নাগরিক প্রত্যাশা-গণমুখী বাজেট চাই by এমএম কবীর মামুন
২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটের সময় আসন্ন। এ বাজেট ধরে সাধারণ মানুষের যে প্রত্যাশা তৈরি হয় বাজেট ঘোষণার পর তা প্রাপ্তি হয়ে পরিণত হয় হতাশায়। উচ্চবিত্তের মানুষের কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের বেঁচে থাকাটা হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। সরকার বারবার বলছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে।
ব্যাপারটা যদি এমন হয়, মানুষের আয় বাড়ছে না কিন্তু দ্রব্যমূল্য এবং ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে তাহলে কী বোঝা যাবে
আসছে নতুন অর্থবছর। কী আছে সাধারণ মানুষের ভাগ্যে? সাধারণ মানুষের জীবনমানে স্বস্তি ফিরবে কি? নাকি আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে জীবন। সরকার কি নিজের গতিতে চলবে, নাকি জনগণের দিকে ফিরে তাকাবে? এ বছর আমরা স্বাধীনতার ৪১ বছর উদযাপন করলাম। প্রতি বছর সরকারি দলের বাজেট ঘোষণা আর বিরোধী দলের গতানুগতিক প্রত্যাখ্যান, এই রীতি আজ পুরনো হয়ে গেছে। সরকারি দল আর প্রধান বিরোধী দল শুধু একে অন্যের নিন্দা গাইবে, এই হলো তাদের প্রধান কাজ। নতুন প্রজন্ম এখন নতুন কিছু চাইছে। দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ জীবনের নূ্যনতম চাহিদা থেকে বঞ্চিত আর দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। এ অবস্থার মধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যেভাবে বল্গা হরিণের মতো ছুটছে তাতে দারিদ্র্যসীমার নিচের মানুষের বেঁচে থাকার উপায় কী হবে তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।
বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানে নাগরিক অধিকার সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। তাই কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সামাজিক নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের এই কথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। স্থানীয় সরকারগুলোর জন্য যেসব আইন প্রণীত হয়েছে তার সবক'টিতেই অংশগ্রহণমূলক বাজেট প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ বাজেট তৈরি হবে জনগণের মতামত নিয়ে। সাধারণ মানুষের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের মতামত নিয়ে তৈরি হতে হবে তৃণমূলের বাজেট। কিন্তু জাতীয় বাজেট প্রণয়নের কৌশল কী হবে? জাতীয় বাজেটে কি জনমতের প্রতিফলন থাকবে, নাকি তা তৈরি হবে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশে। দরিদ্রবান্ধব গণমুখী বাজেট করার জন্য দরকার বাজেটে সাধারণ মানুষের মতামতের প্রতিফলন থাকা। বাংলাদেশের আমলাতান্ত্রিক বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা প্রত্যেক মন্ত্রণালয় থেকে তাদের সম্ভাব্য ব্যয়ের তালিকা নেন এবং একনেকে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক তালিকা তৈরি করেন। প্রকল্প তৈরি হওয়ার পর সম্ভাব্য বরাদ্দের তালিকাও তৈরি করেন। এভাবেই তৈরি হয় বাজেট। এখানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটি ব্যয়ের বিস্তারিত সমীক্ষণ করলেও অন্য কমিটিগুলো তা করার এখতিয়ার রাখে না। রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সঙ্গে লোক দেখানো আলোচনা হলেও তার প্রতিফলন আমরা বাজেটে দেখতে পাই না। সাধারণ মানুষের কথা তো বলাই বাহুল্য। এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ কি ফেরাতে পারবে তাদের ভাগ্য। প্রতি বছর বাজেটের আগেই সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। নাভিশ্বাস উঠে যায় নিম্ন আয়ের মানুষের। দেশের বিদ্যুৎ সংকট এবং জ্বালানি তেলের অসম্ভব রকমের মূল্যবৃদ্ধি জীবনধারণের সব পর্যায়কে করেছে বিপর্যস্ত। আগামী বাজেটে এ সংকট উত্তরণের কোনো রাস্তা কি দেশের মানুষ দেখতে পাবে?
