থম আলোকে মোদাচ্ছের- এলাকার লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে ব্যাংকে যাই by ইফতেখার মাহমুদ
প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী হলমার্ক গ্রুপের কেলেঙ্কারির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের দাওয়াতে দুবার ওখানে যাওয়া ছাড়া তাদের সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পর্ক নাই।’
ত২৬ আগস্ট রাতে প্রথম আলোর সঙ্গে মুঠোফোনে সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এসব কথা বলেন। তিনি এ সময় জানান, সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে হলমার্কের তানভীরের আড়াই হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করার ব্যাপারে তিনি কোনো প্রভাব খাটাননি। তবে তানভীর মাহমুদের গ্রামের বাড়িতে দেওয়া সংবর্ধনায় তিনি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে হলমার্ক গ্রুপ আয়োজিত অনুষ্ঠানেও গিয়েছিলেন তিনি।
গত মে মাসে আড়াই হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির বিষয়টি তদন্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখায় যায়। তদন্ত দলের পরিদর্শনের সময় সেখানে কেন উপস্থিত হয়েছিলেন—জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘রূপসী বাংলা শাখায় আমার এলাকার একটি মেয়েসহ কয়েকজন চাকরি করে। আমি তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত দলের সদস্যরা আমার কাছে এলে আমি তাদের বলি, তোমাদের যদি কোনো ব্যাপারে সহযোগিতা দরকার হয় তাহলে আমার অফিসে এসো।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিজের ভিজিটিং কার্ড দেওয়ার কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা জানান, ‘ঋণ জালিয়াতির ব্যাপারে কোনো প্রভাব তৈরি করা বা এ-সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে আমার আলাপ হয়নি।’
রূপসী বাংলা শাখায় কর্মরত এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে সৈয়দ মোদাচ্ছের প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই মেয়ের বাড়ি আমার এলাকায়। আমি কোনো প্রভাব তৈরি করলে তার নাম তদন্তে আসত। কিন্তু খুঁজে দেখেন তার নাম তদন্তে নেই। সে এখন ধানমন্ডিতে সোনালী ব্যাংকের একটি শাখায় কর্মরত আছে।’
হলমার্ক গ্রুপের তিনটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে দাওয়াত পাওয়া ও দুটিতে যোগ দেওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে সৈয়দ মোদাচ্ছের বলেন, ‘হলমার্কের তানভীরের সঙ্গে কথা বলে অনেক ভালো মানুষ মনে হয়েছে। হাজার হাজার লোক তার ওখানে চাকরি করে। সে যে চোর তা তখন আমি কী করে বলব। এই ধরেন, আমি আপনার সঙ্গে হেসে কথা বলছি, কিন্তু পরে যদি শুনি আপনি অন্য রকম, তখন আমি কী করব বলেন।’
হলমার্কের তানভীর মাহমুদ ও আপনি রোজার মাসে সরকারের এক মন্ত্রীর বাসায় গিয়েছিলেন। কথা উঠেছে হলমার্ক গ্রুপকে রক্ষা করতে আপনি চেষ্টা করছেন। এই প্রশ্ন করা হলে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন কত কিছু নিয়ে কত কথা উঠছে। একবার একটা কথা প্রচার হয়ে গেলে কত ভাবে দেখা হয়।’
প্রধানমন্ত্রীর ওই উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জাতীয় রপ্তানি পদক পাওয়ার পর তানভীরের গ্রামের বাড়ি আশুগঞ্জে এক সংবর্ধনার আয়োজন করে আমাকে অতিথি করা হয়। আমি তার অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ আসনের সাংসদ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলি। তানভীর সম্পর্কে জানতে চাই। তারা বলেছিল তানভীর ভালো মানুষ। আমাদের দলের অনেককে চাকরি দিয়েছে। হেমায়েতপুরের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে স্থানীয় সাংসদ এবং আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের কাছে হলমার্ক গ্রুপের তানভীর সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। সে-ও ভালোই রিপোর্ট দিয়েছিল। এসব জেনেই আমি হলমার্কের অনুষ্ঠানে যাই। আমি শুধু নিশ্চিত হতে চেয়েছি, সে জামায়াত বা অন্য কোনো লাইনের কিনা। ওই লাইনের হলে তো বিপদ।’
হলমার্ক গ্রুপ যে ব্যাংক থেকে এত টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করেছে তা প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন বলে জানান এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যারাই যুক্ত থাকুক না কেন, তাদের শাস্তি হতে হবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
সোনালী ব্যাংকের পরিচালকদের মধ্যে আপনার দলের কয়েকজন নেতা রয়েছেন। তাঁদের কোনো প্রভাব এ ক্ষেত্রে কাজ করেছে কি না, জানতে চাইলে সৈয়দ মোদাচ্ছের বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের পরিচালক শুধু নন, চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে অনেকের সঙ্গেই আমার ভালো পরিচয় আছে। তাঁদের জিজ্ঞেস করতে পারেন, আমি কোনো প্রভাব খাটিয়েছি কিনা।’
ধলেশ্বর নদ দখল ও ভরাটের অপরাধে হলমার্ক গ্রুপকে পরিবেশ অধিদপ্তর ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল। পরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের আপিল আদালত জরিমানার ৩৬ লাখ টাকা মাফ করে দেন। এ ক্ষেত্রে আপনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের টেলিফোন করে জরিমানার টাকা মাফ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন বলে শোনা যায়। এই প্রশ্নে সৈয়দ মোদাচ্ছের বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর বা পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের কাউকে আমি এই ব্যপারে টেলিফোন করেছি তা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।’
