নিত্যজাতম্-বাংলাদেশের উন্নয়নে হাসপাতালের বিড়াল by মহসীন হাবিব
আফ্রিকার তাঞ্জানিয়া, উগান্ডা এবং কেনিয়ার কোলে শুয়ে থাকা ভিক্টোরিয়া লেক থেকে ভুমধ্যসাগর পর্যন্ত যাত্রার একটি প্রামাণ্য গ্রন্থ লিখে সাংবাদিক ড্যান মরিসন বেশ নাম কুড়িয়েছেন। বইটির নাম দি ব্ল্যাক নাইল। এই ড্যান মরিসন সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসের ব্লগে এবং পৃথিবীর অন্যতম ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনে বাংলাদেশের ৫০০ শয্যার শিশু হাসপাতাল নিয়ে প্রতিবেদন লিখেছেন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক স্বভাবসুলভ একটি বিশাল ছবি ছেপেছে।
সে ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শিশু হাসপাতালের বারান্দার নোংরা পরিবেশে একটি বিড়াল ক্যামেরার দিকে চোখ করে তাকিয়ে আছে। দুটি প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয়েছে, স্ট্রে ক্যাট, অর্থাৎ আমরা যাকে রাস্তার বিড়াল, ছাড়া বিড়াল ইত্যাদি বলি, তেমন অসংখ্য বিড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে শিশু হাসপাতালের যেখানে সেখানে। গত মাসে তেমনি একটি বিড়াল জন্ডিসে আক্রান্ত ছয় দিনের এক শিশুবাচ্চাকে টেনে-হিঁচড়ে বিছানা থেকে নামিয়ে দরজা পর্যন্ত নিয়ে গেছে। অবশ্য এ কাহিনী বর্ণনায় তিনি স্থানীয় পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়েছেন। বাংলাদেশ আগের চেয়ে অনেক অগ্রসর হয়েছে. এ কথাও তাঁর প্রতিবেদনে আছে। গত বছরের শেষদিকে অমর্ত্য সেন যে দিলি্লতে এক অনুষ্ঠানে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের অনেক ক্ষেত্রে অগ্রসরতার কথা বলেছিলেন, সে থেকেও কোট করেছেন লেখক। দুই দশক আগে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৬৯ শতাংশ। এখন তা ৪০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে_ এটাও বলেছেন তিনি। তবে সরকারের ২০২১ সালের সহস্রাব্দ লক্ষ্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করার যে পরিকল্পনার কথা বলা হচ্ছে, তা যে এখনো অনেক দূর, সেটার প্রমাণ শিশু হাসপাতালের ওই বিড়াল। তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমসে লিখেছেন, One of Bangladesh's biggest challenges in reaching its ambitious development goals is filling in the jarring gaps in administration and accountability that allow feral cat to prowl a hospital that serves as a lifeline for the country's poorest families. খাঁটি কথা বলেছেন ভদ্রলোক। একটি দেশের উন্নয়ন মানে শুধু ভাতে-কাপড়ে বেঁচে থাকা মানুষের হার বৃদ্ধি হতে পারে না। সত্যিকার উন্নয়নের অপরিহার্য শর্ত হলো জাতির শিক্ষা-সংস্কৃতির উন্নয়ন, রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন এবং প্রশাসনের জবাবদিহিতা। না-খাওয়া মানুষের সংখ্যা কমলেও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রকৃত অর্থে কতটা উন্নতি এসেছে? বলতে দ্বিধা নেই শূন্য। বরং এ দেশের পঙ্কিল রাজনীতি পেছন থেকে মানুষের উন্নয়নের গতির লাগাম টেনে ধরে আছে। সেই রাজনীতির একটু উদাহরণ না টেনে কী পারা যায়? ২৫ জানুয়ারি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, 'যে দেশের মানুষ স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, সে দেশের সংসদ সদস্যরা বিলাসী গাড়ি কেনার সুযোগ গ্রহণ করেন কী করে?'
