পার্বত্য চট্টগ্রাম-গোলকধাঁধার আবর্তে পাহাড়ের শান্তি-প্রক্রিয়া by ইলিরা দেওয়ান
গত ৩০ মার্চ প্রেসক্লাবের এক আলোচনা সভায় আদিবাসীবিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক সাংসদ রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত হবে কি না, সেটা এখন বড় ধাঁধা।’ এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার স্বীকার করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন-সম্পর্কিত সব কার্যক্রম
আপাতত বন্ধ আছে (সূত্র: ২৮ মার্চ, প্রথম আলো)। এসব সংবাদ পড়ে পাহাড়ের মানুষজন আবারও উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েছে।
রাশেদ খান মেনন বলেছেন, এ ভূতের খেলা কত দিন চলবে, বলা যায় না। ভূতের খেলার গোলকধাঁধায় পড়ে পাহাড়ের মানুষেরা কি কেবল গিনিপিগ হয়ে থাকবে? এ ভূত তাড়াতে ওঝা কে হবে, সেটাই এখন সবার সামনে বিরাট প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, পাহাড়ে শান্তি স্থাপনে তারা যথেষ্ট আন্তরিক। কিন্তু এ আন্তরিকতা একটা জায়গায় গিয়ে আটকে যায়। তাহলে কী এমন অদৃশ্য পক্ষ রয়েছে, যেখানে হাত দেওয়ার ক্ষমতাও সরকার রাখে না! এ অদৃশ্য গোলকধাঁধার কথা শুধু সরকারপক্ষের লোকজন নয়, বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও একই সুরে বলছেন।
২০১০ সালের ২২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সংসদীয় কমিটির দ্বাদশ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পাহাড়ে শান্তি-প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে করণীয় বিষয়ে মতামত জানতে এ সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়। ওই সভায় এ সংসদীয় কমিটির অন্যতম বিরোধীদলীয় সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ প্রথমবারের মতো উপস্থিত ছিলেন। সভায় তিনি বলেছিলেন, সংবিধান সংশোধনের যে প্রক্রিয়া চলছে, তাতে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিছুতেই এ সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হলে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি থাকবে না (সূত্র: ২৩ ডিসেম্বর, কালের কণ্ঠ)। কিন্তু বিশেষ কমিটি তাদের আদিবাসী না বলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করতে চাইছে। আমরা এর জোরালো প্রতিবাদ করি।
১ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তথ্য কমিশনার সাদেকা হালিমও এ গোলকধাঁধার প্রশ্নটি উত্থাপন করেছেন। উল্লেখ্য, তিনিও গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভায় বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তাই, পাহাড়ে শান্তি-প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা কোথায় রয়েছে, সেটি খুঁজে বের করে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তির পথটি সরকারকেই বের করা প্রয়োজন।
বর্তমানে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের সব কার্যক্রম থমকে আছে। এমনকি ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনও নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পেছনে ভূমিবিরোধই অন্যতম প্রধান কারণ। গত ২৭ ডিসেম্বর ভূমি কমিশন চেয়ারম্যান একতরফাভাবে ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তির বিচারিক কাজ শুরু করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংগঠন ও পেশাজীবীদের প্রতিবাদের মুখে সংসদ উপনেতা ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক সাজেদা চৌধুরী এ বিচারিক কার্যক্রম উদ্বোধন থেকে বিরত থাকেন। পাহাড়িরা মনে করেন, বর্তমান ভূমি কমিশন চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে তাঁর স্থলে এমন একজন বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়া হোক, যিনি গণতান্ত্রিক মতামতকে প্রাধান্য দেবেন। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে ভূমি কমিশন আইন, ২০০১-এর ২৩টি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হলেও সম্প্র্রতি মাত্র তিনটি ধারায় (ধারা ৬(১)ক, গ ও ৬(১)(গ) ) সংশোধনের প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা যায়। যে ধারাসমূহে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতিকে কিঞ্চিৎ আমলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রধান কিছু সংশোধনী যেমন—ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বিধিমালা প্রণয়ন, চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা হ্রাসকরণ, সার্কেল চিফদের প্রতিনিধি প্রেরণের ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয় উপেক্ষিতই থেকে গেছে।
এ ছাড়া গত ২৬ জানুয়ারি আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সপ্তম সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম-সম্পর্কিত চারটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে পত্রিকা সূত্রে জানা যায়। কিন্তু যে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন সেটা হলো, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাটি মোটেও আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা নয়। সমস্যাটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। কাজেই রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ এলাকার সমস্যাকে বিবেচনায় নিয়ে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
পাহাড়ের মানুষেরা কখনো নিজেদের বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন মনে করে না। তারা এ দেশের সংবিধানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত থেকে দেশসেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে চায়। বরং যুগ যুগ ধরে তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী, সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে অধিকারবঞ্চিত এ মানুষদের বর্তমান পরিণতির জন্য তো রাষ্ট্রব্যবস্থাই দায়ী। দীর্ঘ দুই যুগের সশস্ত্র সংগ্রামের পর ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত চুক্তির পর দীর্ঘ ১৩টি বছর অতিক্রান্ত হলেও যখন চুক্তি বাস্তবায়িত হচ্ছে না, তখন স্বাভাবিকভাবে সেখানকার যুবসমাজের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম হতে পারে।
এ কথা মনে রাখতে হবে, পার্বত্য চুক্তি যথাসময়ে বাস্তবায়িত না হলে পাহাড়িরা নয়, বরং অদূর ভবিষ্যতে পাহাড়ে ঘাঁটি স্থাপনকারী মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোই বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সমস্যা ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের পথকে মসৃণ করতে হলে অদৃশ্য কিন্তু শক্তিমান এ গোলকধাঁধা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ গোলকধাঁধার ভূতের নাচন থামানোর মহৌষধটি সরকারকেই প্রস্তুত করতে হবে।
