আল আকসা মসজিদের খতিব হামেদ আল বাইতায়ীর ইন্তেকাল
রাসুল (সা.) এর স্মৃতি বিজড়িত ফিলিস্তিনের বাইতুল আকসা মসজিদের খতিব ও ফিলিস্তিন মুক্ত আন্দোলন হামাসের ভাইস প্রেসিডেন্ট শাইখ হামেদ আল বাইতায়ী বুধবার রাতে গাজার আল মাকাসেদ আল খাইরি নামক হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন।
এর আগে তিনি জর্ডানের জাতীয় হাসপাতালে দীর্ঘ তিন সপ্তাহ ধরে চিকিৎসারত ছিলেন। আল বাইতায়ী স্ত্রী ছয় ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রধান ড. মোহাম্মাদ বদি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, “আল বাইতায়ী ছাত্রজীবন থেকেই একজন সৎ ও আদর্শবান ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি শুধু ফিলিস্তিনমুক্ত আন্দোলনের নেতা নন বরং গোটা বিশ্বের সব ইসলামি আন্দোলের নেতা ছিলেন। তিনি হাসান আল বান্নার আদলে নিজকে গড়ে তোলেন। তার অনেক ত্যাগ আর নির্যাতনের ফলে হামাস আজ জাতির আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
ড. মোহাম্মাদ বদি বলেন, “আল বাইতায়ী তার লেখনীসহ সব ক্ষেত্রে আল আকসা উদ্ধারে চেষ্টা করে গেছেন।”
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়া তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে বলেন, “আমি আমার জীবনের একজন শিক্ষক হারিয়ে ফেলেছি। আর জাতি হারিয়েছে তাদের জাতীয় প্রতীক। তিনি আমাদের সাহস সবসময় উজ্জিবিত রাখতেন।”
আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ও মিসরের গ্রান্ড ইমাম ড. আহমদ তৈয়্যেব এক শোকবার্তায় বলেন, “আল বাইতায়ীর মুত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ফিলিস্তিনিরা আজ জ্ঞানের এক সাগরকে হারালো।”
এছাড়াও মক্কা, মদিনা ও আল আযহার মসজিদের খতিবসহ বিশ্বের নামকরা আলেমেরা পৃথক পৃথক বাণীতে তার মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেন। শুক্রবাদ বাদ জুমা তাকে নিজ এলাকার বিখ্যাত কবরস্থানে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতে শেষ জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
শাইখ হামেদ আল বাইতায়ী ফিলিস্তিনের জাতীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৪৪ সালে ফিলিস্থিনের দক্ষিণে নাবিলাস শহরে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ দেশে পড়ালেখা শেষ করে ১৯৬৮ সালে জর্ডান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক ল বিষয়ে অর্নাস পাশ করেন। ১৯৯২ সালে নিজ এলাকা নাবিলাসের নাজাহ আল ওতানী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে মাস্টার্স করেন। তিনি আলেম পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
জাতীয় সংসদে হামাসের পক্ষ থেকে ২০০৬ সালে শরিয়া মেম্বার নির্বাচিত হন তিনি। তাকে কয়েকবার ইসরাইল কারাগারে আটকে রাখে। তাকে বছরের পর বছর গুম করে রাখা হয়। তিনি তিনি সর্বশেষ ২০০৬ সালের ২৯ জুন থেকে ২০০৮ সালের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ইসরাইলের কারাগারে ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ১৯৯২ সালে ছাত্র অবস্থায় কারাভোগ করেন।
তিনি হামাসে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ইরাক আফগানিস্তান, সুদান ইয়ামেনসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ সফর করেছেন। তিনি আল আকসা আন্দোলন, ইসলামে সমাজে অবহেলিত নারীর অধিকার, ইখওয়ানুল মুসলিমমুন বা মুসলিম ব্রাদারহুড পরিচিতি, ইহুদি চেনার উপায়, ধূমপান হারাম, আল কোরআনে মুনাফিকের অবস্থানসহ প্রায় অর্ধশত গ্রন্থ রচনা করেছেন।
তার মৃত্যুতে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রধান ড. মোহাম্মাদ বদি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, “আল বাইতায়ী ছাত্রজীবন থেকেই একজন সৎ ও আদর্শবান ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি শুধু ফিলিস্তিনমুক্ত আন্দোলনের নেতা নন বরং গোটা বিশ্বের সব ইসলামি আন্দোলের নেতা ছিলেন। তিনি হাসান আল বান্নার আদলে নিজকে গড়ে তোলেন। তার অনেক ত্যাগ আর নির্যাতনের ফলে হামাস আজ জাতির আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
ড. মোহাম্মাদ বদি বলেন, “আল বাইতায়ী তার লেখনীসহ সব ক্ষেত্রে আল আকসা উদ্ধারে চেষ্টা করে গেছেন।”
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়া তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে বলেন, “আমি আমার জীবনের একজন শিক্ষক হারিয়ে ফেলেছি। আর জাতি হারিয়েছে তাদের জাতীয় প্রতীক। তিনি আমাদের সাহস সবসময় উজ্জিবিত রাখতেন।”
আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ও মিসরের গ্রান্ড ইমাম ড. আহমদ তৈয়্যেব এক শোকবার্তায় বলেন, “আল বাইতায়ীর মুত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ফিলিস্তিনিরা আজ জ্ঞানের এক সাগরকে হারালো।”
এছাড়াও মক্কা, মদিনা ও আল আযহার মসজিদের খতিবসহ বিশ্বের নামকরা আলেমেরা পৃথক পৃথক বাণীতে তার মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেন। শুক্রবাদ বাদ জুমা তাকে নিজ এলাকার বিখ্যাত কবরস্থানে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতে শেষ জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
শাইখ হামেদ আল বাইতায়ী ফিলিস্তিনের জাতীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৪৪ সালে ফিলিস্থিনের দক্ষিণে নাবিলাস শহরে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ দেশে পড়ালেখা শেষ করে ১৯৬৮ সালে জর্ডান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক ল বিষয়ে অর্নাস পাশ করেন। ১৯৯২ সালে নিজ এলাকা নাবিলাসের নাজাহ আল ওতানী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে মাস্টার্স করেন। তিনি আলেম পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
জাতীয় সংসদে হামাসের পক্ষ থেকে ২০০৬ সালে শরিয়া মেম্বার নির্বাচিত হন তিনি। তাকে কয়েকবার ইসরাইল কারাগারে আটকে রাখে। তাকে বছরের পর বছর গুম করে রাখা হয়। তিনি তিনি সর্বশেষ ২০০৬ সালের ২৯ জুন থেকে ২০০৮ সালের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ইসরাইলের কারাগারে ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ১৯৯২ সালে ছাত্র অবস্থায় কারাভোগ করেন।
তিনি হামাসে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ইরাক আফগানিস্তান, সুদান ইয়ামেনসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ সফর করেছেন। তিনি আল আকসা আন্দোলন, ইসলামে সমাজে অবহেলিত নারীর অধিকার, ইখওয়ানুল মুসলিমমুন বা মুসলিম ব্রাদারহুড পরিচিতি, ইহুদি চেনার উপায়, ধূমপান হারাম, আল কোরআনে মুনাফিকের অবস্থানসহ প্রায় অর্ধশত গ্রন্থ রচনা করেছেন।
No comments