চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে আজ হরতাল-সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৮০, শহরে ভাঙচুর
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চাঁদপুর শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে গণমিছিল বের করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালালে দুজন নিহত এবং ৩০ পুলিশসহ অন্তত ৮০ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় নেতা-কর্মীরা দাবি করেন, গুলিতে রিকশাচালক আবুল হোসেন মৃধা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। একই জায়গায় গুলিবিদ্ধ হন লিমন ছৈয়াল (২৫), মাহফুজ রহমান (২২), ইব্রাহিম (৩০) ও এনাম। তাঁদের চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিমনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদের বেলা দুইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলের নেতা-কর্মীরা জানান, চার দলের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সকাল থেকেই বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে হাসান আলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টার দিকে সেখান থেকে শহর প্রদক্ষিণের জন্য গণমিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা ম্যাজিস্ট্রেটের একটি গাড়ি ভাঙচুর করলে পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়।
বেলা ১১টা থেকে পৌনে একটা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ ছাড়াও পুলিশের ৩০ সদস্য ও বিএনপি-জামায়াতের ৫০-৬০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ২৫ জনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন, বেলা একটার দিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়ে একপর্যায়ে তাঁদের নেতা-কর্মীরা পিছু হটেন। তাঁদের দাবি, এ সময় জেলা বিএনপির কার্যালয় ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদের বাসায় হামলা করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।
হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের খবর পেয়ে একই সময় বিএনপি-জামায়াতের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালান। তাঁরা শতাধিক গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করেন। এ সময় মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও হাসান আলী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বেলা দেড়টার পর থেকে পুলিশের সহায়তায় শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরতে শুরু করে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ বিএনপির কর্মীদের ওপর হামলা ও গুলি চালিয়েছে।
তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির জাফর জানান, বিএনপির কর্মীদের হামলা থেকে জীবন রক্ষায় পুলিশ বাধ্য হয়ে গুলি চালায়। ওই ঘটনায় ১০-১২ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে কোনো মামলা হয়নি বলে তিনি জানান।
ম্যাজিস্ট্রেট শামীমূল হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের সময় কতটি গুলি ছোড়া হয়েছে তা বলতে পারেননি পুলিশের কোনো কর্মকর্তা।
বিকেলে শহরের জিএম সেনগুপ্ত সড়কে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। এ সময় শেখ ফরিদ দলের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানান এবং এর প্রতিবাদে আজ সোমবার চাঁদপুর শহরে আধাবেলা হরতালের ঘোষণা দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলের নেতা-কর্মীরা জানান, চার দলের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সকাল থেকেই বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে হাসান আলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টার দিকে সেখান থেকে শহর প্রদক্ষিণের জন্য গণমিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা ম্যাজিস্ট্রেটের একটি গাড়ি ভাঙচুর করলে পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়।
বেলা ১১টা থেকে পৌনে একটা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ ছাড়াও পুলিশের ৩০ সদস্য ও বিএনপি-জামায়াতের ৫০-৬০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ২৫ জনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন, বেলা একটার দিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়ে একপর্যায়ে তাঁদের নেতা-কর্মীরা পিছু হটেন। তাঁদের দাবি, এ সময় জেলা বিএনপির কার্যালয় ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদের বাসায় হামলা করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।
হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের খবর পেয়ে একই সময় বিএনপি-জামায়াতের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালান। তাঁরা শতাধিক গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করেন। এ সময় মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও হাসান আলী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বেলা দেড়টার পর থেকে পুলিশের সহায়তায় শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরতে শুরু করে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ বিএনপির কর্মীদের ওপর হামলা ও গুলি চালিয়েছে।
তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির জাফর জানান, বিএনপির কর্মীদের হামলা থেকে জীবন রক্ষায় পুলিশ বাধ্য হয়ে গুলি চালায়। ওই ঘটনায় ১০-১২ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে কোনো মামলা হয়নি বলে তিনি জানান।
ম্যাজিস্ট্রেট শামীমূল হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের সময় কতটি গুলি ছোড়া হয়েছে তা বলতে পারেননি পুলিশের কোনো কর্মকর্তা।
বিকেলে শহরের জিএম সেনগুপ্ত সড়কে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। এ সময় শেখ ফরিদ দলের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানান এবং এর প্রতিবাদে আজ সোমবার চাঁদপুর শহরে আধাবেলা হরতালের ঘোষণা দেন।
No comments