সেনা প্রত্যাহারের পর সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাজ্য-আফগানিস্তান চুক্তি
আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালে যুদ্ধ-সংশ্লিষ্ট ব্রিটিশ সেনাদের প্রত্যাহারের পর দুই দেশের সম্পর্ক কেমন হবে, সে ব্যাপারে একটি চুক্তি সই করেছেন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বাকিংহামশায়ারের বাসভবনে বৈঠকের পর এ চুক্তি হয়।
প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই তাঁর দেশের জন্য ‘রক্ত ও সম্পদ’ উৎসর্গ করায় বৈঠকে যুক্তরাজ্যের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক তৈরি হবে কূটনীতি, বাণিজ্য ও সাহায্য—এ তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে।
কারজাই বলেন, আফগানিস্তানের ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে এ চুক্তি ‘আরও একটি পদক্ষেপ’। তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে যুক্তরাজ্য আফগানিস্তানের ‘অবিচল বন্ধু’। যুক্তরাজ্য তার দেশের ভবিষ্যতের জন্য ‘রক্ত ও সম্পদ’ উৎসর্গ করেছে। আফগানিস্তানের জনগণ বিষয়টি স্বীকার করে।
আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে যুক্তরাজ্যের এক সেনা নিহত হওয়ার পরের দিন কারজাই এ কথা বললেন। ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ওই সেনাসহ আফগানিস্তানে ৩৯৭ জন ব্রিটিশ সেনা নিহত হয়েছে।
বৈঠক শেষে ক্যামেরন বলেন, ভবিষ্যৎ আফগানিস্তান যাতে গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল ও সন্ত্রাসবাদমুক্ত হয়, তা নিশ্চিত করতে দুই দেশের স্বার্থেই দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য আফগান জাতীয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী গঠন করা। নিরাপত্তার জন্য এটা প্রধান ইস্যু।’ যুক্তরাজ্যের আগে কারজাই ইতালি ও ফ্রান্স সফর করেন।
তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসবে আফগান সরকার: তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করতে চায় প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের নেতৃত্বাধীন আফগান সরকার। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সৌদি আরবে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসার পরিকল্পনা করেছেন হামিদ কারজাই।
পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ওই আলোচনা শুরু হবে বলে পশ্চিমা এবং আফগানিস্তানের সরকারি সূত্র জানিয়েছে। এমনকি কাতারে তালেবানদের কার্যালয় খোলার আগেই বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তালেবান এর আগে কারজাইয়ের সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। তালেবানরা এত দিন শুধু যুক্তরাষ্ট্র এবং কাবুলের বিভিন্ন জোটের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক তৈরি হবে কূটনীতি, বাণিজ্য ও সাহায্য—এ তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে।
কারজাই বলেন, আফগানিস্তানের ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে এ চুক্তি ‘আরও একটি পদক্ষেপ’। তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে যুক্তরাজ্য আফগানিস্তানের ‘অবিচল বন্ধু’। যুক্তরাজ্য তার দেশের ভবিষ্যতের জন্য ‘রক্ত ও সম্পদ’ উৎসর্গ করেছে। আফগানিস্তানের জনগণ বিষয়টি স্বীকার করে।
আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে যুক্তরাজ্যের এক সেনা নিহত হওয়ার পরের দিন কারজাই এ কথা বললেন। ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ওই সেনাসহ আফগানিস্তানে ৩৯৭ জন ব্রিটিশ সেনা নিহত হয়েছে।
বৈঠক শেষে ক্যামেরন বলেন, ভবিষ্যৎ আফগানিস্তান যাতে গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল ও সন্ত্রাসবাদমুক্ত হয়, তা নিশ্চিত করতে দুই দেশের স্বার্থেই দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য আফগান জাতীয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী গঠন করা। নিরাপত্তার জন্য এটা প্রধান ইস্যু।’ যুক্তরাজ্যের আগে কারজাই ইতালি ও ফ্রান্স সফর করেন।
তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসবে আফগান সরকার: তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করতে চায় প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের নেতৃত্বাধীন আফগান সরকার। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সৌদি আরবে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসার পরিকল্পনা করেছেন হামিদ কারজাই।
পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ওই আলোচনা শুরু হবে বলে পশ্চিমা এবং আফগানিস্তানের সরকারি সূত্র জানিয়েছে। এমনকি কাতারে তালেবানদের কার্যালয় খোলার আগেই বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তালেবান এর আগে কারজাইয়ের সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। তালেবানরা এত দিন শুধু যুক্তরাষ্ট্র এবং কাবুলের বিভিন্ন জোটের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।
No comments