গ্যুন্টার গ্রাসের কবিতার সমালোচনায় নেতানিয়াহু
এবার গ্যুন্টার গ্রাসের কবিতার সমালোচনায় মুখর হলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু। সম্প্রতি গ্যুন্টার গ্রাসের একটি কবিতার বক্তব্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া ও আলোচনা চলছে। গত বুধবার জার্মান পত্রিকায় প্রকাশিত এক কবিতায় গ্যুন্টার গ্রাস ইসরায়েলকে আক্রমন করে নিজের মত প্রকাশ করেন।
কবিতায় তিনি ইসরায়েলের সমালোচনা করে বলেন ,‘ইরান নয়, ইসরাইলই বিশ্ব শান্তির জন্য প্রকৃত হুমকি।’ এর প্রতিক্রিয়ায় জার্মানিতে তার পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ইসরায়েলের প্রতি সহানুভুতিশীলরা তাকে ইহুদি বিদ্বেষী, সাবেক নাৎসি ইত্যাদি বলেও অভিহিত করতে ছাড়ছে না। তাদের কাতারে এবার নাম লেখালেন খোদ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘সাবেক নাৎসি বাহিনী ওয়াফেন এসএসের সদস্য ছিলেন গুন্টার গ্রাস। এ কথা তিনি ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে গোপন রেখেছিলেন। তাই পৃথিবীর একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্রকে বিশ্ব শান্তির হুমকি হিসেবে অভিহিত করা তার পক্ষে অপ্রত্যাশিত নয়।’
কবিতায় গ্যুন্টার গ্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরায়েল নয়, বরং ইরানই অন্য দেশকে হুমকির মুখে ফেলছে। এই দেশটিই নিরীহ বেসামরিক লোকের ওপর সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর ক্রমাগত রকেট নিক্ষেপে সহায়তা করছে।’
বর্তমানে ৮৪ বছর বয়সী গ্যুন্টার গ্রাস ১৯৯৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। এর সাত বছর পরে তিনি স্বীকার করেন, তরুণ বয়সে হিটলারের ওয়াফেন-এসএস বাহিনীর সদস্য ছিলেন।
গ্যুন্টার গ্রাস তার জার্মান ভাষার ‘গেজাত ওয়ের্ডেন মাস’ বা ‘আমাদের যা বলা প্রয়োজন’ শিরোনামের কবিতায় ইসরাইলকে বিশ্ব শান্তির জন্য বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি ইসরায়েলের কাছে একটি অত্যাধুনিক পরমাণুশক্তি চালিত সাবমেরিন বিক্রির জন্য জার্মান সরকারেরও সমালোচনা করেন।
তিনি তার বলেন, ‘ইসরায়েলকে এমন একটি সাবমেরিন দেওয়া হচ্ছে, যা থেকে নিমেষেই একটি পারমাণবিক বোমা ছুড়ে এমন একটি জায়গাকে ধ্বংস করে ফেলা সম্ভব, যেখানে এখনও একটি মাত্র পরমাণু বোমারও অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়নি।’
ইসরায়েলকে আক্রমনের পাশাপাশি কবিতায় গ্যুন্টার গ্রাস ইসরায়েলকে জার্মানির সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে নিজের এতদিনের নীরবতার ব্যাপারেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। অতীতের ইতিহাস স্মরণ করে এবং নিজেকে ইহুদি বিরোধী হিসেবে মানুষের কাছে অভিহিত না হতেই এতদিন নিশ্চুপ ছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
পশ্চিমাদের ক্রমাগত ভণ্ডামিতে তিনি এখন ক্লান্ত বলেও কবিতায় উল্লেখ করেন তিনি। কবিতায় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, একটি স্থায়ী আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনে তার দাবির পক্ষে মানুষ একমত হবে, যারা ইসরায়েল ও ইরান উভয়েরই পরমাণু অস্ত্র সম্ভারের ওপর নজরদারি করতে পারবে।
তার কবিতা প্রকাশের সঙ্গেই সঙ্গেই ইসরায়েলের প্রতি সহানুভুতিশীল বিভিন্ন মহল তার সমালোচনা মুখর হয়ে পড়েছে। অনেকেই তাকে ইহুদি বিদ্বেষী বলেও অভিহিত করেছেন। বার্লিনে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত তার কবিতার সমালোচনা করে বলেন, ইহুদিদের দোষারোপ করা ইউরোপীয়দের পুরনো অভ্যাস।
