যথাযথ বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে-পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা
ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার খসড়া দলিলের ওপর আলোচনায় বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন-সহযোগীরা যেসব পরামর্শ দিয়েছে, তা নতুন কিছু না হলেও গুরুত্বের দিক থেকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দাবি করে। যেমন—সুনির্দিষ্ট নীতি ও কৌশল গ্রহণ, খাদ্যনিরাপত্তায় আরও মনোযোগী হওয়া,
কর্মসংস্থানে বেসরকারি খাতের ওপর জোর দেওয়া প্রভৃতি নিশ্চয়ই দরকার। এসব কথা দাতাদের কাছ থেকে পরামর্শ হিসেবে আসতে হবে কেন? আমাদের দেশের নীতি-নির্ধারকদেরই তো মাথাব্যথা হওয়া উচিত। যেহেতু দেশে অনেক বড় বড় পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয় না, যখন যেটা করা দরকার সেটা নানা কারণে, এমনকি রাজনৈতিক কারণে ফেলে রাখা হয়, সরকারের বদল হলে পরিকল্পনা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে, সে কারণেই দাতাদের বারবার এসব অতিসাধারণ কিন্তু অবশ্যকরণীয় কথাগুলো বলতে হয়। আর আমাদেরও মাথা ঝাঁকিয়ে ‘ঠিক, ঠিক’ বলে যেতে হয়।
খসড়া অনুযায়ী, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে প্রায় সোয়া ১৩ লাখ কোটি টাকা ব্যয় হবে, যার ৭ দশমিক ২ শতাংশ দেবে দাতারা। সুতরাং তাদের ভালো পরামর্শগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিতে তো আপত্তি নেই। কিন্তু সেটা শুধু কথায় নয়, কাজেও হতে হবে। খসড়া দলিল অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছর নাগাদ মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে উন্নীত হওয়ার কথা। প্রতিবছর গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি ৬ না সাড়ে ৬, সেই বিতর্কে ঘুরপাক খাচ্ছে। সুতরাং ৮ শতাংশে যেতে হলে আরও কী করা দরকার, সেদিকে নজর দেওয়া দরকার।
কৃষি ও শিল্পে উৎপাদন বাড়াতে হলে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি বিদ্যুৎ-গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা ছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধির আশা দুরাশা মাত্র। কিন্তু সেই বিদ্যুতের অবস্থা কী? নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তার সুফল কবে পাওয়া যাবে, তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা মুশকিল। রপ্তানি-আমদানি বাড়াতে হবে। কিন্তু সে জন্য দরকার বন্দরের সুষ্ঠু ও দক্ষ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। বন্দরের ব্যবস্থাপনা উন্নত করার ওপর যতটা জোর দেওয়া দরকার, তা কি দেওয়া হচ্ছে? যেকোনো বিচারে বন্দরের দক্ষতা যে প্রশ্নসাপেক্ষ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরেকটি সমস্যা হলো দুর্নীতি। বিশেষজ্ঞদের এক হিসাব অনুযায়ী, দুর্নীতি যদি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তাহলে প্রবৃদ্ধি ২ থেকে আড়াই শতাংশ বেড়ে যাবে। এখন যদি প্রবৃদ্ধি হয় ৬ শতাংশ, তাহলে শুধু দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করেই এক বছরে ৮ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। সরকার কেন এই কাজে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে না? দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) শক্তিশালী করলে এ ব্যাপারে সুফল পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সরকার বরং কীভাবে দুদককে আরও দুর্বল করা যায়, সে চেষ্টাই করছে।
খসড়া দলিলটি দ্রুত চূড়ান্ত এবং এর যথাযথ বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে সরকার কতটা প্রস্তুত, তার ওপরই নির্ভর করে আলোচ্য পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ।
খসড়া অনুযায়ী, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে প্রায় সোয়া ১৩ লাখ কোটি টাকা ব্যয় হবে, যার ৭ দশমিক ২ শতাংশ দেবে দাতারা। সুতরাং তাদের ভালো পরামর্শগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিতে তো আপত্তি নেই। কিন্তু সেটা শুধু কথায় নয়, কাজেও হতে হবে। খসড়া দলিল অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছর নাগাদ মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে উন্নীত হওয়ার কথা। প্রতিবছর গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি ৬ না সাড়ে ৬, সেই বিতর্কে ঘুরপাক খাচ্ছে। সুতরাং ৮ শতাংশে যেতে হলে আরও কী করা দরকার, সেদিকে নজর দেওয়া দরকার।
কৃষি ও শিল্পে উৎপাদন বাড়াতে হলে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি বিদ্যুৎ-গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা ছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধির আশা দুরাশা মাত্র। কিন্তু সেই বিদ্যুতের অবস্থা কী? নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তার সুফল কবে পাওয়া যাবে, তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা মুশকিল। রপ্তানি-আমদানি বাড়াতে হবে। কিন্তু সে জন্য দরকার বন্দরের সুষ্ঠু ও দক্ষ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। বন্দরের ব্যবস্থাপনা উন্নত করার ওপর যতটা জোর দেওয়া দরকার, তা কি দেওয়া হচ্ছে? যেকোনো বিচারে বন্দরের দক্ষতা যে প্রশ্নসাপেক্ষ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরেকটি সমস্যা হলো দুর্নীতি। বিশেষজ্ঞদের এক হিসাব অনুযায়ী, দুর্নীতি যদি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তাহলে প্রবৃদ্ধি ২ থেকে আড়াই শতাংশ বেড়ে যাবে। এখন যদি প্রবৃদ্ধি হয় ৬ শতাংশ, তাহলে শুধু দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করেই এক বছরে ৮ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। সরকার কেন এই কাজে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে না? দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) শক্তিশালী করলে এ ব্যাপারে সুফল পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সরকার বরং কীভাবে দুদককে আরও দুর্বল করা যায়, সে চেষ্টাই করছে।
খসড়া দলিলটি দ্রুত চূড়ান্ত এবং এর যথাযথ বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে সরকার কতটা প্রস্তুত, তার ওপরই নির্ভর করে আলোচ্য পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ।
No comments