ছাত্রলীগ ও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ বন্ধ হোক-দেবোত্তর সম্পত্তি
মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তির জমি বাণিজ্যিক প্লট বানিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে—এ রকম অভিযোগের খবর এল সিলেট থেকে। কদিন আগেই মানিকগঞ্জের উকিয়ারা গ্রামে অর্পিত সম্পত্তির ওপর একটি সংখ্যালঘু পরিবারের বাসস্থান ও মন্দির ভেঙে জায়গাটি দখল করার খবর প্রকাশিত হয়েছে।
উভয় ঘটনাতেই ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য এটি বাড়তি উদ্বেগ ও হতাশার কারণ, কেননা সাধারণভাবে তাঁরা মনে করেন বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক জোট অপেক্ষা ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তাঁরা স্বস্তি ও নিরাপত্তা বোধ করেন।
কিন্তু এটি শুধু দলীয় রাজনৈতিক ভাবমূর্তির বিষয় নয়, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো রক্ষার বিষয়। সিলেট নগরের গোপালটিলা এলাকার ‘গোপাল জিউর আখড়া’ মন্দিরের মালিকানাধীন দেবোত্তর সম্পত্তির প্রায় চার একর জমি খণ্ড খণ্ড প্লটে ভাগ করে বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে মন্দির রক্ষা কমিটি ও প্লট গ্রহীতাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি, আদালতে রিট ও দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারি—এগুলো কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। মন্দির পরিচালনার ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আছে, দুটি বিবদমান পক্ষ পরস্পরকে অবৈধ কমিটি বলে নাকচ করতে চায়। এই সুযোগ নিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি। ছাত্রলীগের নেতাদের উচিত ছিল মন্দির পরিচালনায় দুই বিবদমান পক্ষের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টির চেষ্টা করা, কিন্তু তাঁরা করেছেন ঠিক উল্টোটা।
এখানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, একটি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার—এসবকে ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে বৈষয়িক লোভ। মন্দির পরিচালনা কমিটির সঙ্গে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির যোগসাজশে প্রায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের একেকটি প্লট হস্তান্তরিত হচ্ছে মাত্র তিন লাখ ১৫ হাজার টাকায়। অন্যায় অর্থনৈতিক লোভ চরিতার্থ করার ক্ষেত্রে ধর্মীয় পরিচয়ও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে।
আদালত দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। আমাদের মনে হয়, এর মধ্যে মন্দির ব্যবস্থাপনায় অভ্যন্তরীণ বিরোধ মিটিয়ে ফেলা দরকার। মন্দির পরিচালনায় নতুন কমিটি গঠন করা উচিত, যে কমিটির সদস্যরা হবেন সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য, যাঁরা মন্দিরের সম্পত্তি রক্ষা করবেন এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে মন্দিরের যাবতীয় কর্ম পরিচালনা করবেন। সিলেট জেলা ও মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদ এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের স্থানীয় নেতারা এ বিরোধ মীমাংসায় সহযোগিতা করতে পারেন। ছাত্রলীগ বা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সেখানে হস্তক্ষেপ করার কোনো প্রয়োজন নেই।
কিন্তু এটি শুধু দলীয় রাজনৈতিক ভাবমূর্তির বিষয় নয়, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো রক্ষার বিষয়। সিলেট নগরের গোপালটিলা এলাকার ‘গোপাল জিউর আখড়া’ মন্দিরের মালিকানাধীন দেবোত্তর সম্পত্তির প্রায় চার একর জমি খণ্ড খণ্ড প্লটে ভাগ করে বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে মন্দির রক্ষা কমিটি ও প্লট গ্রহীতাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি, আদালতে রিট ও দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারি—এগুলো কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। মন্দির পরিচালনার ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আছে, দুটি বিবদমান পক্ষ পরস্পরকে অবৈধ কমিটি বলে নাকচ করতে চায়। এই সুযোগ নিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি। ছাত্রলীগের নেতাদের উচিত ছিল মন্দির পরিচালনায় দুই বিবদমান পক্ষের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টির চেষ্টা করা, কিন্তু তাঁরা করেছেন ঠিক উল্টোটা।
এখানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, একটি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার—এসবকে ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে বৈষয়িক লোভ। মন্দির পরিচালনা কমিটির সঙ্গে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির যোগসাজশে প্রায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের একেকটি প্লট হস্তান্তরিত হচ্ছে মাত্র তিন লাখ ১৫ হাজার টাকায়। অন্যায় অর্থনৈতিক লোভ চরিতার্থ করার ক্ষেত্রে ধর্মীয় পরিচয়ও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে।
আদালত দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। আমাদের মনে হয়, এর মধ্যে মন্দির ব্যবস্থাপনায় অভ্যন্তরীণ বিরোধ মিটিয়ে ফেলা দরকার। মন্দির পরিচালনায় নতুন কমিটি গঠন করা উচিত, যে কমিটির সদস্যরা হবেন সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য, যাঁরা মন্দিরের সম্পত্তি রক্ষা করবেন এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে মন্দিরের যাবতীয় কর্ম পরিচালনা করবেন। সিলেট জেলা ও মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদ এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের স্থানীয় নেতারা এ বিরোধ মীমাংসায় সহযোগিতা করতে পারেন। ছাত্রলীগ বা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সেখানে হস্তক্ষেপ করার কোনো প্রয়োজন নেই।
No comments