সোনালী ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারি ও সাভারের জমি দখল নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা আছে, সরকারের প্রভাবশালী মহলের মদদপুষ্ট হওয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হলমার্ক গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এই প্রসঙ্গ তোলা হলে সবশেষে সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, ‘কারও সঙ্গে চললে সে যদি তা অন্যত্র ব্যবহার করে, তাহলে আমার কী করার আছে।’
গত মে মাসে আড়াই হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির বিষয়টি তদন্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখায় যায়। তদন্ত দলের পরিদর্শনের সময় সেখানে কেন উপস্থিত হয়েছিলেন—জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘রূপসী বাংলা শাখায় আমার এলাকার একটি মেয়েসহ কয়েকজন চাকরি করে। আমি তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত দলের সদস্যরা আমার কাছে এলে আমি তাদের বলি, তোমাদের যদি কোনো ব্যাপারে সহযোগিতা দরকার হয় তাহলে আমার অফিসে এসো।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিজের ভিজিটিং কার্ড দেওয়ার কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা জানান, ‘ঋণ জালিয়াতির ব্যাপারে কোনো প্রভাব তৈরি করা বা এ-সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে আমার আলাপ হয়নি।’
রূপসী বাংলা শাখায় কর্মরত এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে সৈয়দ মোদাচ্ছের প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই মেয়ের বাড়ি আমার এলাকায়। আমি কোনো প্রভাব তৈরি করলে তার নাম তদন্তে আসত। কিন্তু খুঁজে দেখেন তার নাম তদন্তে নেই। সে এখন ধানমন্ডিতে সোনালী ব্যাংকের একটি শাখায় কর্মরত আছে।’
হলমার্ক গ্রুপের তিনটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে দাওয়াত পাওয়া ও দুটিতে যোগ দেওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে সৈয়দ মোদাচ্ছের বলেন, ‘হলমার্কের তানভীরের সঙ্গে কথা বলে অনেক ভালো মানুষ মনে হয়েছে। হাজার হাজার লোক তার ওখানে চাকরি করে। সে যে চোর তা তখন আমি কী করে বলব। এই ধরেন, আমি আপনার সঙ্গে হেসে কথা বলছি, কিন্তু পরে যদি শুনি আপনি অন্য রকম, তখন আমি কী করব বলেন।’
হলমার্কের তানভীর মাহমুদ ও আপনি রোজার মাসে সরকারের এক মন্ত্রীর বাসায় গিয়েছিলেন। কথা উঠেছে হলমার্ক গ্রুপকে রক্ষা করতে আপনি চেষ্টা করছেন। এই প্রশ্ন করা হলে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন কত কিছু নিয়ে কত কথা উঠছে। একবার একটা কথা প্রচার হয়ে গেলে কত ভাবে দেখা হয়।’
প্রধানমন্ত্রীর ওই উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জাতীয় রপ্তানি পদক পাওয়ার পর তানভীরের গ্রামের বাড়ি আশুগঞ্জে এক সংবর্ধনার আয়োজন করে আমাকে অতিথি করা হয়। আমি তার অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ আসনের সাংসদ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলি। তানভীর সম্পর্কে জানতে চাই। তারা বলেছিল তানভীর ভালো মানুষ। আমাদের দলের অনেককে চাকরি দিয়েছে। হেমায়েতপুরের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে স্থানীয় সাংসদ এবং আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের কাছে হলমার্ক গ্রুপের তানভীর সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। সে-ও ভালোই রিপোর্ট দিয়েছিল। এসব জেনেই আমি হলমার্কের অনুষ্ঠানে যাই। আমি শুধু নিশ্চিত হতে চেয়েছি, সে জামায়াত বা অন্য কোনো লাইনের কিনা। ওই লাইনের হলে তো বিপদ।’
হলমার্ক গ্রুপ যে ব্যাংক থেকে এত টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করেছে তা প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন বলে জানান এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যারাই যুক্ত থাকুক না কেন, তাদের শাস্তি হতে হবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
সোনালী ব্যাংকের পরিচালকদের মধ্যে আপনার দলের কয়েকজন নেতা রয়েছেন। তাঁদের কোনো প্রভাব এ ক্ষেত্রে কাজ করেছে কি না, জানতে চাইলে সৈয়দ মোদাচ্ছের বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের পরিচালক শুধু নন, চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে অনেকের সঙ্গেই আমার ভালো পরিচয় আছে। তাঁদের জিজ্ঞেস করতে পারেন, আমি কোনো প্রভাব খাটিয়েছি কিনা।’
ধলেশ্বর নদ দখল ও ভরাটের অপরাধে হলমার্ক গ্রুপকে পরিবেশ অধিদপ্তর ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল। পরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের আপিল আদালত জরিমানার ৩৬ লাখ টাকা মাফ করে দেন। এ ক্ষেত্রে আপনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের টেলিফোন করে জরিমানার টাকা মাফ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন বলে শোনা যায়। এই প্রশ্নে সৈয়দ মোদাচ্ছের বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর বা পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের কাউকে আমি এই ব্যপারে টেলিফোন করেছি তা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।’
সোনালী ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারি ও সাভারের জমি দখল নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা আছে, সরকারের প্রভাবশালী মহলের মদদপুষ্ট হওয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হলমার্ক গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এই প্রসঙ্গ তোলা হলে সবশেষে সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, ‘কারও সঙ্গে চললে সে যদি তা অন্যত্র ব্যবহার করে, তাহলে আমার কী করার আছে।’
No comments