পবিত্র কোরআনের আলো-ইহুদি ও খ্রিস্টানদের সত্যপথে আনার আরো প্রচেষ্টা
৬৫. ওয়া লাও আন্না আহ্লাল কিতা-বি আ-মানূ ওয়াত্তাক্বাও লাকাফ্ফারনা আ'নহুম ছায়্যিআ-তিহিম ওয়ালাআদ্খালনা-হুম্ জান্না-তিন নাঈম।
৬৬. ওয়া লাও আন্নাহুম আক্বা-মুত্তাওরা-তা ওয়ালইনজীলা ওয়া মা উনযিলা ইলাইহিম্ মির্ রাবি্বহিম লাআকালূ মিন ফাওকি্বহিম ওয়া মিন্ তাহ্তি আরজুলিহিম; মিনহুম উম্মাতুম মুক্বতাসিদাতুন; ওয়া কাছীরুম্ মিনহুম ছা-আ মা ইয়া'মালূন।
৬৬. ওয়া লাও আন্নাহুম আক্বা-মুত্তাওরা-তা ওয়ালইনজীলা ওয়া মা উনযিলা ইলাইহিম্ মির্ রাবি্বহিম লাআকালূ মিন ফাওকি্বহিম ওয়া মিন্ তাহ্তি আরজুলিহিম; মিনহুম উম্মাতুম মুক্বতাসিদাতুন; ওয়া কাছীরুম্ মিনহুম ছা-আ মা ইয়া'মালূন।
৬৭. ইয়া-আইয়্যুহার্ রাসূলু বালি্লগ মা উনযিলা ইলাইকা মির্ রাবি্বকা; ওয়া ইন লাম তাফআ'ল ফামা বাল্লাগ্তা রিছা-লাতাহূ; ওয়াল্লাহু ইয়া'সিমুকা মিনান না-ছি; ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহ্দিল ক্বাওমাল কাফিরীন। [সুরা : আল মায়েদা, আয়াত : ৬৫-৬৭]
অনুবাদ : ৬৫. যদি আহলে কিতাবরা ইহুদি ও খ্রিস্টান ইমান আনত এবং দায়িত্বনিষ্ঠ হতো, তবে অবশ্যই আমি তাদের গুনাহখাতা মুছে দিতাম এবং তাদের আমি নিয়ামতে পরিপূর্ণ জান্নাতে প্রবেশ করাতাম।
৬৬. যদি তারা তাদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করত তাওরাত ও ইনজিল এবং তাদের প্রভুর কাছ থেকে নাজিল হয়েছে আরো যা কিছু অর্থাৎ কোরআন, তবে তারা তাদের ওপর থেকে এবং পায়ের নিচ থেকে পাওয়া সম্পদরাজি ভোগ করতে পারত। এদের মধ্যেও একদল বিবেচক মধ্যপন্থী লোক রয়েছে, তবে এই সম্প্রদায়ের অধিকাংশের কর্মকাণ্ডই খারাপ।
৬৭. হে রাসুল, যা কিছু আপনার ওপর আপনার প্রভুর কাছ থেকে নাজিল করা হয়েছে, তা আপনি মানুষের কাছে পেঁৗছে দিন। যদি আপনি তা না করেন, তাহলে তো আপনি আল্লাহর বার্তা মানুষের কাছে পেঁৗছে দিতে ব্যর্থ হলেন। আল্লাহ আপনাকে মানুষের অনিষ্ট থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা কখনো কখনো অবাধ্য জাতিকে পথপ্রদর্শন করেন না।
ব্যাখ্যা : এসব আয়াতে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের সত্যের পথে ফিরিয়ে আনার অব্যাহত চেষ্টাই পরিলক্ষিত হচ্ছে। মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় গিয়ে সেখানকার ইহুদি ও খ্রিস্টানদের ইসলামের দীক্ষায় দীক্ষিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, রণকৌশলগত কারণেও এটা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। অপরদিকে তাওরাত ইনজিলের প্রকৃত শিক্ষা এবং কোরআনের শিক্ষার মধ্যে যে কোনো ফারাক নেই, বরং এ সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে এটা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বোঝানো খুবই জরুরি ছিল। ৬৫ ও ৬৬ নম্বর আয়াত দুটিতে কিছুটা আফসোসের ভাষায় বলা হচ্ছে : ইহুদি ও খ্রিস্টানরা যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ওপর ইমান আনত এবং আল্লাহর প্রতি দায়িত্বনিষ্ঠ হতো, তবে তাদেরই তো অধিকার ছিল শান্তির উদ্যানে প্রবেশ করার। যদি তারা তাওরাতের শিক্ষা বা ইনজিলের শিক্ষা জীবনধারায় প্রতিষ্ঠিত করত, তবে তারা এর পরে অর্থাৎ বর্তমানে যা নাজিল হচ্ছে সেই কোরআনের ওপরও ইমান আনত এবং এর শিক্ষা গ্রহণ করত। যদি এমন হতো তবে তারাই তো এই পৃথিবীর সম্পদরাজির অধিকারী হতো, আল্লাহ তায়ালার অবারিত দানের অধিকারী তারাই হতো। এখানে বলা হয়েছে, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের মধ্যেও এমন কিছু লোক আছে, যারা প্রকৃতই বিবেকবান ও উদারনৈতিক; এরা সত্য ও ন্যায় বোঝে। কিন্তু এদের অধিকাংশ মানুষের কাজকর্মই খারাপ।
