অচিরেই আইনি জটিলতার অবসান হোক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-সংকট
সরকার যখন প্রাথমিক শিক্ষার মান বাড়াতে এবং শিক্ষার্থী ঝরে পড়া বন্ধে নানা ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে, তখন সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরার বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো তার বিপরীত চিত্রই তুলে ধরে। গত সোমবারের প্রথম আলোর সরেজমিন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরার প্রতিটি উপজেলায় ১০-১২টি করে বেসরকারি
রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন একজন অথবা দুজন। এসব শিক্ষক জোড়াতালি দিয়ে চালাচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এক ক্লাসের শিক্ষার্থীদের লেখার কাজ দিয়ে অন্য ক্লাসে পড়াতে যাচ্ছেন অথবা ওপরের ক্লাসের ছাত্র দিয়ে নিচের ক্লাসে পড়াচ্ছেন। এটি প্রাথমিক শিক্ষার নাজুক অবস্থার কথাই মনে করিয়ে দেয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচ থেকে সাতজন শিক্ষক থাকলেও রেজিস্টার্ড বিদ্যালয়ে আছেন এক বা দুজন। এত স্বল্পসংখ্যক শিক্ষক দিয়ে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব নয়। তদুপরি তাঁদের বেতনও কম। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, সরকার রেজিস্টার্ড বিদ্যালয়গুলোতে বাড়তি শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না আইনি জটিলতার কারণে। আগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি শিক্ষক নিয়োগ দিত। এ নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগও কম ছিল না। এই প্রেক্ষাপটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আদালতে রিট হওয়ার কারণে নতুন নিয়োগ বন্ধ আছে। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি-বেসরকারি বিভাজনও কাম্য নয়। শিক্ষার্থীর সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। সাতক্ষীরাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ শূন্য আছে, অনতিবিলম্বে সেগুলো পূরণ করতে হবে। আদালতে যাতে রিটের নিষ্পত্তি হয়, সেই উদ্যোগও সরকারকে নিতে হবে। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য অস্থায়ী নিয়োগও দেওয়া যেতে পারে। কেননা, শিক্ষক ছাড়া তো শিক্ষা কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচ থেকে সাতজন শিক্ষক থাকলেও রেজিস্টার্ড বিদ্যালয়ে আছেন এক বা দুজন। এত স্বল্পসংখ্যক শিক্ষক দিয়ে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব নয়। তদুপরি তাঁদের বেতনও কম। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, সরকার রেজিস্টার্ড বিদ্যালয়গুলোতে বাড়তি শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না আইনি জটিলতার কারণে। আগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি শিক্ষক নিয়োগ দিত। এ নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগও কম ছিল না। এই প্রেক্ষাপটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আদালতে রিট হওয়ার কারণে নতুন নিয়োগ বন্ধ আছে। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি-বেসরকারি বিভাজনও কাম্য নয়। শিক্ষার্থীর সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। সাতক্ষীরাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ শূন্য আছে, অনতিবিলম্বে সেগুলো পূরণ করতে হবে। আদালতে যাতে রিটের নিষ্পত্তি হয়, সেই উদ্যোগও সরকারকে নিতে হবে। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য অস্থায়ী নিয়োগও দেওয়া যেতে পারে। কেননা, শিক্ষক ছাড়া তো শিক্ষা কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।
No comments