চীনের বিরুদ্ধে চক্রান্তে অস্ট্রেলিয়া বন্ধু হলো আমেরিকার
চীনকে কোনঠাসা করতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সামরিক জোটে শক্তিবৃদ্ধি করছে আমেরিকা। অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা রিপোর্টে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি চীন। তাই বেইজিংকে চাপে রাখতে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক দিক থেকে সামনে অসুবিধায় ফেলতে মরিয়া ওবামা প্রশাসন।
গত নভেম্বরে আমেরিকার সঙ্গে সামরিক চুক্তি করেছে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডের সরকার। এই চুক্তির পর দেশের উত্তরের ডারউইন দ্বীপে ২,৫০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করেছে পেন্টাগন। যার অন্যতম উদ্দেশ্য অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, বোমারু বিমানের দাপট দেখানো। তৈরি করা নতুন বিমান ঘাঁটিও।
এই রিপোর্ট অনুসারে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর এবং পশ্চিমে সামরিক শক্তি বাড়াতে চাইছে ওয়াশিংটন। লক্ষ্য ভারত মহাসাগরে দখলদারি। একই সঙ্গে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার জলপথে বাণিজ্যকেও ব-কলমে নিয়ন্ত্রণে আনা। এর জন্য জলপথের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি এই জোট কব্জা করতে চায়। এমনই একটি অংশ মালাক্কা প্রণালী। জলপথের এই অংশটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা চীনের জ্বালানির জোগান প্রয়োজনে বন্ধ করে দিতে সক্ষম হবে আমেরিকা। ওবামা প্রশাসন এই কাজ করছে পরিকল্পিতভাবেই। আগামী দিনে যাতে কোন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চীনকে শক্তির জোগান থেকে বঞ্চিত করা সহজ হয়।
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাংশ মার্কিন সেনাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া বিশেষভাবেই উল্লেখযোগ্য। লেবার পার্টির সরকারের এহেন বিদেশ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী গিলার্ডের সরকার মার্কিন সামরিকীকরণের নীতিকেই দেশে আমদানি করছে। লিবিয়ার পর সিরিয়ায়ও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের ছক তৈরির অভিযোগ উঠেছে আমেরিকান এবং ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলির বিরুদ্ধে। এমন ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝে এই ঘটনাক্রম তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু সিরিয়ায় নয়, এই আগ্রাসী জোটের পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারে ইরানও। কিন্তু এখনই সরাসরি গায়ের জোর দেখাতে নারাজ ন্যাটো জোট। বিশেষত জাতিসংঘের ছাড়পত্র ছাড়া। কিছুদিন আগেই সিরিয়ায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে জাতিসংঘে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে তারা। রাশিয়া এবং চীনের বাধার মুখে সেই চক্রান্ত মাঠে মারা গেছে। তাই এবার চীনকে চাপে ফেলার লক্ষ্য ওয়াশিংটনের। এশিয়া মহাদেশে চীনের প্রভাব কমাতে সচেষ্ট হয়েছে।
একাধিক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, গত তিন বছরে দক্ষিণ চীন সাগরে ইচ্ছাকৃতভাবেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছে আমেরিকা। এই কাজে রাষ্ট্রপতি ওবামার সহায় হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। দুটি দেশই চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। ঠিক যেমনটা তারা করেছে চীনের সহযোগী রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রেও। আমেরিকা, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া ট্রান্স প্যাসেফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) গঠন করে আশপাশের দেশগুলিতে চীনের প্রভাব কমাতে উদ্যত হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জলসীমা নির্ধারণ নিয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ বাধাতে ফিলিপাইনেও সমানে ইন্ধন জুগিয়ে চলেছে আমেরিকা। দক্ষিণ-চীন সাগরেও মার্কিনীরা অশান্তি পাকানোর চক্রান্তে শামিল। অস্ট্রেলিয়ার মতোই ফিলিপাইনের সঙ্গেও সামরিক চুক্তি করতে আলোচনা শুরু করেছে ওয়াশিংটন। এই চুক্তিটি হলে ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ চীন সাগরে উপস্থিতি বাড়াতে সক্ষম হবে পেন্টাগন। ওই অঞ্চলে চীনকে একঘরে করতে ইন্দোনেশিয়া সঙ্গে চুক্তি করেছে আমেরিকা। এই জোট মার্কিনীরা অন্তর্ভুক্ত করতে চায় থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামকেও।
এর আগে বার্মাকে নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে হাত দিয়েছে ওবামা প্রশাসন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ভেক ধরে ধীরলয়ে এগিয়ে চলেছে ওয়াশিংটন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনের ঘনিষ্ঠতম সহযোগী বার্মা। ভারত মহাসাগর থেকে দক্ষিণ চীনে জ্বালানি নিয়ে যাওয়ার সহজতম পথ। এখানেও অন্তরায় সৃষ্টি করতে তৎপর হয়েছে আমেরিকা। গত ডিসেম্বর বার্মা সফরে আসেন আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। এরপর বার্মা এবং আমেরিকা নিজেদের মধ্যে রাষ্ট্রদূতের অদল-বদল করেছে। পাশাপাশি বার্মার ওপর থেকে কতগুলি নিষেধাজ্ঞা ও আংশিকভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে আমেরিকা। অন্যদিকে নিউইয়র্ক টাইমস খবর অনুযায়ী কুখ্যাত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সি আই এ’র ডিরেক্টর ডেভিড পেট্রাইউসেরও আর কিছুদিনের মধ্যে বার্মায় যাওয়ার কথা। এই সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান প্রদান নিয়ে চুক্তি হতে পারে।
চীনকে সমস্যায় ফেলাই যে আসলে আমেরিকার লক্ষ্য তা সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি প্রতিরক্ষা রিপোর্টে ফাঁস হয়ে গেছে। ‘কি স্ট্রেটেজিক জাজমেন্ট’, শীর্ষ ওই রিপোর্ট পড়লে চমকে উঠতে হয়। এতে বলা হয়েছে, চীনের শক্তির জোগান এবং জলপথে নিয়ন্ত্রণ কমাতে সচেষ্ট হবে অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা। এর জন্য জোট প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে।
আমেরিকার এই আগ্রাসী ভূমিকা গোটা অঞ্চলে উত্তেজনার সৃষ্টি করছে। বিপন্ন হচ্ছে এশীয়- প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তির আবহও।
এই রিপোর্ট অনুসারে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর এবং পশ্চিমে সামরিক শক্তি বাড়াতে চাইছে ওয়াশিংটন। লক্ষ্য ভারত মহাসাগরে দখলদারি। একই সঙ্গে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার জলপথে বাণিজ্যকেও ব-কলমে নিয়ন্ত্রণে আনা। এর জন্য জলপথের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি এই জোট কব্জা করতে চায়। এমনই একটি অংশ মালাক্কা প্রণালী। জলপথের এই অংশটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা চীনের জ্বালানির জোগান প্রয়োজনে বন্ধ করে দিতে সক্ষম হবে আমেরিকা। ওবামা প্রশাসন এই কাজ করছে পরিকল্পিতভাবেই। আগামী দিনে যাতে কোন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চীনকে শক্তির জোগান থেকে বঞ্চিত করা সহজ হয়।
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাংশ মার্কিন সেনাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া বিশেষভাবেই উল্লেখযোগ্য। লেবার পার্টির সরকারের এহেন বিদেশ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী গিলার্ডের সরকার মার্কিন সামরিকীকরণের নীতিকেই দেশে আমদানি করছে। লিবিয়ার পর সিরিয়ায়ও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের ছক তৈরির অভিযোগ উঠেছে আমেরিকান এবং ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলির বিরুদ্ধে। এমন ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝে এই ঘটনাক্রম তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু সিরিয়ায় নয়, এই আগ্রাসী জোটের পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারে ইরানও। কিন্তু এখনই সরাসরি গায়ের জোর দেখাতে নারাজ ন্যাটো জোট। বিশেষত জাতিসংঘের ছাড়পত্র ছাড়া। কিছুদিন আগেই সিরিয়ায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে জাতিসংঘে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে তারা। রাশিয়া এবং চীনের বাধার মুখে সেই চক্রান্ত মাঠে মারা গেছে। তাই এবার চীনকে চাপে ফেলার লক্ষ্য ওয়াশিংটনের। এশিয়া মহাদেশে চীনের প্রভাব কমাতে সচেষ্ট হয়েছে।
একাধিক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, গত তিন বছরে দক্ষিণ চীন সাগরে ইচ্ছাকৃতভাবেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছে আমেরিকা। এই কাজে রাষ্ট্রপতি ওবামার সহায় হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। দুটি দেশই চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। ঠিক যেমনটা তারা করেছে চীনের সহযোগী রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রেও। আমেরিকা, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া ট্রান্স প্যাসেফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) গঠন করে আশপাশের দেশগুলিতে চীনের প্রভাব কমাতে উদ্যত হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জলসীমা নির্ধারণ নিয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ বাধাতে ফিলিপাইনেও সমানে ইন্ধন জুগিয়ে চলেছে আমেরিকা। দক্ষিণ-চীন সাগরেও মার্কিনীরা অশান্তি পাকানোর চক্রান্তে শামিল। অস্ট্রেলিয়ার মতোই ফিলিপাইনের সঙ্গেও সামরিক চুক্তি করতে আলোচনা শুরু করেছে ওয়াশিংটন। এই চুক্তিটি হলে ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ চীন সাগরে উপস্থিতি বাড়াতে সক্ষম হবে পেন্টাগন। ওই অঞ্চলে চীনকে একঘরে করতে ইন্দোনেশিয়া সঙ্গে চুক্তি করেছে আমেরিকা। এই জোট মার্কিনীরা অন্তর্ভুক্ত করতে চায় থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামকেও।
এর আগে বার্মাকে নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে হাত দিয়েছে ওবামা প্রশাসন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ভেক ধরে ধীরলয়ে এগিয়ে চলেছে ওয়াশিংটন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনের ঘনিষ্ঠতম সহযোগী বার্মা। ভারত মহাসাগর থেকে দক্ষিণ চীনে জ্বালানি নিয়ে যাওয়ার সহজতম পথ। এখানেও অন্তরায় সৃষ্টি করতে তৎপর হয়েছে আমেরিকা। গত ডিসেম্বর বার্মা সফরে আসেন আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। এরপর বার্মা এবং আমেরিকা নিজেদের মধ্যে রাষ্ট্রদূতের অদল-বদল করেছে। পাশাপাশি বার্মার ওপর থেকে কতগুলি নিষেধাজ্ঞা ও আংশিকভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে আমেরিকা। অন্যদিকে নিউইয়র্ক টাইমস খবর অনুযায়ী কুখ্যাত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সি আই এ’র ডিরেক্টর ডেভিড পেট্রাইউসেরও আর কিছুদিনের মধ্যে বার্মায় যাওয়ার কথা। এই সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান প্রদান নিয়ে চুক্তি হতে পারে।
চীনকে সমস্যায় ফেলাই যে আসলে আমেরিকার লক্ষ্য তা সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি প্রতিরক্ষা রিপোর্টে ফাঁস হয়ে গেছে। ‘কি স্ট্রেটেজিক জাজমেন্ট’, শীর্ষ ওই রিপোর্ট পড়লে চমকে উঠতে হয়। এতে বলা হয়েছে, চীনের শক্তির জোগান এবং জলপথে নিয়ন্ত্রণ কমাতে সচেষ্ট হবে অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা। এর জন্য জোট প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে।
আমেরিকার এই আগ্রাসী ভূমিকা গোটা অঞ্চলে উত্তেজনার সৃষ্টি করছে। বিপন্ন হচ্ছে এশীয়- প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তির আবহও।
No comments