বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এর বিকল্প নেই-এসইসি পুনর্গঠন করুন
শেয়ারবাজারের অনিয়ম তদন্তে গঠিত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে এর সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের কাজে নেমে পড়া। সুপারিশগুলোর সবই হয়তো রাতারাতি কার্যকর করা যাবে না, অনেক সুপারিশ হয়তো যাচাই-বাছাই করে দেখারও প্রয়োজন পড়তে পারে; তবে কিছু সুপারিশ আছে,
যা বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং বাজারকে স্বাভাবিক পথে ফিরিয়ে আনতে প্রথম কাজটি হচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) পুনর্গঠন করা।
শেয়ারবাজারে যে অনিয়ম ঘটে গেছে, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী এর মূল দায় এসে পড়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির ওপর। এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন তো করেইনি, বরং অনিয়ম ও অপকর্মের সঙ্গেও সরাসরি জড়িত বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে অপসারণের। ফলে বর্তমান এসইসি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এসইসির এই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত শেয়ারবাজার স্বাভাবিক করার কোনো উদ্যোগই কাজে দেবে না।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, শেয়ারবাজারের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হিসেবে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। তদন্ত প্রতিবেদনে নামগুলো এসেছে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে। তদন্ত প্রতিবেদনেই তাঁদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সরকারকে এখনই এই অধিকতর তদন্ত-প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এ জন্য আইনজীবী ও অপরাধ বিশেষজ্ঞসহ বড় আকারের একটি কারিগরি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমরাও মনে করি, এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। দায়সারা তদন্ত হলে ছিয়ানব্বই সালের মতোই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবেন।
এসইসির বর্তমান কাঠামোর দুর্বলতার বিষয়টিও স্থান পেয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। এসইসিতে হিসাববিষয়ক কোনো সদস্য বা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং কোনো আর্থিক বিশ্লেষক না থাকাকে ত্রুটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জনবলের ঘাটতির বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে এর কাঠামোগত পুনর্গঠনের কাজটিও জরুরি ভিত্তিতে করতে হবে। ভবিষ্যতে এসইসি যাতে এ ধরনের অনিয়মে জড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য এসইসি পরিদর্শন ও যেকোনো অনিয়ম তদন্তে একটি স্থায়ী বিভাগ গঠনেরও পরামর্শ এসেছে তদন্ত প্রতিবেদনে। ছিয়ানব্বই সালে ও এবারের অনিয়মের পর শেয়ারবাজারকে একটি সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখার বিষয়টি তাই খুবই প্রাসঙ্গিক।
প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের একটি অংশ এসইসির অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের অপসারণ ও এসইসি পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি অনুসরণের পক্ষে। এ ছাড়া সুবিধাভোগী একটি মহল এসইসির বর্তমান নেতৃত্বকে রক্ষার চেষ্টা করছে বলেও জানা গেছে। আমরা মনে করি, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে এনে শেয়ারবাজারকে স্বাভাবিক করতে হলে এখনই এসইসির অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অপসারণ, প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠন জরুরি। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত-প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সরকার আসলে কী চায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
শেয়ারবাজারে যে অনিয়ম ঘটে গেছে, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী এর মূল দায় এসে পড়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির ওপর। এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন তো করেইনি, বরং অনিয়ম ও অপকর্মের সঙ্গেও সরাসরি জড়িত বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে অপসারণের। ফলে বর্তমান এসইসি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এসইসির এই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত শেয়ারবাজার স্বাভাবিক করার কোনো উদ্যোগই কাজে দেবে না।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, শেয়ারবাজারের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হিসেবে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। তদন্ত প্রতিবেদনে নামগুলো এসেছে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে। তদন্ত প্রতিবেদনেই তাঁদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সরকারকে এখনই এই অধিকতর তদন্ত-প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এ জন্য আইনজীবী ও অপরাধ বিশেষজ্ঞসহ বড় আকারের একটি কারিগরি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমরাও মনে করি, এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। দায়সারা তদন্ত হলে ছিয়ানব্বই সালের মতোই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবেন।
এসইসির বর্তমান কাঠামোর দুর্বলতার বিষয়টিও স্থান পেয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। এসইসিতে হিসাববিষয়ক কোনো সদস্য বা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং কোনো আর্থিক বিশ্লেষক না থাকাকে ত্রুটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জনবলের ঘাটতির বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে এর কাঠামোগত পুনর্গঠনের কাজটিও জরুরি ভিত্তিতে করতে হবে। ভবিষ্যতে এসইসি যাতে এ ধরনের অনিয়মে জড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য এসইসি পরিদর্শন ও যেকোনো অনিয়ম তদন্তে একটি স্থায়ী বিভাগ গঠনেরও পরামর্শ এসেছে তদন্ত প্রতিবেদনে। ছিয়ানব্বই সালে ও এবারের অনিয়মের পর শেয়ারবাজারকে একটি সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখার বিষয়টি তাই খুবই প্রাসঙ্গিক।
প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের একটি অংশ এসইসির অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের অপসারণ ও এসইসি পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি অনুসরণের পক্ষে। এ ছাড়া সুবিধাভোগী একটি মহল এসইসির বর্তমান নেতৃত্বকে রক্ষার চেষ্টা করছে বলেও জানা গেছে। আমরা মনে করি, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে এনে শেয়ারবাজারকে স্বাভাবিক করতে হলে এখনই এসইসির অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অপসারণ, প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠন জরুরি। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত-প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সরকার আসলে কী চায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
No comments