এবার নেশার রাজ্যে পশু অজ্ঞানের ওষুধ ক্যাটামিন! by শংকর কুমার দে
পশু অজ্ঞান করার ওষুধও এখন মাদক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ক্যাটামিন নামে এক ধরনের পশু অজ্ঞান করার ওষুধকে নেশা করার জন্য বেছে নিয়েছে মাদকসেবীরা। বিদেশ থেকে পশু অজ্ঞান করার জন্য এনে তা মাদকসেবীদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানিরা পশু অজ্ঞান করার ওষুধ ক্যাটামিন বাংলাদেশের ভেতরে আনার ব্যাপারে তৎপরতা চালাচ্ছে। পশু অজ্ঞান করার ওষুধ মাদক হিসেবে ব্যবহার করার ফলে মাদকসেবীদের মৃত্যুর মতো ভয়াবহ সর্বনাশা পথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এ খবর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, পশু অজ্ঞান করার ওষুধ ক্যাটামিন দেখতে অনেকটা চিনির মতো সাদা। চিনির চেয়ে একটু বড় দানাদার। ক্যাটারিন তরল অবস্থায় পান করে নেশা করা যায়। ইনজেকশনের মাধ্যমেও শরীরে গ্রহণ করা যায়। হেরোইনের মতো ধোঁয়া সৃষ্টি করেও নেশা করে মাদকসেবীরা। নেশার জগতে এখনও এটা ধনীর দুলালদের গ-ি পেরিয়ে সাধারণের কাছে পৌঁছয়নি। সাধারণের কাছে পৌঁছলে এই ভয়ঙ্কর মাদকটি ভয়াবহ সর্বনাশ ডেকে আনবে বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন।
বাংলাদেশে সম্প্রতি মাদক হিসেবে ক্যাটামিন চিহ্নিত হয়। হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে এই মাদক প্রবেশের সময় আটক করে বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা। প্রায় ২০ কেজি এই নেশার ওষুধ আটক করেন তারা। এ সময় গ্রেফতার করা হয় ভারতীয় নাগরিক ইলামুরুন্ড মারোখামুতুকে। আটক ভারতীয় নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ক্যাটামিন বাংলাদেশের নেশার জগতে প্রবেশ করানোর জন্য এই চালান আনা হয়েছে। তবে তদন্তে এই বিষয়টি সম্পর্কে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
বিমানবন্দর শুল্ক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্যাটামিন আটকের পর তারা এটা কি জিনিস সে সম্পর্কে কোন ধারণাই করতে পারেননি। বিমানবন্দর শুল্ক কর্মকর্তারা খবর দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কর্তৃপক্ষকে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাসায়নিক কর্মকর্তারা এটা পরীক্ষা করে দেখেন। পশু অজ্ঞান করার এই ওষুধ মাদকদ্রব্য হিসেবে নেশার জগতে প্রবেশ করানোর জন্য আনা হয়েছে। আইনগতভাবে এটা আনার ব্যাপারে কোন বাধা নেই। তাই বৈধ পথে ক্যাটামিন আনয়নকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি।
সূত্র জানায়, ভারতের চেন্নাই (তামিলনাড়ু) থেকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় পাচারের সময় ক্যাটামিনের চালান আটকের ঘটনা ঘটে। গত ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬৬ কেজি ক্যাটামিন আটক করা হয়। এ সময় গ্রেফতার করা হয় তিন ভারতীয়কে। আটক ভারতীয় তিন নাগরিক চেন্নাই থেকে ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে যাচ্ছিলেন।
শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ক্যাটামিন বাংলাদেশের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে এটার প্রবেশের ব্যাপারে কোন বাধা নেই। আইনগত বাধা না থাকার সুযোগেই পশু অজ্ঞানের ওষুধ ক্যাটামিন দেশে প্রবেশ করে নেশার জগতের নতুন মাদক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। মাদক হিসেবে এটা এখনও তেমন পরিচিতি ও বাজার পায়নি। আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানিরা বাংলাদেশের মাদকের বাজারে প্রবেশ করাতে তৎপরতা চালাচ্ছে।