তাঁর এই একটি উক্তি পর্যালোচনা করলে বোঝা যাবে বাংলাদেশের রাজনীতি যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। রাজনৈতিক নেতাদের লেবাসে পরিবর্তন আসতে পারে, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সামান্যতম পরিবর্তন আসেনি। এখনো রাজনীতিবিদরা সংকীর্ণ ব্যক্তিস্বার্থের ঊধর্ে্ব উঠতে পারেননি। একটি কথা এখানে উল্লেখ না করলে অন্যায় হবে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মন্ত্রিপরিষদ গঠনে একটি সাহসী কাজ করেছিলেন। তিনি কিছু অর্থনৈতিকভাবে সৎ মানুষকে (হয়তো পরীক্ষামূলক) মন্ত্রিপরিষদে জায়গা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এটা আজ প্রমাণিত যে মন্ত্রণালয় চালাতে মন্ত্রীর সততা যেমন অপরিহার্য, তেমনি শুধু সততা দিয়ে মন্ত্রণালয় চালানোও সম্ভব নয়।
আগের কথায় আসি। কেন আজও বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে অপবাদ শুনতে হয়? দেশের অধিকাংশ মানুষের মন্ত্রী-এমপিদের বাড়ির আবহ এবং কর্মকাণ্ড সম্পর্কে একটি চিরচেনা দৃশ্য জানা আছে। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা_সব ঋতুতে মন্ত্রী-এমপিদের বাড়ির সামনে, উঠানে, বারান্দায়, বসার ঘরে, এমনকি ডাইনিং টেবিল পর্যন্ত নিজ নির্বাচনী এলাকার এক শ্রেণীর বাটপার, ধূর্ত লোক ঘুরঘুর করে। শুধু নির্বাচনী এলাকা নয়, অনেক ধরনের কানেকশন থেকে তারা মন্ত্রীকে চারপাশ থেকে ঘিরে থাকে। তা থাকুক। জনপ্রতিনিধিদের কাছে মানুষ আসবে, তারা বিভিন্ন সমস্যা থেকে উদ্ধার পেতে জনপ্রতিনিধির দ্বারস্থ হবে, এতে খুব দোষের কিছু নেই। কিন্তু সমস্যা হলো মন্ত্রী-এমপিরা এই গুটিকয়েক মানুষের কাছে অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েন। এ দৃশ্য আমরা আজীবন দেখে আসছি। তাতেও সমস্যা এমন তীব্র হতো না, যদি জনপ্রতিনিধি এ লোকগুলোর কাছে নিজেদের চোখ ও কান জমা না দিতেন। সর্বনাশা ব্যাপার! তারা লাখ লাখ সাধারণ ভোটারের কণ্ঠস্বর শুনতে পান না। এমনকি পত্রিকায় কী লিখেছে, তা পর্যন্ত পাশ থেকে পাকা পাকা কথা বলা জনপ্রতিনিধির ওই প্রিয়ভাজন লোকটির কাছ থেকে তাঁরা জেনে নেন! মানুষ হিসেবে এই জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই অধম নন। কিন্তু নির্বাচিত হয়ে বা ক্ষমতায় গেলেই তাঁদের চার পাশে এমন চিরচেনা একটি বেষ্টনী গড়ে ওঠে, যে বেষ্টনী থেকে নিজেরা বের হতে পারেন না এবং বাকি জনগণ সে বেষ্টনী ভেদ করতে পারে না। ফলে শুল্কমুক্ত গাড়ি, সোনার নৌকা, সোনার ধানের শীষ নিয়ে যখন সারা দেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখনো একজন মানুষ সে সম্পর্কে কিছু জানেনই না_তিনি হলেন ওই ব্যক্তি, যাকে নিয়ে দেশ উত্তপ্ত। তারা অনেকটাই মনকির আর নকিরের মতো!