ইলিরা দেওয়ান: মানবাধিকারকর্মী।
ilira.dewan@gmail.com
রাশেদ খান মেনন বলেছেন, এ ভূতের খেলা কত দিন চলবে, বলা যায় না। ভূতের খেলার গোলকধাঁধায় পড়ে পাহাড়ের মানুষেরা কি কেবল গিনিপিগ হয়ে থাকবে? এ ভূত তাড়াতে ওঝা কে হবে, সেটাই এখন সবার সামনে বিরাট প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, পাহাড়ে শান্তি স্থাপনে তারা যথেষ্ট আন্তরিক। কিন্তু এ আন্তরিকতা একটা জায়গায় গিয়ে আটকে যায়। তাহলে কী এমন অদৃশ্য পক্ষ রয়েছে, যেখানে হাত দেওয়ার ক্ষমতাও সরকার রাখে না! এ অদৃশ্য গোলকধাঁধার কথা শুধু সরকারপক্ষের লোকজন নয়, বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও একই সুরে বলছেন।
২০১০ সালের ২২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সংসদীয় কমিটির দ্বাদশ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পাহাড়ে শান্তি-প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে করণীয় বিষয়ে মতামত জানতে এ সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়। ওই সভায় এ সংসদীয় কমিটির অন্যতম বিরোধীদলীয় সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ প্রথমবারের মতো উপস্থিত ছিলেন। সভায় তিনি বলেছিলেন, সংবিধান সংশোধনের যে প্রক্রিয়া চলছে, তাতে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিছুতেই এ সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হলে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি থাকবে না (সূত্র: ২৩ ডিসেম্বর, কালের কণ্ঠ)। কিন্তু বিশেষ কমিটি তাদের আদিবাসী না বলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করতে চাইছে। আমরা এর জোরালো প্রতিবাদ করি।
১ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তথ্য কমিশনার সাদেকা হালিমও এ গোলকধাঁধার প্রশ্নটি উত্থাপন করেছেন। উল্লেখ্য, তিনিও গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভায় বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তাই, পাহাড়ে শান্তি-প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা কোথায় রয়েছে, সেটি খুঁজে বের করে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তির পথটি সরকারকেই বের করা প্রয়োজন।
বর্তমানে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের সব কার্যক্রম থমকে আছে। এমনকি ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনও নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পেছনে ভূমিবিরোধই অন্যতম প্রধান কারণ। গত ২৭ ডিসেম্বর ভূমি কমিশন চেয়ারম্যান একতরফাভাবে ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তির বিচারিক কাজ শুরু করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংগঠন ও পেশাজীবীদের প্রতিবাদের মুখে সংসদ উপনেতা ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক সাজেদা চৌধুরী এ বিচারিক কার্যক্রম উদ্বোধন থেকে বিরত থাকেন। পাহাড়িরা মনে করেন, বর্তমান ভূমি কমিশন চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে তাঁর স্থলে এমন একজন বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়া হোক, যিনি গণতান্ত্রিক মতামতকে প্রাধান্য দেবেন। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে ভূমি কমিশন আইন, ২০০১-এর ২৩টি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হলেও সম্প্র্রতি মাত্র তিনটি ধারায় (ধারা ৬(১)ক, গ ও ৬(১)(গ) ) সংশোধনের প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা যায়। যে ধারাসমূহে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতিকে কিঞ্চিৎ আমলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রধান কিছু সংশোধনী যেমন—ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বিধিমালা প্রণয়ন, চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা হ্রাসকরণ, সার্কেল চিফদের প্রতিনিধি প্রেরণের ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয় উপেক্ষিতই থেকে গেছে।
এ ছাড়া গত ২৬ জানুয়ারি আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সপ্তম সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম-সম্পর্কিত চারটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে পত্রিকা সূত্রে জানা যায়। কিন্তু যে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন সেটা হলো, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাটি মোটেও আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা নয়। সমস্যাটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। কাজেই রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ এলাকার সমস্যাকে বিবেচনায় নিয়ে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
পাহাড়ের মানুষেরা কখনো নিজেদের বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন মনে করে না। তারা এ দেশের সংবিধানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত থেকে দেশসেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে চায়। বরং যুগ যুগ ধরে তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী, সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে অধিকারবঞ্চিত এ মানুষদের বর্তমান পরিণতির জন্য তো রাষ্ট্রব্যবস্থাই দায়ী। দীর্ঘ দুই যুগের সশস্ত্র সংগ্রামের পর ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত চুক্তির পর দীর্ঘ ১৩টি বছর অতিক্রান্ত হলেও যখন চুক্তি বাস্তবায়িত হচ্ছে না, তখন স্বাভাবিকভাবে সেখানকার যুবসমাজের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম হতে পারে।
এ কথা মনে রাখতে হবে, পার্বত্য চুক্তি যথাসময়ে বাস্তবায়িত না হলে পাহাড়িরা নয়, বরং অদূর ভবিষ্যতে পাহাড়ে ঘাঁটি স্থাপনকারী মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোই বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সমস্যা ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের পথকে মসৃণ করতে হলে অদৃশ্য কিন্তু শক্তিমান এ গোলকধাঁধা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ গোলকধাঁধার ভূতের নাচন থামানোর মহৌষধটি সরকারকেই প্রস্তুত করতে হবে।
ইলিরা দেওয়ান: মানবাধিকারকর্মী।
ilira.dewan@gmail.com
No comments