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, নেশার রাজ্যে কখন যে কোনটা স্থান করে নেয় তা বলা খুবই কঠিন। একটি নেশা নিষিদ্ধ করা হলে আরেকটি বিকল্প নেশা বেছে নেয়া হচ্ছে। এভাবে পশু অজ্ঞান করার ওষুধ ক্যাটামিনও নেশার রাজ্যে প্রবেশ করেছে। সাধারণের কাছে এখনও খুব বেশি পরিচিতি লাভ না করলেও নেশার রাজ্যে যাদের বসবাস তারা ঠিকই মরণ নেশা ক্যাটামিনের নাম ও ব্যবহার জানে। দেশের নেশার রাজ্যে নতুন মাদক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে পশু অজ্ঞানকারক ওষুধ ক্যাটামিন। আইনী বাধা না থাকায় ক্যাটামিন আনতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। ক্যাটামিন যখন মাদক হিসেবে সেবন করা হয় তখন মাদকসেবীদের মাদকদ্রব্য আইনে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্র জানায়, পশু অজ্ঞান করার ওষুধ ক্যাটামিন দেখতে অনেকটা চিনির মতো সাদা। চিনির চেয়ে একটু বড় দানাদার। ক্যাটারিন তরল অবস্থায় পান করে নেশা করা যায়। ইনজেকশনের মাধ্যমেও শরীরে গ্রহণ করা যায়। হেরোইনের মতো ধোঁয়া সৃষ্টি করেও নেশা করে মাদকসেবীরা। নেশার জগতে এখনও এটা ধনীর দুলালদের গ-ি পেরিয়ে সাধারণের কাছে পৌঁছয়নি। সাধারণের কাছে পৌঁছলে এই ভয়ঙ্কর মাদকটি ভয়াবহ সর্বনাশ ডেকে আনবে বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন।
বাংলাদেশে সম্প্রতি মাদক হিসেবে ক্যাটামিন চিহ্নিত হয়। হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে এই মাদক প্রবেশের সময় আটক করে বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা। প্রায় ২০ কেজি এই নেশার ওষুধ আটক করেন তারা। এ সময় গ্রেফতার করা হয় ভারতীয় নাগরিক ইলামুরুন্ড মারোখামুতুকে। আটক ভারতীয় নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ক্যাটামিন বাংলাদেশের নেশার জগতে প্রবেশ করানোর জন্য এই চালান আনা হয়েছে। তবে তদন্তে এই বিষয়টি সম্পর্কে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
বিমানবন্দর শুল্ক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্যাটামিন আটকের পর তারা এটা কি জিনিস সে সম্পর্কে কোন ধারণাই করতে পারেননি। বিমানবন্দর শুল্ক কর্মকর্তারা খবর দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কর্তৃপক্ষকে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাসায়নিক কর্মকর্তারা এটা পরীক্ষা করে দেখেন। পশু অজ্ঞান করার এই ওষুধ মাদকদ্রব্য হিসেবে নেশার জগতে প্রবেশ করানোর জন্য আনা হয়েছে। আইনগতভাবে এটা আনার ব্যাপারে কোন বাধা নেই। তাই বৈধ পথে ক্যাটামিন আনয়নকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি।
সূত্র জানায়, ভারতের চেন্নাই (তামিলনাড়ু) থেকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় পাচারের সময় ক্যাটামিনের চালান আটকের ঘটনা ঘটে। গত ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬৬ কেজি ক্যাটামিন আটক করা হয়। এ সময় গ্রেফতার করা হয় তিন ভারতীয়কে। আটক ভারতীয় তিন নাগরিক চেন্নাই থেকে ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে যাচ্ছিলেন।
শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ক্যাটামিন বাংলাদেশের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে এটার প্রবেশের ব্যাপারে কোন বাধা নেই। আইনগত বাধা না থাকার সুযোগেই পশু অজ্ঞানের ওষুধ ক্যাটামিন দেশে প্রবেশ করে নেশার জগতের নতুন মাদক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। মাদক হিসেবে এটা এখনও তেমন পরিচিতি ও বাজার পায়নি। আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানিরা বাংলাদেশের মাদকের বাজারে প্রবেশ করাতে তৎপরতা চালাচ্ছে।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, নেশার রাজ্যে কখন যে কোনটা স্থান করে নেয় তা বলা খুবই কঠিন। একটি নেশা নিষিদ্ধ করা হলে আরেকটি বিকল্প নেশা বেছে নেয়া হচ্ছে। এভাবে পশু অজ্ঞান করার ওষুধ ক্যাটামিনও নেশার রাজ্যে প্রবেশ করেছে। সাধারণের কাছে এখনও খুব বেশি পরিচিতি লাভ না করলেও নেশার রাজ্যে যাদের বসবাস তারা ঠিকই মরণ নেশা ক্যাটামিনের নাম ও ব্যবহার জানে। দেশের নেশার রাজ্যে নতুন মাদক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে পশু অজ্ঞানকারক ওষুধ ক্যাটামিন। আইনী বাধা না থাকায় ক্যাটামিন আনতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। ক্যাটামিন যখন মাদক হিসেবে সেবন করা হয় তখন মাদকসেবীদের মাদকদ্রব্য আইনে গ্রেফতার করা হয়।
No comments