দেশে যে কিছু উন্নয়ন হয়নি তা নয়। কিন্তু সে উন্নয়নে সরকারের যতটা প্রচেষ্টা রয়েছে, তা নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে কিছু কাজে এবং সরকারের গুটিকয়েক লোকের মুখের কথা ও আচরণে। অর্থাৎ অনেকটাই সরকারি শিশু হাসপাতালের ওই বিড়ালের কাহিনীর মতো। ওই শিশু হাসপাতালে প্রতিদিন শত শত শিশু বিনা মূল্যে, মানসম্মত চিকিৎসা পাচ্ছে। সেখানে রয়েছে শিশুদের থ্যালাসেমিয়া রোগের বিশেষ চিকিৎসা সুবিধা, রয়েছে আধুনিকতম ইনকিউবিটর, শিশু চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগ। অথচ দেখুন তো, দুটো বিড়াল ঢুকতে দিয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের সংবাদ হয়ে বসে আছে!
বাংলাদেশে যারা মন্ত্রী-এমপি হয়ে আসছেন তাঁদের মধ্যে খুব কম ব্যক্তিই আছেন যাঁদের ব্যক্তিগত পয়সায় কমপক্ষে দুটি দামি গাড়ি নেই। এমন সংসদ সদস্য আছেন যিনি অন্যের ওপর একটু বেশি সন্তুষ্ট হলে দামি গাড়ি কিনে উপহার দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন এবং উপহার দিয়ে থাকেন। শত হলেও দেশটি তো এখনো সামন্তপ্রভুরাই চালায়! কিন্তু তার পরও এই শুল্কমুক্ত গাড়ি কেনার মনস্তত্ত্ব আমার কাছে পরিষ্কার নয়। আমরা ব্রিটিশের সময় এবং পাকিস্তানের শাসনাধীনে ভয়ানক সব সামন্তপ্রভু দেখেছি। সত্যি কথা বলতে কি, সেই সামন্তপ্রভুদের নজর এতটা খাটো ছিল না! দৃষ্টি এত দুর্বল ছিল না। ভয় হয়, দেশকে শুল্ক না দিয়ে যেসব প্রতিনিধি মজা পান, শুল্ক না দেওয়াকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে ব্যবসায়ী মনোভাব নিয়ে গাড়ি আমদানি করেন, তাদের নেতৃত্বে আমরা সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব তো?
লেখক : সাংবাদিক
mohshinhabib@yahoo.com
তাঁর এই একটি উক্তি পর্যালোচনা করলে বোঝা যাবে বাংলাদেশের রাজনীতি যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। রাজনৈতিক নেতাদের লেবাসে পরিবর্তন আসতে পারে, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সামান্যতম পরিবর্তন আসেনি। এখনো রাজনীতিবিদরা সংকীর্ণ ব্যক্তিস্বার্থের ঊধর্ে্ব উঠতে পারেননি। একটি কথা এখানে উল্লেখ না করলে অন্যায় হবে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মন্ত্রিপরিষদ গঠনে একটি সাহসী কাজ করেছিলেন। তিনি কিছু অর্থনৈতিকভাবে সৎ মানুষকে (হয়তো পরীক্ষামূলক) মন্ত্রিপরিষদে জায়গা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এটা আজ প্রমাণিত যে মন্ত্রণালয় চালাতে মন্ত্রীর সততা যেমন অপরিহার্য, তেমনি শুধু সততা দিয়ে মন্ত্রণালয় চালানোও সম্ভব নয়।
আগের কথায় আসি। কেন আজও বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে অপবাদ শুনতে হয়? দেশের অধিকাংশ মানুষের মন্ত্রী-এমপিদের বাড়ির আবহ এবং কর্মকাণ্ড সম্পর্কে একটি চিরচেনা দৃশ্য জানা আছে। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা_সব ঋতুতে মন্ত্রী-এমপিদের বাড়ির সামনে, উঠানে, বারান্দায়, বসার ঘরে, এমনকি ডাইনিং টেবিল পর্যন্ত নিজ নির্বাচনী এলাকার এক শ্রেণীর বাটপার, ধূর্ত লোক ঘুরঘুর করে। শুধু নির্বাচনী এলাকা নয়, অনেক ধরনের কানেকশন থেকে তারা মন্ত্রীকে চারপাশ থেকে ঘিরে থাকে। তা থাকুক। জনপ্রতিনিধিদের কাছে মানুষ আসবে, তারা বিভিন্ন সমস্যা থেকে উদ্ধার পেতে জনপ্রতিনিধির দ্বারস্থ হবে, এতে খুব দোষের কিছু নেই। কিন্তু সমস্যা হলো মন্ত্রী-এমপিরা এই গুটিকয়েক মানুষের কাছে অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েন। এ দৃশ্য আমরা আজীবন দেখে আসছি। তাতেও সমস্যা এমন তীব্র হতো না, যদি জনপ্রতিনিধি এ লোকগুলোর কাছে নিজেদের চোখ ও কান জমা না দিতেন। সর্বনাশা ব্যাপার! তারা লাখ লাখ সাধারণ ভোটারের কণ্ঠস্বর শুনতে পান না। এমনকি পত্রিকায় কী লিখেছে, তা পর্যন্ত পাশ থেকে পাকা পাকা কথা বলা জনপ্রতিনিধির ওই প্রিয়ভাজন লোকটির কাছ থেকে তাঁরা জেনে নেন! মানুষ হিসেবে এই জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই অধম নন। কিন্তু নির্বাচিত হয়ে বা ক্ষমতায় গেলেই তাঁদের চার পাশে এমন চিরচেনা একটি বেষ্টনী গড়ে ওঠে, যে বেষ্টনী থেকে নিজেরা বের হতে পারেন না এবং বাকি জনগণ সে বেষ্টনী ভেদ করতে পারে না। ফলে শুল্কমুক্ত গাড়ি, সোনার নৌকা, সোনার ধানের শীষ নিয়ে যখন সারা দেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখনো একজন মানুষ সে সম্পর্কে কিছু জানেনই না_তিনি হলেন ওই ব্যক্তি, যাকে নিয়ে দেশ উত্তপ্ত। তারা অনেকটাই মনকির আর নকিরের মতো!
দেশে যে কিছু উন্নয়ন হয়নি তা নয়। কিন্তু সে উন্নয়নে সরকারের যতটা প্রচেষ্টা রয়েছে, তা নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে কিছু কাজে এবং সরকারের গুটিকয়েক লোকের মুখের কথা ও আচরণে। অর্থাৎ অনেকটাই সরকারি শিশু হাসপাতালের ওই বিড়ালের কাহিনীর মতো। ওই শিশু হাসপাতালে প্রতিদিন শত শত শিশু বিনা মূল্যে, মানসম্মত চিকিৎসা পাচ্ছে। সেখানে রয়েছে শিশুদের থ্যালাসেমিয়া রোগের বিশেষ চিকিৎসা সুবিধা, রয়েছে আধুনিকতম ইনকিউবিটর, শিশু চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগ। অথচ দেখুন তো, দুটো বিড়াল ঢুকতে দিয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের সংবাদ হয়ে বসে আছে!
বাংলাদেশে যারা মন্ত্রী-এমপি হয়ে আসছেন তাঁদের মধ্যে খুব কম ব্যক্তিই আছেন যাঁদের ব্যক্তিগত পয়সায় কমপক্ষে দুটি দামি গাড়ি নেই। এমন সংসদ সদস্য আছেন যিনি অন্যের ওপর একটু বেশি সন্তুষ্ট হলে দামি গাড়ি কিনে উপহার দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন এবং উপহার দিয়ে থাকেন। শত হলেও দেশটি তো এখনো সামন্তপ্রভুরাই চালায়! কিন্তু তার পরও এই শুল্কমুক্ত গাড়ি কেনার মনস্তত্ত্ব আমার কাছে পরিষ্কার নয়। আমরা ব্রিটিশের সময় এবং পাকিস্তানের শাসনাধীনে ভয়ানক সব সামন্তপ্রভু দেখেছি। সত্যি কথা বলতে কি, সেই সামন্তপ্রভুদের নজর এতটা খাটো ছিল না! দৃষ্টি এত দুর্বল ছিল না। ভয় হয়, দেশকে শুল্ক না দিয়ে যেসব প্রতিনিধি মজা পান, শুল্ক না দেওয়াকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে ব্যবসায়ী মনোভাব নিয়ে গাড়ি আমদানি করেন, তাদের নেতৃত্বে আমরা সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব তো?
লেখক : সাংবাদিক
mohshinhabib@yahoo.com
No comments