হাতের নিপুণ কারুকাজ ফুটে ওঠে প্রতিমার নানান রূপ- দুর্গাপুজোর ব্যস্ততা বাড়ছে বাউফলের কুমোর পরিবারে by কামরুজ্জামান বাচ্চু
মাটি আর খড়কুটা দিয়ে প্রতিমা তৈরি করে জীবিকা অর্জন করছে বাউফলে প্রায় শতাধিক পরিবার। তাদের হাতের নিপুণ কারুকাজে ফুটে ওঠে প্রতিমার নানা রূপ। আর এক মাস পরেই শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজো। তাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার কুমোর পরিবারগুলো। দিনরাত তাঁরা প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন।
একটি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা নিয়ে থাকেন। ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে একটি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে। ২/৩ জন মিলে প্রতিমা তৈরি করেন।
এ বিষয়ে কথা হয় রূপকচন্দ্র পালের (৪৫) সঙ্গে। তিনি এবার বাউফলের কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির জন্য দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে এসেছেন। তাঁর বাবা-দাদারাও প্রতিমা তৈরি করতেন। তিনি ’৮৭ সালে প্রতিমা তৈরির জন্য হাতেখড়ি নেন। এবার পুজার জন্য ১৫টি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করবেন তিনি। বাউফলের বাইরেও বরিশাল সদর, নলছিটি, পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও বরগুনার আমতলী উপজেলায় দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ নিয়েছেন তিনি। তাঁর দলে রয়েছেন আরও ৭ জন। ৩টি গ্রুপে ভাগ হয়ে তাঁরা কাজ করেন। প্রতিমার ফিনিসিংয়ের কাজটি রূপক পাল নিজেই করে থাকেন। শ্রাবণ ও ভাদ্র এই দুই মাস তাঁরা দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজে ভীষণ ব্যস্ত থাকেন।
রূপক পাল জানান, এবার কেন্দ্রীয় কালীবাড়িতে তিনি দুর্গা দেবীর সঙ্গে দুটি অসুর তৈরি করবেন। তার সঙ্গে থাকবে একটি মোষ, একটি সিংহ, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী আর সরস্বতী। আগামী ৩০ ভাদ্রের মধ্যে তাঁর হাতে থাকা সব দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করবেন তিনি। এঁটেল আর পলি মাটি একত্রে মিশিয়ে প্রতিমা তৈরি করতে হয়। নদী থেকে আনা হয় এ মাটি। এর সঙ্গে লাগে বাঁশের শলাকা ও কিছু খড়কুটো। এর ওপর মাটির প্রলেপ দিয়ে তৈরি করা হয় প্রতিমা। আর সেই প্রতিমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে তাঁদের হাতের নিপুণ স্পর্শে ফুটে ওঠে দুর্গা দেবীর প্রকৃত রূপ। বাউফলে শতাধিক পরিবার এ প্রতিমা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিমা তৈরির এ মৌসুম ছাড়া এ পেশায় জড়িত অধিকাংশ পরিবার বিভিন্ন ডিজাইনের পটারি মাল তৈরি করে। আবার যাঁরা পটারির মাল তৈরির কাজে বেশি দক্ষ নন, তাঁরা তাঁদের বাপ-দাদার পেশা বদল করেন।
বাউফলের কাগুজিবাড়ি এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি বিশ্বেশ্বর পাল বলেন, এ এলাকার লোকদের কাছে এখন আর তাঁদের তেমন কদর নেই। অন্য এলাকা থকে পাল এনে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করা হয়। আর তাঁদের মধ্যে কেউ প্রতিমা তৈরি করলে সঠিক মজুরি দেয়া হয় না। আবার অনেকে পেটের টানে কম টাকায় প্রতিমা তৈরি করেন। কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির পুরোহিত বিনয় ভূষণ ভট্টাচার্য বলেন, এবার দুর্গা গজে আসবেন। আর নৌকা করে যাবেন। তাই এবার আমাদের চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার মিল নাও হতে পারে।
এ বিষয়ে কথা হয় রূপকচন্দ্র পালের (৪৫) সঙ্গে। তিনি এবার বাউফলের কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির জন্য দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে এসেছেন। তাঁর বাবা-দাদারাও প্রতিমা তৈরি করতেন। তিনি ’৮৭ সালে প্রতিমা তৈরির জন্য হাতেখড়ি নেন। এবার পুজার জন্য ১৫টি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করবেন তিনি। বাউফলের বাইরেও বরিশাল সদর, নলছিটি, পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও বরগুনার আমতলী উপজেলায় দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ নিয়েছেন তিনি। তাঁর দলে রয়েছেন আরও ৭ জন। ৩টি গ্রুপে ভাগ হয়ে তাঁরা কাজ করেন। প্রতিমার ফিনিসিংয়ের কাজটি রূপক পাল নিজেই করে থাকেন। শ্রাবণ ও ভাদ্র এই দুই মাস তাঁরা দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজে ভীষণ ব্যস্ত থাকেন।
রূপক পাল জানান, এবার কেন্দ্রীয় কালীবাড়িতে তিনি দুর্গা দেবীর সঙ্গে দুটি অসুর তৈরি করবেন। তার সঙ্গে থাকবে একটি মোষ, একটি সিংহ, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী আর সরস্বতী। আগামী ৩০ ভাদ্রের মধ্যে তাঁর হাতে থাকা সব দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করবেন তিনি। এঁটেল আর পলি মাটি একত্রে মিশিয়ে প্রতিমা তৈরি করতে হয়। নদী থেকে আনা হয় এ মাটি। এর সঙ্গে লাগে বাঁশের শলাকা ও কিছু খড়কুটো। এর ওপর মাটির প্রলেপ দিয়ে তৈরি করা হয় প্রতিমা। আর সেই প্রতিমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে তাঁদের হাতের নিপুণ স্পর্শে ফুটে ওঠে দুর্গা দেবীর প্রকৃত রূপ। বাউফলে শতাধিক পরিবার এ প্রতিমা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিমা তৈরির এ মৌসুম ছাড়া এ পেশায় জড়িত অধিকাংশ পরিবার বিভিন্ন ডিজাইনের পটারি মাল তৈরি করে। আবার যাঁরা পটারির মাল তৈরির কাজে বেশি দক্ষ নন, তাঁরা তাঁদের বাপ-দাদার পেশা বদল করেন।
বাউফলের কাগুজিবাড়ি এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি বিশ্বেশ্বর পাল বলেন, এ এলাকার লোকদের কাছে এখন আর তাঁদের তেমন কদর নেই। অন্য এলাকা থকে পাল এনে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করা হয়। আর তাঁদের মধ্যে কেউ প্রতিমা তৈরি করলে সঠিক মজুরি দেয়া হয় না। আবার অনেকে পেটের টানে কম টাকায় প্রতিমা তৈরি করেন। কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির পুরোহিত বিনয় ভূষণ ভট্টাচার্য বলেন, এবার দুর্গা গজে আসবেন। আর নৌকা করে যাবেন। তাই এবার আমাদের চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার মিল নাও হতে পারে।
No comments