তবে বৃহস্পতিবার এক জার্মান টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রথমবারের মতো সমালোচকদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন গ্যুন্টার গ্রাস। বেশিরভাগ সমালোচকই তার কবিতা না পড়েই তার বিরুদ্ধে সমালোচনা করছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এছাড়া তার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলেও তিনি অভিযোগ করেন এই সাক্ষাৎকারে।
বুধবার এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘সাবেক নাৎসি বাহিনী ওয়াফেন এসএসের সদস্য ছিলেন গুন্টার গ্রাস। এ কথা তিনি ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে গোপন রেখেছিলেন। তাই পৃথিবীর একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্রকে বিশ্ব শান্তির হুমকি হিসেবে অভিহিত করা তার পক্ষে অপ্রত্যাশিত নয়।’
কবিতায় গ্যুন্টার গ্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরায়েল নয়, বরং ইরানই অন্য দেশকে হুমকির মুখে ফেলছে। এই দেশটিই নিরীহ বেসামরিক লোকের ওপর সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর ক্রমাগত রকেট নিক্ষেপে সহায়তা করছে।’
বর্তমানে ৮৪ বছর বয়সী গ্যুন্টার গ্রাস ১৯৯৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। এর সাত বছর পরে তিনি স্বীকার করেন, তরুণ বয়সে হিটলারের ওয়াফেন-এসএস বাহিনীর সদস্য ছিলেন।
গ্যুন্টার গ্রাস তার জার্মান ভাষার ‘গেজাত ওয়ের্ডেন মাস’ বা ‘আমাদের যা বলা প্রয়োজন’ শিরোনামের কবিতায় ইসরাইলকে বিশ্ব শান্তির জন্য বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি ইসরায়েলের কাছে একটি অত্যাধুনিক পরমাণুশক্তি চালিত সাবমেরিন বিক্রির জন্য জার্মান সরকারেরও সমালোচনা করেন।
তিনি তার বলেন, ‘ইসরায়েলকে এমন একটি সাবমেরিন দেওয়া হচ্ছে, যা থেকে নিমেষেই একটি পারমাণবিক বোমা ছুড়ে এমন একটি জায়গাকে ধ্বংস করে ফেলা সম্ভব, যেখানে এখনও একটি মাত্র পরমাণু বোমারও অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়নি।’
ইসরায়েলকে আক্রমনের পাশাপাশি কবিতায় গ্যুন্টার গ্রাস ইসরায়েলকে জার্মানির সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে নিজের এতদিনের নীরবতার ব্যাপারেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। অতীতের ইতিহাস স্মরণ করে এবং নিজেকে ইহুদি বিরোধী হিসেবে মানুষের কাছে অভিহিত না হতেই এতদিন নিশ্চুপ ছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
পশ্চিমাদের ক্রমাগত ভণ্ডামিতে তিনি এখন ক্লান্ত বলেও কবিতায় উল্লেখ করেন তিনি। কবিতায় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, একটি স্থায়ী আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনে তার দাবির পক্ষে মানুষ একমত হবে, যারা ইসরায়েল ও ইরান উভয়েরই পরমাণু অস্ত্র সম্ভারের ওপর নজরদারি করতে পারবে।
তার কবিতা প্রকাশের সঙ্গেই সঙ্গেই ইসরায়েলের প্রতি সহানুভুতিশীল বিভিন্ন মহল তার সমালোচনা মুখর হয়ে পড়েছে। অনেকেই তাকে ইহুদি বিদ্বেষী বলেও অভিহিত করেছেন। বার্লিনে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত তার কবিতার সমালোচনা করে বলেন, ইহুদিদের দোষারোপ করা ইউরোপীয়দের পুরনো অভ্যাস।
তবে বৃহস্পতিবার এক জার্মান টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রথমবারের মতো সমালোচকদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন গ্যুন্টার গ্রাস। বেশিরভাগ সমালোচকই তার কবিতা না পড়েই তার বিরুদ্ধে সমালোচনা করছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এছাড়া তার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলেও তিনি অভিযোগ করেন এই সাক্ষাৎকারে।
No comments