সাভারে ছাত্রদল নেতা খুন- ১৫ জনকে আসামি করে মামলা
সাভার পৌর এলাকার ডগরমুড়া মহল্লার ছাত্রদলের নেতা রবিন খান খুনের ঘটনায় তাঁর বাবা সোলেমান খান বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে সাভার থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় সেলিমসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে রবিন খান মুঠোফোনে কল পেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে রবিন খান মুঠোফোনে কল পেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে
একই এলাকার সেলিমদের বাসায় যান। ওই বাসায় যাওয়ার পর সেলিম তাঁকে তাঁর শয়নকক্ষে নিয়ে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। তাঁকে সহায়তা করেন তাঁর আরও তিন বন্ধু। হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই দিন বিকেলেই তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতেই তাঁর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রবিনের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় ডগরমুড়ার সেলিম, মেহেদি হাসান, লোকমান, ফিরোজ, আল-আমিন, সুমন, জুয়েল, বাশার, মানিক, ফারুক, রাজু, মামুন ও লাকি এবং পাশের চাঁপাইন এলাকার শাওন ও বাবুকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু মামলার বাদী তাঁদের মধ্যে সেলিম ছাড়া আর কাউকে চেনেন না বলে দাবি করেন। সোলেমান জানান, ঘটনার পর থানার পুলিশ মামলা লিখে তাঁর স্বাক্ষর নিয়েছে। তাঁর ইচ্ছায় তিনি কাউকে আসামি করেননি। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে গতকাল জানা যায়, রবিন ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় এলাকায় তাঁর একটা প্রভাব ছিল। এলাকার বেশ কিছু ছেলে রবিনের নেতৃত্বে সংগঠিত ছিল। দলীয় মিছিল ও সমাবেশে রবিন তাঁদের ব্যবহার করতেন। অপরাধ কাজেও তাঁদের ব্যবহার করার অভিযোগ আছে। এসব কারণে এলাকায় তাঁর প্রতিপক্ষও ছিল। এসবের জের ধরেও রবিন খুন হতে পারেন।
আরেকটি সূত্র জানায়, সেলিমের বাবা-মা দুবাইপ্রবাসী। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এলাকার একটি মহল সেলিমেদের বাড়িটি দখলের পাঁয়তারা করছে। ওই মহলটিও কৌশলে সেলিমের বাড়িতে নিয়ে রবিনকে খুন করে দায়ভার সেলিমের ওপর চাপানোর চেষ্টা করতে পারে, যাতে সেলিম মামলার আসামি হলে তাঁরা অনায়াসে বাড়িটি দখল করতে পারেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সফিউল আলম জানান, গতকাল পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করা সম্ভব হয়নি। তবে টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। রবিনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় দ্রুত বিচার আইনে করা একটি মামলা এখনো চলমান। এ ছাড়া বিভিন্ন থানায় আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
মামলায় ডগরমুড়ার সেলিম, মেহেদি হাসান, লোকমান, ফিরোজ, আল-আমিন, সুমন, জুয়েল, বাশার, মানিক, ফারুক, রাজু, মামুন ও লাকি এবং পাশের চাঁপাইন এলাকার শাওন ও বাবুকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু মামলার বাদী তাঁদের মধ্যে সেলিম ছাড়া আর কাউকে চেনেন না বলে দাবি করেন। সোলেমান জানান, ঘটনার পর থানার পুলিশ মামলা লিখে তাঁর স্বাক্ষর নিয়েছে। তাঁর ইচ্ছায় তিনি কাউকে আসামি করেননি। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে গতকাল জানা যায়, রবিন ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় এলাকায় তাঁর একটা প্রভাব ছিল। এলাকার বেশ কিছু ছেলে রবিনের নেতৃত্বে সংগঠিত ছিল। দলীয় মিছিল ও সমাবেশে রবিন তাঁদের ব্যবহার করতেন। অপরাধ কাজেও তাঁদের ব্যবহার করার অভিযোগ আছে। এসব কারণে এলাকায় তাঁর প্রতিপক্ষও ছিল। এসবের জের ধরেও রবিন খুন হতে পারেন।
আরেকটি সূত্র জানায়, সেলিমের বাবা-মা দুবাইপ্রবাসী। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এলাকার একটি মহল সেলিমেদের বাড়িটি দখলের পাঁয়তারা করছে। ওই মহলটিও কৌশলে সেলিমের বাড়িতে নিয়ে রবিনকে খুন করে দায়ভার সেলিমের ওপর চাপানোর চেষ্টা করতে পারে, যাতে সেলিম মামলার আসামি হলে তাঁরা অনায়াসে বাড়িটি দখল করতে পারেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সফিউল আলম জানান, গতকাল পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করা সম্ভব হয়নি। তবে টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। রবিনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় দ্রুত বিচার আইনে করা একটি মামলা এখনো চলমান। এ ছাড়া বিভিন্ন থানায় আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
No comments