৬৭ নম্বর আয়াতে রাসুল (সা.)-কে তার রিসালাতের বার্তা মানুষের কাছে পেঁৗছে দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে এবং সেই সঙ্গে মানুষের অর্থাৎ কাফিরদের অনিষ্ট থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। হজরত আনাস কর্তৃক বর্ণিত আছে, রাত্রিকালে সাহাবায়ে কেরাম রাসুলের প্রহরায় নিযুক্ত থাকতেন। এই আয়াতটি নাজিল হওয়ামাত্র তিনি তাঁর তাঁবুর পর্দা উঠিয়ে মাথা বের করে সাহাবিদের বললেন, তোমরা চলে যাও, আল্লাহ স্বয়ং আমার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ৬৫. যদি আহলে কিতাবরা ইহুদি ও খ্রিস্টান ইমান আনত এবং দায়িত্বনিষ্ঠ হতো, তবে অবশ্যই আমি তাদের গুনাহখাতা মুছে দিতাম এবং তাদের আমি নিয়ামতে পরিপূর্ণ জান্নাতে প্রবেশ করাতাম।
৬৬. যদি তারা তাদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করত তাওরাত ও ইনজিল এবং তাদের প্রভুর কাছ থেকে নাজিল হয়েছে আরো যা কিছু অর্থাৎ কোরআন, তবে তারা তাদের ওপর থেকে এবং পায়ের নিচ থেকে পাওয়া সম্পদরাজি ভোগ করতে পারত। এদের মধ্যেও একদল বিবেচক মধ্যপন্থী লোক রয়েছে, তবে এই সম্প্রদায়ের অধিকাংশের কর্মকাণ্ডই খারাপ।
৬৭. হে রাসুল, যা কিছু আপনার ওপর আপনার প্রভুর কাছ থেকে নাজিল করা হয়েছে, তা আপনি মানুষের কাছে পেঁৗছে দিন। যদি আপনি তা না করেন, তাহলে তো আপনি আল্লাহর বার্তা মানুষের কাছে পেঁৗছে দিতে ব্যর্থ হলেন। আল্লাহ আপনাকে মানুষের অনিষ্ট থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা কখনো কখনো অবাধ্য জাতিকে পথপ্রদর্শন করেন না।
ব্যাখ্যা : এসব আয়াতে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের সত্যের পথে ফিরিয়ে আনার অব্যাহত চেষ্টাই পরিলক্ষিত হচ্ছে। মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় গিয়ে সেখানকার ইহুদি ও খ্রিস্টানদের ইসলামের দীক্ষায় দীক্ষিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, রণকৌশলগত কারণেও এটা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। অপরদিকে তাওরাত ইনজিলের প্রকৃত শিক্ষা এবং কোরআনের শিক্ষার মধ্যে যে কোনো ফারাক নেই, বরং এ সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে এটা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বোঝানো খুবই জরুরি ছিল। ৬৫ ও ৬৬ নম্বর আয়াত দুটিতে কিছুটা আফসোসের ভাষায় বলা হচ্ছে : ইহুদি ও খ্রিস্টানরা যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ওপর ইমান আনত এবং আল্লাহর প্রতি দায়িত্বনিষ্ঠ হতো, তবে তাদেরই তো অধিকার ছিল শান্তির উদ্যানে প্রবেশ করার। যদি তারা তাওরাতের শিক্ষা বা ইনজিলের শিক্ষা জীবনধারায় প্রতিষ্ঠিত করত, তবে তারা এর পরে অর্থাৎ বর্তমানে যা নাজিল হচ্ছে সেই কোরআনের ওপরও ইমান আনত এবং এর শিক্ষা গ্রহণ করত। যদি এমন হতো তবে তারাই তো এই পৃথিবীর সম্পদরাজির অধিকারী হতো, আল্লাহ তায়ালার অবারিত দানের অধিকারী তারাই হতো। এখানে বলা হয়েছে, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের মধ্যেও এমন কিছু লোক আছে, যারা প্রকৃতই বিবেকবান ও উদারনৈতিক; এরা সত্য ও ন্যায় বোঝে। কিন্তু এদের অধিকাংশ মানুষের কাজকর্মই খারাপ।
৬৭ নম্বর আয়াতে রাসুল (সা.)-কে তার রিসালাতের বার্তা মানুষের কাছে পেঁৗছে দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে এবং সেই সঙ্গে মানুষের অর্থাৎ কাফিরদের অনিষ্ট থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। হজরত আনাস কর্তৃক বর্ণিত আছে, রাত্রিকালে সাহাবায়ে কেরাম রাসুলের প্রহরায় নিযুক্ত থাকতেন। এই আয়াতটি নাজিল হওয়ামাত্র তিনি তাঁর তাঁবুর পর্দা উঠিয়ে মাথা বের করে সাহাবিদের বললেন, তোমরা চলে যাও, আল্লাহ স্বয়ং আমার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments