প্রয়োগ করার কর্তৃপক্ষ না থাকলে বিধান দিয়ে কী হবে?-জাতীয় বিল্ডিং কোড
আইন প্রয়োগ করার যদি কেউ না থাকে তবে সে আইনের কোনো অর্থ থাকে না। জাতীয় বিল্ডিং কোডের ক্ষেত্রে বিষয়টি তা-ই হয়েছে। ভবন নির্মাণের বিধিমালা ঠিক করা হয়েছে, কিন্তু সেই নিয়ম মেনে ভবন তৈরি হচ্ছে কি না, তা দেখার কেউ নেই। ফলে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অনেকে বাড়িঘর নির্মাণ করে যাচ্ছেন।
গত সাত বছরে বিল্ডিং কোড না মেনে তৈরি করা এ ধরনের পাঁচটি ভবন ধসের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ১০৩ জন। ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে থাকা বাংলাদেশে এ ধরনের আরও অসংখ্য ভবন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
ঢাকা শহরের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যাক। এই শহরটি একদিকে যেমন জনবহুল, তেমনি অপরিকল্পিত। ডিআইটি বা রাজউকের মতো প্রতিষ্ঠান হওয়ার আগে এই শহরে এমন অনেক ভবন তৈরি হয়েছে, যেগুলো যথাযথভাবে ও পরিকল্পিত উপায়ে তৈরি হয়নি। কাঠামোগত দুর্বলতা ও ত্রুটির কারণে এ ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। ভূমিকম্প বা কাঠামোটি কোনো কারণে ভারসাম্য হারিয়ে ফেললে সহজেই এ ভবনগুলো ধসে পড়তে পারে। আর ডিআইটি বা রাজউক হওয়ার পর এসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নিয়ে নির্মিত ভবনগুলোও যে যথাযথভাবে নির্মিত হয়েছে, এমন নয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতি ও অসততার কারণে যথাযথ নকশা ছাড়াই বা নকশা পরিবর্তন করে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং এখনো এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। ফলে নিয়মনীতি না মেনে ও নকশাবহির্ভূতভাবে বা নকশা পরিবর্তন করে নির্মিত অসংখ্য ভবন ঢাকা শহরটিকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
ভূমিকম্প প্রতিরোধ ও নিরাপদ ভবন নির্মাণের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য একটি জাতীয় বিল্ডিং কোড প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নিয়ে এই কাজটি হয়েছিল প্রায় ১৮ বছর আগে, ১৯৯৩ সালে। এরপর অনুমোদন ও গেজেট প্রকাশে গেছে ১৩ বছর। ২০০৬ সালে অবশেষে আমরা পেয়েছি জাতীয় বিল্ডিং কোড। কিন্তু এই কোড বাস্তবায়ন করবে কে? আরও পাঁচ বছর চলে গেল, কোনো কর্তৃপক্ষ গঠন করা গেল না। এই কোড যখন প্রণয়ন করা হয় তখন বলা হয়েছিল, সরকার একটি নতুন কর্তৃপক্ষ গঠন করে এই কোড বাস্তবায়ন করবে। আর সেটি না হওয়া পর্যন্ত ঢাকায় রাজউক, চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনায় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন জেলায় গণপূর্ত অধিদপ্তর বা পৌরসভাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কোনো প্রস্তাবই কার্যকর হয়নি।
বোঝা যায়, দেশে পরিকল্পিত নগর ও ঝুঁকিহীন ভবন নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে কতটা উপেক্ষিত ও অবহেলিত একটি বিষয়। বিশেষজ্ঞরা যেখানে ভূমিকম্পের আশঙ্কার কথা বলছেন, নগর পরিকল্পনাবিদেরা যেখানে নিয়মনীতি ছাড়া নির্মিত ভবনের ঝুঁকির বিষয়গুলো ক্রমাগত তুলে ধরছেন, পাঁচটি ভবনধসের ঘটনায় শতাধিক মৃত্যুর উদাহরণও যখন আমাদের সামনে আছে; তখন সরকার কীভাবে এত নির্বিকার একটি অবস্থান নিয়ে বসে আছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। সরকারের টনক বলে যদি কিছু থেকে থাকে তবে তা নড়া উচিত।
ঢাকা শহরের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যাক। এই শহরটি একদিকে যেমন জনবহুল, তেমনি অপরিকল্পিত। ডিআইটি বা রাজউকের মতো প্রতিষ্ঠান হওয়ার আগে এই শহরে এমন অনেক ভবন তৈরি হয়েছে, যেগুলো যথাযথভাবে ও পরিকল্পিত উপায়ে তৈরি হয়নি। কাঠামোগত দুর্বলতা ও ত্রুটির কারণে এ ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। ভূমিকম্প বা কাঠামোটি কোনো কারণে ভারসাম্য হারিয়ে ফেললে সহজেই এ ভবনগুলো ধসে পড়তে পারে। আর ডিআইটি বা রাজউক হওয়ার পর এসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নিয়ে নির্মিত ভবনগুলোও যে যথাযথভাবে নির্মিত হয়েছে, এমন নয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতি ও অসততার কারণে যথাযথ নকশা ছাড়াই বা নকশা পরিবর্তন করে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং এখনো এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। ফলে নিয়মনীতি না মেনে ও নকশাবহির্ভূতভাবে বা নকশা পরিবর্তন করে নির্মিত অসংখ্য ভবন ঢাকা শহরটিকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
ভূমিকম্প প্রতিরোধ ও নিরাপদ ভবন নির্মাণের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য একটি জাতীয় বিল্ডিং কোড প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নিয়ে এই কাজটি হয়েছিল প্রায় ১৮ বছর আগে, ১৯৯৩ সালে। এরপর অনুমোদন ও গেজেট প্রকাশে গেছে ১৩ বছর। ২০০৬ সালে অবশেষে আমরা পেয়েছি জাতীয় বিল্ডিং কোড। কিন্তু এই কোড বাস্তবায়ন করবে কে? আরও পাঁচ বছর চলে গেল, কোনো কর্তৃপক্ষ গঠন করা গেল না। এই কোড যখন প্রণয়ন করা হয় তখন বলা হয়েছিল, সরকার একটি নতুন কর্তৃপক্ষ গঠন করে এই কোড বাস্তবায়ন করবে। আর সেটি না হওয়া পর্যন্ত ঢাকায় রাজউক, চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনায় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন জেলায় গণপূর্ত অধিদপ্তর বা পৌরসভাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কোনো প্রস্তাবই কার্যকর হয়নি।
বোঝা যায়, দেশে পরিকল্পিত নগর ও ঝুঁকিহীন ভবন নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে কতটা উপেক্ষিত ও অবহেলিত একটি বিষয়। বিশেষজ্ঞরা যেখানে ভূমিকম্পের আশঙ্কার কথা বলছেন, নগর পরিকল্পনাবিদেরা যেখানে নিয়মনীতি ছাড়া নির্মিত ভবনের ঝুঁকির বিষয়গুলো ক্রমাগত তুলে ধরছেন, পাঁচটি ভবনধসের ঘটনায় শতাধিক মৃত্যুর উদাহরণও যখন আমাদের সামনে আছে; তখন সরকার কীভাবে এত নির্বিকার একটি অবস্থান নিয়ে বসে আছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। সরকারের টনক বলে যদি কিছু থেকে থাকে তবে তা নড়া উচিত।
No comments