দেশ খাদ্য উৎপাদনে এতটাই এগিয়েছে, আমাদের আর আমদানি করতে হচ্ছে না এটা ঠিক। কিন্তু তা কি সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে? এ অবস্থায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা সব মানুষকে সোস্যাল সেফটি নেটের আওতায় নিয়ে আসাটা জরুরি। এ প্রক্রিয়া হতে হবে জবাবদিহিমূলক। এখানে সোস্যাল অডিটের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যেখানে জনগণ প্রকল্পগুলোকে মনিটরিং ও মূল্যায়নের জায়গায় থাকবে। গণশুনানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। আজকাল এনার্জি রেগুলেটরি কমিটি যে রকম বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য লোক দেখানো গণশুনানি করে, দাম বাড়িয়ে দেয়, সে রকম নয়। প্রকৃত গণশুনানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাহলেই এ প্রক্রিয়া হতে পারে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক। তবে সবার আগে বাজেট হতে হবে জনগণের মতামতের প্রতিফলন। এ জন্য দরকার তৃণমূলের প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে সরকারের বৈঠক। স্থানীয় সরকারের সব পর্যায়ে জনঅংশগ্রহণমূলক বাজেট করার কথা বলা থাকলেও বেশিরভাগ ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। যেসব ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার সঙ্গে কিছু এনজিও কাজ করছে, সেখানে উন্মুক্ত বাজেট হলেও তা আসলে পুরোপুরি জনঅংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না। এ পর্যায়ে সরকারি নজরদারি বাড়ানো এবং জনঅংশগ্রহণমূলক বাজেট বাস্তবায়নে সরকারকে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করা উচিত। আর তৃণমূলের মানুষের চাহিদার ভিত্তিতে যদি বাজেট তৈরি হয় তাহলেই বাজেট হবে গণমুখী।
আগামী অর্থবছর অর্থাৎ ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটের সময় আসন্ন। আর মাত্র ২ মাস বাকি। এ বাজেট ধরে সাধারণ মানুষের যে প্রত্যাশা তৈরি হয় বাজেট ঘোষণার পর তা প্রাপ্তি হয়ে পরিণত হয় হতাশায়। উচ্চবিত্তের মানুষের কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের বেঁচে থাকাটা হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। সরকার বারবার বলছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। ব্যাপারটা যদি এমন হয়, মানুষের আয় বাড়ছে না কিন্তু দ্রব্যমূল্য এবং ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে তাহলে কী বোঝা যাবে। এটা খুবই পরিষ্কার যে, এভাবে ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার অর্থ হলো দুর্নীতি বেড়েছে অথবা মানুষ দেনাগ্রস্ত হয়েছে অথবা অন্য যে কোনো অবৈধ রাস্তায় অর্থ উপার্জন করছে। তাই এভাবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াটাকে উন্নয়নের চিহ্ন বলে ধারণা করাটা সঠিক নয়। অর্থমন্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য থাকবে সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা। কারণ এ সরকার তার প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের জন্য পরিপূর্ণ এক বছর পাবে শুধু এ অর্থবছরটিই। আর এটা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঝুঁকিও রয়েছে অনেক। কারণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা আমাদের বলে যে, নির্বাচিত সরকারের শেষ সময়গুলো কাটে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে। ফলে এ সময় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাটা অনেকটা ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়। পরিস্থিতি যাই হোক দারিদ্র্য বিমোচনের গুরুদায়িত্ব অস্বীকার করার সুযোগ কোনো সরকারেরই নেই। তাই গণমুখী বাজেট প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি। আর এবারের বাজেট হবে জনবান্ধব ও গণমুখী এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
এমএম কবীর মামুন : উন্নয়নকর্মী
krmamun334@yahoo.com
আসছে নতুন অর্থবছর। কী আছে সাধারণ মানুষের ভাগ্যে? সাধারণ মানুষের জীবনমানে স্বস্তি ফিরবে কি? নাকি আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে জীবন। সরকার কি নিজের গতিতে চলবে, নাকি জনগণের দিকে ফিরে তাকাবে? এ বছর আমরা স্বাধীনতার ৪১ বছর উদযাপন করলাম। প্রতি বছর সরকারি দলের বাজেট ঘোষণা আর বিরোধী দলের গতানুগতিক প্রত্যাখ্যান, এই রীতি আজ পুরনো হয়ে গেছে। সরকারি দল আর প্রধান বিরোধী দল শুধু একে অন্যের নিন্দা গাইবে, এই হলো তাদের প্রধান কাজ। নতুন প্রজন্ম এখন নতুন কিছু চাইছে। দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ জীবনের নূ্যনতম চাহিদা থেকে বঞ্চিত আর দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। এ অবস্থার মধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যেভাবে বল্গা হরিণের মতো ছুটছে তাতে দারিদ্র্যসীমার নিচের মানুষের বেঁচে থাকার উপায় কী হবে তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।
বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানে নাগরিক অধিকার সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। তাই কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সামাজিক নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের এই কথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। স্থানীয় সরকারগুলোর জন্য যেসব আইন প্রণীত হয়েছে তার সবক'টিতেই অংশগ্রহণমূলক বাজেট প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ বাজেট তৈরি হবে জনগণের মতামত নিয়ে। সাধারণ মানুষের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের মতামত নিয়ে তৈরি হতে হবে তৃণমূলের বাজেট। কিন্তু জাতীয় বাজেট প্রণয়নের কৌশল কী হবে? জাতীয় বাজেটে কি জনমতের প্রতিফলন থাকবে, নাকি তা তৈরি হবে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশে। দরিদ্রবান্ধব গণমুখী বাজেট করার জন্য দরকার বাজেটে সাধারণ মানুষের মতামতের প্রতিফলন থাকা। বাংলাদেশের আমলাতান্ত্রিক বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা প্রত্যেক মন্ত্রণালয় থেকে তাদের সম্ভাব্য ব্যয়ের তালিকা নেন এবং একনেকে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক তালিকা তৈরি করেন। প্রকল্প তৈরি হওয়ার পর সম্ভাব্য বরাদ্দের তালিকাও তৈরি করেন। এভাবেই তৈরি হয় বাজেট। এখানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটি ব্যয়ের বিস্তারিত সমীক্ষণ করলেও অন্য কমিটিগুলো তা করার এখতিয়ার রাখে না। রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সঙ্গে লোক দেখানো আলোচনা হলেও তার প্রতিফলন আমরা বাজেটে দেখতে পাই না। সাধারণ মানুষের কথা তো বলাই বাহুল্য। এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ কি ফেরাতে পারবে তাদের ভাগ্য। প্রতি বছর বাজেটের আগেই সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। নাভিশ্বাস উঠে যায় নিম্ন আয়ের মানুষের। দেশের বিদ্যুৎ সংকট এবং জ্বালানি তেলের অসম্ভব রকমের মূল্যবৃদ্ধি জীবনধারণের সব পর্যায়কে করেছে বিপর্যস্ত। আগামী বাজেটে এ সংকট উত্তরণের কোনো রাস্তা কি দেশের মানুষ দেখতে পাবে?
