বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ হোক-মানবাধিকার পরিস্থিতি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর মানবাধিকার চর্চাসংক্রান্ত যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে, তাতে পৃথিবীর ১৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের মানবাধিকার, সুশাসন ও ন্যায়বিচারের বিষয়গুলো স্থান পায়। গত শুক্রবার প্রকাশিত ২০১০ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অধ্যায়ের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তাকে মোটেই ইতিবাচক বলা যাবে না।
এতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু, বন্দী নির্যাতন এবং হয়রানিমূলক গ্রেপ্তার ও আটক রাখার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সরকার স্বীকার করুক বা না করুক, বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এটি বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেই। বরং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যখন বিচারবহির্ভূত হত্যা হচ্ছে না বলে ফলাও প্রচার চালান, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এই বেআইনি কাজে আরও উৎসাহিত হন। বিনা বিচারে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের নামে আসামির ওপর নির্যাতন চালানোর ঘটনা কমেছে বলা যাবে না। এসব ঘটনা কেবল আইনের শাসনের অন্তরায় নয়, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রেও বড় বাধা। যেকোনো গণতান্ত্রিক সরকারের দায়িত্ব এসব বাধা দূর করে সমাজ ও রাষ্ট্রকে সঠিক ও সুস্থ পথে পরিচালনা করা। বর্তমান সরকার সেই অঙ্গীকার নিয়েই ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকতে বিচারবহির্ভূত হত্যার তীব্র সমালোচনা করেছিল। এখন ক্ষমতায় এসে যদি তারা সেই একই কাজ করে, তাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে কী করে? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছেন, ঝালকাঠিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী লিমন হোসেনকে গুলি করে পঙ্গু করে দেওয়া তার একটি উদাহরণ মাত্র। এসব কঠোর হাতে বন্ধ করতে হবে।
এ ছাড়া মার্কিন প্রতিবেদনে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিকীকরণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাও গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেওয়া প্রয়োজন। দেশের ভেতরেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ—আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ নিজ নিজ এখতিয়ার মেনে কাজ করবে। কেউ কারও প্রতি হস্তক্ষেপ করবে না। এটাই হলো গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের মূল কথা। আমাদের শাসকেরা বরাবর পূর্বসূরিদের মন্দ কাজের দৃষ্টান্ত দেন এবং সেটিই অনুসরণ করেন। এই রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তবে স্বীকার করতে হবে, বর্তমান সরকারের আমলে ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন-বৈষম্য অনেকটা কমেছে। ধর্ম বা বর্ণের নামে কারও প্রতি যাতে বৈষম্যমূলক আচরণ করা না হয়, সে ব্যাপারে সরকারকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে মানবাধিকার সংগঠনগুলোকেও।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বলে নয়, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লাগাম টেনে ধরা দরকার। নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীনেরা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলো রক্ষা করলেই দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। তখন এসব নিয়ে বাইরের কেউ নাক গলাতে পারবে না।
এ ছাড়া মার্কিন প্রতিবেদনে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিকীকরণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাও গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেওয়া প্রয়োজন। দেশের ভেতরেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ—আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ নিজ নিজ এখতিয়ার মেনে কাজ করবে। কেউ কারও প্রতি হস্তক্ষেপ করবে না। এটাই হলো গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের মূল কথা। আমাদের শাসকেরা বরাবর পূর্বসূরিদের মন্দ কাজের দৃষ্টান্ত দেন এবং সেটিই অনুসরণ করেন। এই রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তবে স্বীকার করতে হবে, বর্তমান সরকারের আমলে ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন-বৈষম্য অনেকটা কমেছে। ধর্ম বা বর্ণের নামে কারও প্রতি যাতে বৈষম্যমূলক আচরণ করা না হয়, সে ব্যাপারে সরকারকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে মানবাধিকার সংগঠনগুলোকেও।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বলে নয়, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লাগাম টেনে ধরা দরকার। নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীনেরা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলো রক্ষা করলেই দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। তখন এসব নিয়ে বাইরের কেউ নাক গলাতে পারবে না।
No comments