টাকার অভাবে সড়কের কাজ বন্ধ
টাকার অভাবে প্রায় এক মাস ধরে গোয়ালন্দ-ফরিদপুর-তারাইল সড়ক সম্প্রসারণ ও সংস্কারকাজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতের অনুপযোগী এই সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে শুরু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তারাইলে এই সড়কটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গিয়ে মিলেছে।
গোয়ালন্দ থেকে তারাইলে ওই মহাসড়ক পর্যন্ত সহজে যোগাযোগের জন্য ৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি লোকজন ব্যবহার করে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ফরিদপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৫৬ কোটি টাকায় সড়কটি ২৪ ফুট চওড়া এবং সংস্কারের কাজ পায় ফরিদপুরের ওয়াহিদ মিয়া (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদার গত বছরের মে মাসে কাজ শুরু করেন। চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এক মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক বিমল সাহা জানান, তাঁরা এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কোটি টাকার কাজ করেছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ওই কাজের বিল শোধ না করায় কাজ চালানো যাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির দুই পাশে তিন ফুট করে মোট ছয় ফুট প্রশস্ত করার জন্য মাটি কাটা হয়েছে। সড়কটির কোনো কোনো স্থানে তিন থেকে চার ফুট গর্ত। যানবাহনগুলোকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সড়কের বেশির ভাগ অংশই ভাঙাচোরা এবং কার্পেটিং উঠে গেছে। সড়কটি এ অবস্থায় পড়ে থাকায় এই পথে যাতায়াতকারী লোকজনকে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
গোয়ালন্দ-টেপাখোলা, টেপাখোলা-চরভদ্রাসন, টেপাখোলা-সদরপুর আঞ্চলিক পথের প্রায় দেড় শতাধিক বাস এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে। এ ছাড়া অন্যান্য যানবাহন তো আছেই।
সওজ ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সন্তোষ কুমার রায় জানান, কাজ শুরুর পর গত অর্থবছরে এক কোটি ২০ লাখ টাকা এবং চলতি অর্থবছরে এক কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তবে কাজের প্রায় ১১ কোটি টাকার বিল বকেয়া থাকায় ঠিকাদার কাজ চালিয়ে যেতে পারছেন না। এতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে কাজ শেষ করতে না পারলে জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
সন্তোষ কুমার রায় আরও জানান, জরুরি ভিত্তিতে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ এবং আরও ২০ কোটি টাকা সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
No comments