ্গা দমনে গুজরাট সরকার যথেষ্ট তৎপর ছিল না বলে অভিযোগ রয়েছে। নরেন্দ্র মোদী ২০০১ সাল পর্যন্ত গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। অভিযোগ থেকে ২০০৮ সালের তদন্তে নরেন্দ্রের নাম বাদ দেওয়া হয়। বিবিসি
দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী মায়া কোদনানি ও কট্টর হিন্দু গোষ্ঠী বজরং দলের সাবেক নেতা বাবু বজরংও রয়েছেন। রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরের নারোদা পাতিয়া এলাকায় ২৮ ফেব্রুয়ারি দাঙ্গায় অন্তত ৯৫ জন নিহত হন। দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা সরাসরি হত্যাযজ্ঞে কিংবা ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছেন আদালত।
এই মামলার শুনানি শুরু হয় ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে। প্রাথমিকভাবে ৬২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। শুনানি চলাকালে এক আসামির মৃত্যু হয়।
দাঙ্গার সময় মায়া কোদনানি রাজ্য সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়নবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে ২০০৯ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০২ সালে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬০ জন হিন্দু তীর্থযাত্রী নিহত হন। এ ঘটনার জের ধরে রাজ্যজুড়ে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত এক হাজার ব্যক্তি নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই ছিলেন মুসলিম।
হিন্দুরা অভিযোগ করেছিল, মুসলিমরা ওই ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে। এর প্রতিশোধ নিতে হিন্দুরা শহর, গ্রামসহ সারা গুজরাটে মুসলিমদের ওপর হামলা চালায়।
ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গুজরাট সরকার ২০০৮ সালে একটি কমিশন গঠন করে। তদন্ত শেষে কমিশন নিশ্চিত হয় এই ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু ২০০৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তে বলা হয়েছিল, দুর্ঘটনাবশত ট্রেনে আগুন ধরে যায়।
দাঙ্গা দমনে গুজরাট সরকার যথেষ্ট তৎপর ছিল না বলে অভিযোগ রয়েছে। নরেন্দ্র মোদী ২০০১ সাল পর্যন্ত গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। অভিযোগ থেকে ২০০৮ সালের তদন্তে নরেন্দ্রের নাম বাদ দেওয়া হয়। বিবিসি
No comments