ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় শোক ও প্রতিবাদ, কফিনমিছিল
বাসের ধাক্কায় মেধাবী ছাত্র মো. তৌহিদুজ্জামানের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ছিল থমথমে। ঘটনার প্রতিবাদে শোক ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ঘাতক বাসচালকের শাস্তি ও নিরাপদ সড়কসহ পাঁচ দফা দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ শাহবাগসহ বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ রাখে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আশপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগের কবলে পড়েন পথচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামরুল আহসান বাদী হয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় আটক বাসচালক আনোয়ার হোসেন ও তাঁর সহযোগী পলাতক রনিকে আসামি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে ফেরার পথে শাহবাগ মোড়ে রাজধানী এক্সপ্রেসের একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তৌহিদুজ্জামান। সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। তৌহিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে শাহবাগ থেকে বাংলামোটর, নিউমার্কেট, কাঁটাবন, নীলক্ষেত এলাকায় শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বেলা একটা থেকে ওই সব সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
তৌহিদুজ্জামানের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল বেলা ১১টার দিকে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন থেকে কফিনমিছিল বের করে। ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে তারা অবস্থান নেয় শাহবাগ মোড়ে। দুপুর সাড়ে ১২টায় সেখানে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর ১২টার দিকে ঘাতক বাসচালকের ফাঁসির দাবিতে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ব্যানারে শোভাযাত্রা বের করে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
প্রয়াত শিক্ষার্থীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্য দাবিগুলো হলো: ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রবেশমুখে ফুটওভারব্রিজ ও শাহবাগ মোড়ে আন্ডারপাস নির্মাণ করা, প্রয়োজনীয় স্থানে গতিরোধক নির্মাণ করা, ক্যাম্পাসের ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারবিহীন গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ করা ও ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তাসহ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, কিশোরগঞ্জ জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে তৌহিদুজ্জামানের লাশ করিমগঞ্জ উপজেলার ন্যামতপুর ইউনিয়নের ভয়রা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী তাঁকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন। বেলা দুইটায় দেওপুর রুছমত আলী বেপারী ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে সংলগ্ন কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
কৃষক বাচ্চু মিয়ার তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তৌহিদুজ্জামান। তিনি ছিলেন মেধাবী, শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের। বড় দুই ভাইয়ের ক্ষুদ্র ব্যবসা ও বোনের ছোট চাকরির অর্থ দিয়ে চলত তৌহিদদের সংসার।
বোন তানজিলা চিৎকার করে বলেন, ‘আপনারা আমার ভাইকে ফিরিয়ে দেন। আমরা আর কিছু চাই না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামরুল আহসান বাদী হয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় আটক বাসচালক আনোয়ার হোসেন ও তাঁর সহযোগী পলাতক রনিকে আসামি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে ফেরার পথে শাহবাগ মোড়ে রাজধানী এক্সপ্রেসের একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তৌহিদুজ্জামান। সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। তৌহিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে শাহবাগ থেকে বাংলামোটর, নিউমার্কেট, কাঁটাবন, নীলক্ষেত এলাকায় শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বেলা একটা থেকে ওই সব সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
তৌহিদুজ্জামানের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল বেলা ১১টার দিকে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন থেকে কফিনমিছিল বের করে। ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে তারা অবস্থান নেয় শাহবাগ মোড়ে। দুপুর সাড়ে ১২টায় সেখানে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর ১২টার দিকে ঘাতক বাসচালকের ফাঁসির দাবিতে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ব্যানারে শোভাযাত্রা বের করে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
প্রয়াত শিক্ষার্থীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্য দাবিগুলো হলো: ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রবেশমুখে ফুটওভারব্রিজ ও শাহবাগ মোড়ে আন্ডারপাস নির্মাণ করা, প্রয়োজনীয় স্থানে গতিরোধক নির্মাণ করা, ক্যাম্পাসের ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারবিহীন গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ করা ও ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তাসহ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, কিশোরগঞ্জ জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে তৌহিদুজ্জামানের লাশ করিমগঞ্জ উপজেলার ন্যামতপুর ইউনিয়নের ভয়রা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী তাঁকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন। বেলা দুইটায় দেওপুর রুছমত আলী বেপারী ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে সংলগ্ন কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
কৃষক বাচ্চু মিয়ার তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তৌহিদুজ্জামান। তিনি ছিলেন মেধাবী, শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের। বড় দুই ভাইয়ের ক্ষুদ্র ব্যবসা ও বোনের ছোট চাকরির অর্থ দিয়ে চলত তৌহিদদের সংসার।
বোন তানজিলা চিৎকার করে বলেন, ‘আপনারা আমার ভাইকে ফিরিয়ে দেন। আমরা আর কিছু চাই না।’
No comments