দেশ খাদ্য উৎপাদনে এতটাই এগিয়েছে, আমাদের আর আমদানি করতে হচ্ছে না এটা ঠিক। কিন্তু তা কি সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে? এ অবস্থায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা সব মানুষকে সোস্যাল সেফটি নেটের আওতায় নিয়ে আসাটা জরুরি। এ প্রক্রিয়া হতে হবে জবাবদিহিমূলক। এখানে সোস্যাল অডিটের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যেখানে জনগণ প্রকল্পগুলোকে মনিটরিং ও মূল্যায়নের জায়গায় থাকবে। গণশুনানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। আজকাল এনার্জি রেগুলেটরি কমিটি যে রকম বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য লোক দেখানো গণশুনানি করে, দাম বাড়িয়ে দেয়, সে রকম নয়। প্রকৃত গণশুনানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাহলেই এ প্রক্রিয়া হতে পারে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক। তবে সবার আগে বাজেট হতে হবে জনগণের মতামতের প্রতিফলন। এ জন্য দরকার তৃণমূলের প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে সরকারের বৈঠক। স্থানীয় সরকারের সব পর্যায়ে জনঅংশগ্রহণমূলক বাজেট করার কথা বলা থাকলেও বেশিরভাগ ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। যেসব ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার সঙ্গে কিছু এনজিও কাজ করছে, সেখানে উন্মুক্ত বাজেট হলেও তা আসলে পুরোপুরি জনঅংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না। এ পর্যায়ে সরকারি নজরদারি বাড়ানো এবং জনঅংশগ্রহণমূলক বাজেট বাস্তবায়নে সরকারকে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করা উচিত। আর তৃণমূলের মানুষের চাহিদার ভিত্তিতে যদি বাজেট তৈরি হয় তাহলেই বাজেট হবে গণমুখী।
আগামী অর্থবছর অর্থাৎ ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটের সময় আসন্ন। আর মাত্র ২ মাস বাকি। এ বাজেট ধরে সাধারণ মানুষের যে প্রত্যাশা তৈরি হয় বাজেট ঘোষণার পর তা প্রাপ্তি হয়ে পরিণত হয় হতাশায়। উচ্চবিত্তের মানুষের কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের বেঁচে থাকাটা হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। সরকার বারবার বলছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। ব্যাপারটা যদি এমন হয়, মানুষের আয় বাড়ছে না কিন্তু দ্রব্যমূল্য এবং ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে তাহলে কী বোঝা যাবে। এটা খুবই পরিষ্কার যে, এভাবে ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার অর্থ হলো দুর্নীতি বেড়েছে অথবা মানুষ দেনাগ্রস্ত হয়েছে অথবা অন্য যে কোনো অবৈধ রাস্তায় অর্থ উপার্জন করছে। তাই এভাবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াটাকে উন্নয়নের চিহ্ন বলে ধারণা করাটা সঠিক নয়। অর্থমন্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য থাকবে সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা। কারণ এ সরকার তার প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের জন্য পরিপূর্ণ এক বছর পাবে শুধু এ অর্থবছরটিই। আর এটা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঝুঁকিও রয়েছে অনেক। কারণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা আমাদের বলে যে, নির্বাচিত সরকারের শেষ সময়গুলো কাটে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে। ফলে এ সময় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাটা অনেকটা ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়। পরিস্থিতি যাই হোক দারিদ্র্য বিমোচনের গুরুদায়িত্ব অস্বীকার করার সুযোগ কোনো সরকারেরই নেই। তাই গণমুখী বাজেট প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি। আর এবারের বাজেট হবে জনবান্ধব ও গণমুখী এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
এমএম কবীর মামুন : উন্নয়নকর্মী
krmamun334@yahoo.com
No comments