বিষপিঁপড়ার হাত থেকে বিমানকে বাঁচান-দুর্নীতির লীলাখেলা
লোকসানি প্রতিষ্ঠান বিমান সরকারের বোঝা হলেও অনেকের জন্য তা সোনার ডিমপাড়া হাঁস। বিমান যতই লোকসান করে, ততই তাদের লাভ হয়। কেননা, লাভের সুযোগগুলো তারাই আত্মসাৎ করে। প্রবাদে একেই বলে, লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায়। জাতীয় আকাশ পরিবহন সংস্থা বিমানের সর্বাঙ্গজুড়েই এই পিঁপড়ার দংশন।
গত অর্থবছরেই বিমানের লোকসান ছিল ৮০ কোটি টাকা। এ ধরনের অজস্র দুর্নীতির কারণেই বিমান লোকসান করে। বিমানের লোকসানের কারণ তাই এর পরিচালনার মধ্যেই নিহিত।
গত শনিবারের প্রথম আলোর সংবাদে বলা হয়েছে, ঢাকা-ব্যাংককের এক ফ্লাইটেই পণ্যের ভাড়া বাবদ সাত লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিমান। কলকাতা থেকে নিয়মিতভাবে একদল ব্যক্তি পরিবহন ফি না দিয়েই লাগেজে করে মালামাল নিয়ে আসার ব্যবসা চালাচ্ছে বহুদিন ধরে। শুধু ব্যাংককই নয়; লন্ডন, করাচি, সিঙ্গাপুর, কুয়েতসহ অনেক রুটেই এ রকম দুর্নীতির লীলাখেলা চলছে বলে অভিযোগ। যাত্রীদের আসনগুলো সেসব মাল দিয়ে ভর্তি করায় বিমান প্রথমত যাত্রী ভাড়া ও যাত্রী দুটোই হারায়; দ্বিতীয়ত, বহন করা মালামালের উপযুক্ত ভাড়া ঘুষের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রথম আলোর সংবাদমতে, এ বাবদ ঘুষের পরিমাণ জানা গেছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন রুটে এ ধরনের কাজ হয়ে চলছে। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে যে অর্থ থেকে বঞ্চিত হয় বিমান, সেই অর্থটাই ভাগাভাগি হয়ে যায় বিমানেরই একশ্রেণীর অসাধু কর্মচারী-কর্মকর্তা এবং তাঁদের মক্কেলদের মধ্যে। এই বিচারে বলা যায়, দুর্নীতিগুলো না হলে বিমান লোকসানি থাকত না।
এর আগে বাইরে থেকে বিমান ভাড়া করা নিয়ে বিপুল দুর্নীতির সংবাদ প্রথম আলো প্রকাশ করেছিল। গত হজের সময়ও হজযাত্রী পরিবহনে দুর্নীতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক রুট পরিচালনা, বিমান কেনা ও ভাড়া নেওয়া, বিমানের স্থাবর সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণসহ এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যা দুর্নীতির গ্রাসে পড়েনি।
এর অবসান হতেই হবে। বেসরকারীকরণ এর সমাধান নয়। যোগ্য ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের নিয়োগ এবং কঠোর সরকারি নজরদারি ছাড়া দুর্নীতির এই বিষপিঁপড়ার হাত থেকে বিমানকে বাঁচানো যাবে না। বিমানকে বাঁচাতে তাই উন্মোচিত সব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে। এরা ছাড় পেলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
গত শনিবারের প্রথম আলোর সংবাদে বলা হয়েছে, ঢাকা-ব্যাংককের এক ফ্লাইটেই পণ্যের ভাড়া বাবদ সাত লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিমান। কলকাতা থেকে নিয়মিতভাবে একদল ব্যক্তি পরিবহন ফি না দিয়েই লাগেজে করে মালামাল নিয়ে আসার ব্যবসা চালাচ্ছে বহুদিন ধরে। শুধু ব্যাংককই নয়; লন্ডন, করাচি, সিঙ্গাপুর, কুয়েতসহ অনেক রুটেই এ রকম দুর্নীতির লীলাখেলা চলছে বলে অভিযোগ। যাত্রীদের আসনগুলো সেসব মাল দিয়ে ভর্তি করায় বিমান প্রথমত যাত্রী ভাড়া ও যাত্রী দুটোই হারায়; দ্বিতীয়ত, বহন করা মালামালের উপযুক্ত ভাড়া ঘুষের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রথম আলোর সংবাদমতে, এ বাবদ ঘুষের পরিমাণ জানা গেছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন রুটে এ ধরনের কাজ হয়ে চলছে। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে যে অর্থ থেকে বঞ্চিত হয় বিমান, সেই অর্থটাই ভাগাভাগি হয়ে যায় বিমানেরই একশ্রেণীর অসাধু কর্মচারী-কর্মকর্তা এবং তাঁদের মক্কেলদের মধ্যে। এই বিচারে বলা যায়, দুর্নীতিগুলো না হলে বিমান লোকসানি থাকত না।
এর আগে বাইরে থেকে বিমান ভাড়া করা নিয়ে বিপুল দুর্নীতির সংবাদ প্রথম আলো প্রকাশ করেছিল। গত হজের সময়ও হজযাত্রী পরিবহনে দুর্নীতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক রুট পরিচালনা, বিমান কেনা ও ভাড়া নেওয়া, বিমানের স্থাবর সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণসহ এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যা দুর্নীতির গ্রাসে পড়েনি।
এর অবসান হতেই হবে। বেসরকারীকরণ এর সমাধান নয়। যোগ্য ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের নিয়োগ এবং কঠোর সরকারি নজরদারি ছাড়া দুর্নীতির এই বিষপিঁপড়ার হাত থেকে বিমানকে বাঁচানো যাবে না। বিমানকে বাঁচাতে তাই উন্মোচিত সব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে। এরা ছাড় পেলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
No comments