ঢাকার জনজীবন ঝুঁকিপূর্ণ-জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন
নানা কারণে ঢাকা মহানগরীর জনজীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি একটি সহযোগী দৈনিকে 'কারখানার গ্রাসে নগরজীবন' শিরোনামের প্রতিবেদনে আবার এর প্রতিফলন ঘটেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারখানার ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকা।
বিশেষ করে পুরান ঢাকার কারখানার আধিক্যে অসহায় হয়ে পড়েছে নগরজীবন। ঢাকা সিটি করপোরেশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যানে প্রকাশ, রাজধানীতে আড়াই লাখ ছোট-বড় কারখানা রয়েছে। এ কারখানাগুলোর বেশির ভাগেই রয়েছে সপরিবারে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস। নিকট-অতীতে পুরান ঢাকায় সংঘটিত কয়েকটি দুর্ঘটনায় যেসব মর্মন্তুদ চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে এর পরও কারোরই টনক নড়ছে না; বিস্ময়টা সেখানেই। এসব কারখানার বড় একটা অংশ অবৈধ। এই কারখানাগুলোতে বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগও অবৈধ। ফলে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির দিকটি স্ফীত হওয়ার পাশাপাশি জনজীবনও ক্রমেই শঙ্কাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
মহানগরজুড়ে পরিবেশ দূষণের তীব্রতা তো আছেই, পাশাপাশি আবাসিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। পুরান ঢাকার চিত্র এমনিতেই নাজুক। অবকাঠামোগত নাজুক পরিস্থিতির কারণে দুর্ঘটনাকবলিত হলে উদ্ধারকাজ চালানোর মতো অবস্থাও নেই। ওইসব এলাকায় রয়েছে হাজার হাজার জরাজীর্ণ ভবন। একে তো ঘনবসতি, তার ওপর প্রচণ্ড তাপ, বিদ্যমান নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য কারখানাগুলোতে হাজার হাজার কর্মরত শ্রমিকের নানামুখী ঝুঁকি ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ক্রমে বাড়ছে। পুরান ঢাকাকে মৃত্যুপুরীর সঙ্গে তুলনা করেন অনেকে। একটি মহানগর বা নগরের এমন চিত্র কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে এযাবৎ আলোচনা-পর্যালোচনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ_কোনো কিছুই কম হয়নি। কিন্তু এর পরও কোনো সুফল মিলছে না। মানুষের বাঁচা-মরার বিষয় নিয়ে এই ঔদাসীন্য বিস্ময়কর।
ঢাকার এই বিপন্ন চিত্র নিয়ে আলোচনা হলেই অভিযোগের আঙুল সর্বাগ্রে ওঠে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের দিকে। সমাজের একশ্রেণীর ক্ষমতাবান সব কিছুর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে অব্যাহতভাবে যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড চালিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠেলে দিচ্ছেন মৃত্যুমুখে। পরিচ্ছন্ন, পরিকল্পিত, ঝুঁকিমুক্ত মহানগর জীবন গড়ে তোলার দায়দায়িত্ব যাঁদের, তাঁদের অদূরদর্শিতা, খামখেয়ালিপনা, কারো কারো অসাধুতা, স্বেচ্ছাচারিতা জনজীবনকে বিপন্ন থেকে বিপন্নতর করার পেছনে বৈরী ভূমিকা রাখছে। মানুষের জীবনের মূল্য তুচ্ছতুল্য নয়_এটি নতুন করে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিষ্প্রয়োজন। এত জঞ্জাল ও বিপদচিহ্ন জিইয়ে রেখে ঢাকাকে তিলোত্তমা হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি-অঙ্গীকার বড় হাস্যকর। আমরা আশা করি, দেশ-জাতির বৃহৎ স্বার্থে সরকার এ দিকটায় দৃষ্টি দেবে। 'করব', 'করছি', 'হবে', 'হচ্ছে'র অদ্ভুত জটাজাল ছিন্ন করে কাজের কাজটা সম্পন্ন করতে হবে সব কিছুর ঊধর্ে্ব ওঠে। এমনিতেই মনুষ্য পদভারে ঢাকা বিপন্ন; তার ওপর বৈরী পরিস্থিতি ও সংকট আরো প্রকট করে তুলছে। পৃথক পৃথক শিল্প এলাকা গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ ও এর বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। ঢাকা শুধুই একটি জনপদ নয়, ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী_এটি বিস্মৃত হলে চলবে কী করে?
মহানগরজুড়ে পরিবেশ দূষণের তীব্রতা তো আছেই, পাশাপাশি আবাসিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। পুরান ঢাকার চিত্র এমনিতেই নাজুক। অবকাঠামোগত নাজুক পরিস্থিতির কারণে দুর্ঘটনাকবলিত হলে উদ্ধারকাজ চালানোর মতো অবস্থাও নেই। ওইসব এলাকায় রয়েছে হাজার হাজার জরাজীর্ণ ভবন। একে তো ঘনবসতি, তার ওপর প্রচণ্ড তাপ, বিদ্যমান নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য কারখানাগুলোতে হাজার হাজার কর্মরত শ্রমিকের নানামুখী ঝুঁকি ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ক্রমে বাড়ছে। পুরান ঢাকাকে মৃত্যুপুরীর সঙ্গে তুলনা করেন অনেকে। একটি মহানগর বা নগরের এমন চিত্র কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে এযাবৎ আলোচনা-পর্যালোচনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ_কোনো কিছুই কম হয়নি। কিন্তু এর পরও কোনো সুফল মিলছে না। মানুষের বাঁচা-মরার বিষয় নিয়ে এই ঔদাসীন্য বিস্ময়কর।
ঢাকার এই বিপন্ন চিত্র নিয়ে আলোচনা হলেই অভিযোগের আঙুল সর্বাগ্রে ওঠে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের দিকে। সমাজের একশ্রেণীর ক্ষমতাবান সব কিছুর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে অব্যাহতভাবে যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড চালিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠেলে দিচ্ছেন মৃত্যুমুখে। পরিচ্ছন্ন, পরিকল্পিত, ঝুঁকিমুক্ত মহানগর জীবন গড়ে তোলার দায়দায়িত্ব যাঁদের, তাঁদের অদূরদর্শিতা, খামখেয়ালিপনা, কারো কারো অসাধুতা, স্বেচ্ছাচারিতা জনজীবনকে বিপন্ন থেকে বিপন্নতর করার পেছনে বৈরী ভূমিকা রাখছে। মানুষের জীবনের মূল্য তুচ্ছতুল্য নয়_এটি নতুন করে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিষ্প্রয়োজন। এত জঞ্জাল ও বিপদচিহ্ন জিইয়ে রেখে ঢাকাকে তিলোত্তমা হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি-অঙ্গীকার বড় হাস্যকর। আমরা আশা করি, দেশ-জাতির বৃহৎ স্বার্থে সরকার এ দিকটায় দৃষ্টি দেবে। 'করব', 'করছি', 'হবে', 'হচ্ছে'র অদ্ভুত জটাজাল ছিন্ন করে কাজের কাজটা সম্পন্ন করতে হবে সব কিছুর ঊধর্ে্ব ওঠে। এমনিতেই মনুষ্য পদভারে ঢাকা বিপন্ন; তার ওপর বৈরী পরিস্থিতি ও সংকট আরো প্রকট করে তুলছে। পৃথক পৃথক শিল্প এলাকা গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ ও এর বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। ঢাকা শুধুই একটি জনপদ নয়, ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী_এটি বিস্মৃত হলে চলবে কী করে?
No comments