সরকারের ঘুম ভাঙুক, মানুষগুলো বাঁচুক-আর্সেনিক-দুর্যোগ
আর্সেনিক পুরোনো সমস্যা এবং পুরোনো বলেই দিন দিন এর ভয়াবহতা বেড়েছে। বিপরীতে সরকারি উদ্যোগ অতীতে নামমাত্র হলেও বর্তমানে একেবারে শূন্য। দেশের প্রায় সাত কোটি মানুষ আর্সেনিক বা সেঁকো বিষের ঝুঁকির মুখে হলেও সরকার যেন নির্বিকার। অথচ বিগত নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ বলেছিল, দেশের সব মানুষকে আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশের পানির উৎসগুলোর প্রায় ৩০ শতাংশই আর্সেনিকে আক্রান্ত। সরকারি হিসাবে, ২০১০ সালে আর্সেনিকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৭ হাজার। কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। তা ছাড়া আর্সেনিক থেকে সৃষ্ট ক্যানসারসহ অন্যান্য জটিল রোগে কত মানুষ মারা যাচ্ছে, তারও কোনো পরিসংখ্যান সরকার দিতে পারবে না। এ বিষয়ে যে কমিটি করা হয়েছিল, তা-ও নিষ্ক্রিয়।
অথচ একসময় আর্সেনিকের কথা বলে প্রচুর বিদেশি সাহায্য আনা হয়েছিল, কিছু কিছু এনজিও এই বাবদ যথেষ্ট বিদেশি সাহায্য পেয়েছিল। সেগুলো কোথায় গেল, কীভাবে খরচ হলো, তাও জানার সুযোগ কম। ১৯৯৩ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের যে গ্রামটিতে প্রথম আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছিল, সেই গ্রামটিকে পর্যন্ত আর্সেনিকমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ রকম সার্বিক অবহেলার মধ্যে আর্সেনিক পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) একে বাংলাদেশের জনগণের জীবনে নেমে আসা বৃহত্তম বিষক্রিয়া হিসেবে অভিহিত করেছে।
২০১১ সালে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত পানিবিষয়ক এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আর্সেনিক মোকাবিলায় ২০ কোটি ডলারের তহবিল গঠনের কথা বলেছিল। কিন্তু সবই গরল ভেল প্রমাণিত হয়েছে। বিদেশি সাহায্য ছাড়া কি সরকার জনগণকে আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবে না? এমন উদাসীনতা নিষ্ঠুরতারই নামান্তর।
আমরা আশা করব, সরকার অচিরেই আর্সেনিকবিষয়ক জাতীয় কমিটিকে সক্রিয় ও পুনর্গঠিত করবে, আর্সেনিক মোকাবিলায় তহবিল দেবে এবং পানি, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জাতীয় কমিটি গঠন করবে। অনেক দেরি হয়ে গেছে, আর দেরি মানে নিশ্চিতভাবে অজস্র মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া।
অথচ একসময় আর্সেনিকের কথা বলে প্রচুর বিদেশি সাহায্য আনা হয়েছিল, কিছু কিছু এনজিও এই বাবদ যথেষ্ট বিদেশি সাহায্য পেয়েছিল। সেগুলো কোথায় গেল, কীভাবে খরচ হলো, তাও জানার সুযোগ কম। ১৯৯৩ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের যে গ্রামটিতে প্রথম আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছিল, সেই গ্রামটিকে পর্যন্ত আর্সেনিকমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ রকম সার্বিক অবহেলার মধ্যে আর্সেনিক পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) একে বাংলাদেশের জনগণের জীবনে নেমে আসা বৃহত্তম বিষক্রিয়া হিসেবে অভিহিত করেছে।
২০১১ সালে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত পানিবিষয়ক এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আর্সেনিক মোকাবিলায় ২০ কোটি ডলারের তহবিল গঠনের কথা বলেছিল। কিন্তু সবই গরল ভেল প্রমাণিত হয়েছে। বিদেশি সাহায্য ছাড়া কি সরকার জনগণকে আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবে না? এমন উদাসীনতা নিষ্ঠুরতারই নামান্তর।
আমরা আশা করব, সরকার অচিরেই আর্সেনিকবিষয়ক জাতীয় কমিটিকে সক্রিয় ও পুনর্গঠিত করবে, আর্সেনিক মোকাবিলায় তহবিল দেবে এবং পানি, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জাতীয় কমিটি গঠন করবে। অনেক দেরি হয়ে গেছে, আর দেরি মানে নিশ্চিতভাবে অজস্র মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া।
No comments