মতলববাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত-বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির অপব্যবহার
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা—এই শব্দগুলো এবং বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে কিছু লোক অন্যায় সুযোগ-সুবিধা লাভের চেষ্টা করছে। প্রতারণা, জালিয়াতি, দুর্নীতি এমনকি আইন ভঙ্গ করেও পার পাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে জাতির জনকের নাম বা ছবি ব্যবহারের ঘটনা প্রায়শই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
সর্বশেষ গত শনিবার রাজধানীর পল্লবী এলাকার রূপনগরে ঢাকা ওয়াসার খাল উদ্ধারের জন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে এমন একটি দৃষ্টান্ত পাওয়া গেল। চারদিকে সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের মাঝখানে অক্ষত দাঁড়িয়ে আছে মাত্র একটি অবৈধ স্থাপনা। সেটির সাইনবোর্ডে লেখা ‘রূপনগর মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখী সমবায় সমিতি লি. প্রধান কার্যালয়’। বিষয়টি এমন, যেন মুক্তিযোদ্ধাদের সমিতির কার্যালয় হলেই ওয়াসার খাল অবৈধভাবে দখল করে তা নির্মাণ করা যায়; তাতে আইন ভঙ্গ হয় না, বা আইন ভঙ্গ হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখলেই পার পাওয়া যাবে।
সত্যিই তাই, অবৈধ ওই স্থাপনাটি ভাঙতে গিয়ে ওয়াসার খাল উদ্ধারকারী বাহিনী বাধা পেয়েছে; সমিতির কর্মকর্তারা বলেছেন, এটা মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয়। ফলে, দায়িত্বরত ওয়াসার ম্যাজিস্ট্রেট ওই মুহূর্তে ওটি ভেঙে ফেলতে পারেননি। তিনি মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য সমিতির কর্মকর্তাদের তিন দিন সময় দিয়েছেন। তিন দিন পর গত শনিবার যখন আবার উদ্ধার অভিযানের বুলডোজার সেখানে হাজির হয়, তখন ওই সমিতির লোকজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি ফ্রেমবাঁধাই ছবি টাঙিয়ে দেন স্থাপনাটির দেয়ালে, নিশ্চিত এই মনে করে যে, এবার কার সাধ্য এই স্থাপনায় হাত দেয়!
আর সত্যিই ওয়াসার উচ্ছেদকারী দলটি গত শনিবার ওই স্থাপনা ভাঙতে পারেনি। স্থাপনার ভেতরে অবস্থান গ্রহণকারী লোকজনকে বারবার সরে যাওয়ার অনুরোধ করেও তারা কোনো ফল পায়নি, ফিরে গেছে অবৈধ স্থাপনাটি অক্ষত রেখেই। অবশ্য পরদিন রোববার ওয়াসার অভিযানকারী দল শেষ পর্যন্ত স্থাপনাটি ভাঙতে পেরেছে। এটা একটা ভালো খবর।
বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযোদ্ধা ইত্যাদি নাম ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব মতলববাজ মানুষ নানা অন্যায়-অপকর্মে লিপ্ত, যাঁরা নানা রকম অবৈধ সুযোগ-সুবিধা লাভের অপচেষ্টা করছেন, আইন ভঙ্গ করছেন, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
সত্যিই তাই, অবৈধ ওই স্থাপনাটি ভাঙতে গিয়ে ওয়াসার খাল উদ্ধারকারী বাহিনী বাধা পেয়েছে; সমিতির কর্মকর্তারা বলেছেন, এটা মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয়। ফলে, দায়িত্বরত ওয়াসার ম্যাজিস্ট্রেট ওই মুহূর্তে ওটি ভেঙে ফেলতে পারেননি। তিনি মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য সমিতির কর্মকর্তাদের তিন দিন সময় দিয়েছেন। তিন দিন পর গত শনিবার যখন আবার উদ্ধার অভিযানের বুলডোজার সেখানে হাজির হয়, তখন ওই সমিতির লোকজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি ফ্রেমবাঁধাই ছবি টাঙিয়ে দেন স্থাপনাটির দেয়ালে, নিশ্চিত এই মনে করে যে, এবার কার সাধ্য এই স্থাপনায় হাত দেয়!
আর সত্যিই ওয়াসার উচ্ছেদকারী দলটি গত শনিবার ওই স্থাপনা ভাঙতে পারেনি। স্থাপনার ভেতরে অবস্থান গ্রহণকারী লোকজনকে বারবার সরে যাওয়ার অনুরোধ করেও তারা কোনো ফল পায়নি, ফিরে গেছে অবৈধ স্থাপনাটি অক্ষত রেখেই। অবশ্য পরদিন রোববার ওয়াসার অভিযানকারী দল শেষ পর্যন্ত স্থাপনাটি ভাঙতে পেরেছে। এটা একটা ভালো খবর।
বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযোদ্ধা ইত্যাদি নাম ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব মতলববাজ মানুষ নানা অন্যায়-অপকর্মে লিপ্ত, যাঁরা নানা রকম অবৈধ সুযোগ-সুবিধা লাভের অপচেষ্টা করছেন, আইন ভঙ্গ করছেন, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
No comments