রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল- নষ্ট যন্ত্রপাতির মেরামত নিয়ে এবার ঠেলাঠেলি
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মেডিকেল কলেজ থেকে সরবরাহ করা সেসব যন্ত্রপাতির মধ্যে চক্ষু বিভাগের বেশ কিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা সরবরাহ করেছে—তারাই মেরামত করে দেবে। অপর দিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে যারা ব্যবহার করছে, তারাই মেরামত করবে।
অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের অগ্রাধিকারভিত্তিক চাহিদা ছাড়াই রামেক কর্তৃপক্ষ ২০০৯-১০ অর্থবছরে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ১০১ পদের যন্ত্রপাতি ক্রয় করে। নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালের ভান্ডারের রেজিস্টারভুক্ত হওয়ার পরেই যন্ত্রগুলো হাসপাতালের ওয়ার্ডে পাঠানোর কথা। কিন্তু রামেক কর্তৃপক্ষ যন্ত্রপাতিগুলো সরাসরি হাসপাতালের ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়।
এর সরবরাহ তালিকায় রামেকের তৎকালীন অধ্যক্ষ এ বি এম আবদুল হান্নান স্বাক্ষর করেন। এই অনিয়মের কারণে অনেক ভারী যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন পড়ে ছিল। সম্প্রতি সেগুলো কাজে লাগালেও অল্প সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার কোনোটি শুরু থেকেই পড়ে রয়েছে। ব্যবহার করতে গেলে মেরামত করা দরকার।
সম্প্রতি চক্ষু বিভাগের বেশ কিছু যন্ত্রপাতি মেরামত করা জরুরি হয়ে পড়ে। ১ আগস্ট চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তানজিলা আলম কলেজ থেকে সরবরাহ করা নষ্ট ও পড়ে থাকা যন্ত্রগুলোর তালিকা হাসপাতালের পরিচালকের কাছে পাঠান। এর মধ্যে স্টিল ল্যাম্প বায়োমাইক্রোসকোপ উইথ ইমেজিং সিস্টেম যন্ত্রটির সফটওয়্যার আপডেট করা প্রয়োজন। অটোমেটেড ভিজুয়াল ফিল্ড এনালাইজার যন্ত্রটির প্রশিক্ষিত কারিগর না থাকার কারণে চালানোই সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া এখন যন্ত্রটি চালাতে গেলে এর সফটওয়্যার আপডেট করা দরকার। অপারেশন মাইক্রোসকোপ যন্ত্রটি চললেও এর ইলুমিনেশন এত খারাপ যে এখনই মেরামত করা জরুরি। ডিজিটাল এফএফএ যন্ত্রটির প্রশিক্ষিত কারিগর না থাকার কারণে চালানোই সম্ভব হয়নি। আবার এখন যন্ত্রটি চালাতে হলে এর সফটওয়্যার আপডেট করা দরকার। দুটি এ-স্ক্যান যন্ত্রের একটি শুরু থেকেই পড়ে রয়েছে। চালাতে হলে এর মেরামত করা প্রয়োজন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১২ আগস্ট হাসপাতালের পরিচালকের পক্ষ থেকে কলেজের অধ্যক্ষকে দেওয়া একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সাপোর্টিং মেশিন/সার্ভিসিং যন্ত্রপাতি না থাকার কারণে কলেজ থেকে সরবরাহ করা যন্ত্রগুলো ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইন উদ্দীন বলেন, যন্ত্রগুলো কোন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ কিনেছে, হাসপাতাল তা জানে না। এর সফটওয়্যার দিতে হলে যে প্রতিষ্ঠান থেকে এগুলো কেনা হয়েছে, তাদের ডাকতে হবে। কিন্তু তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্যই হাসপাতালে নেই। তিনি যথারীতি কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তারা অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি মন্ত্রণালয়কে জানাবেন।
কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালকে দেওয়া যন্ত্রগুলো যে কলেজকে মেরামত করে দিতে হবে—এটা সঠিক নয়। হাসপাতালকে কেউ কোনো জিনিস দান করলেও সেটা তখন হাসপাতালের হয়ে যায়। সেটা মেরামতের দায়িত্ব তাদেরই।
এর সরবরাহ তালিকায় রামেকের তৎকালীন অধ্যক্ষ এ বি এম আবদুল হান্নান স্বাক্ষর করেন। এই অনিয়মের কারণে অনেক ভারী যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন পড়ে ছিল। সম্প্রতি সেগুলো কাজে লাগালেও অল্প সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার কোনোটি শুরু থেকেই পড়ে রয়েছে। ব্যবহার করতে গেলে মেরামত করা দরকার।
সম্প্রতি চক্ষু বিভাগের বেশ কিছু যন্ত্রপাতি মেরামত করা জরুরি হয়ে পড়ে। ১ আগস্ট চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তানজিলা আলম কলেজ থেকে সরবরাহ করা নষ্ট ও পড়ে থাকা যন্ত্রগুলোর তালিকা হাসপাতালের পরিচালকের কাছে পাঠান। এর মধ্যে স্টিল ল্যাম্প বায়োমাইক্রোসকোপ উইথ ইমেজিং সিস্টেম যন্ত্রটির সফটওয়্যার আপডেট করা প্রয়োজন। অটোমেটেড ভিজুয়াল ফিল্ড এনালাইজার যন্ত্রটির প্রশিক্ষিত কারিগর না থাকার কারণে চালানোই সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া এখন যন্ত্রটি চালাতে গেলে এর সফটওয়্যার আপডেট করা দরকার। অপারেশন মাইক্রোসকোপ যন্ত্রটি চললেও এর ইলুমিনেশন এত খারাপ যে এখনই মেরামত করা জরুরি। ডিজিটাল এফএফএ যন্ত্রটির প্রশিক্ষিত কারিগর না থাকার কারণে চালানোই সম্ভব হয়নি। আবার এখন যন্ত্রটি চালাতে হলে এর সফটওয়্যার আপডেট করা দরকার। দুটি এ-স্ক্যান যন্ত্রের একটি শুরু থেকেই পড়ে রয়েছে। চালাতে হলে এর মেরামত করা প্রয়োজন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১২ আগস্ট হাসপাতালের পরিচালকের পক্ষ থেকে কলেজের অধ্যক্ষকে দেওয়া একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সাপোর্টিং মেশিন/সার্ভিসিং যন্ত্রপাতি না থাকার কারণে কলেজ থেকে সরবরাহ করা যন্ত্রগুলো ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইন উদ্দীন বলেন, যন্ত্রগুলো কোন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ কিনেছে, হাসপাতাল তা জানে না। এর সফটওয়্যার দিতে হলে যে প্রতিষ্ঠান থেকে এগুলো কেনা হয়েছে, তাদের ডাকতে হবে। কিন্তু তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্যই হাসপাতালে নেই। তিনি যথারীতি কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তারা অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি মন্ত্রণালয়কে জানাবেন।
কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালকে দেওয়া যন্ত্রগুলো যে কলেজকে মেরামত করে দিতে হবে—এটা সঠিক নয়। হাসপাতালকে কেউ কোনো জিনিস দান করলেও সেটা তখন হাসপাতালের হয়ে যায়। সেটা মেরামতের দায়িত্ব তাদেরই।
No comments