রাজনৈতিক সফর শুরু-সংবিধান সংশোধনের আহ্বান সু চির
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি সে দেশের সামরিক বাহিনী প্রণীত সংবিধান সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল রোববার মিয়ানমারের উপকূলীয় দাওয়েই শহরে রাজনৈতিক সফরে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। আগামী ১ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় পার্লামেন্টের উপনির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি এ সফর শুরু করেছেন ।
গৃহবন্দীদশা থেকে মুক্তি, রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন ও নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ঘোষণার পর এটা ইয়াঙ্গুনের বাইরে সু চির চতুর্থ রাজনৈতিক সফর।
ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৬১৫ কিলোমিটার দক্ষিণের দাওয়েই শহরের ভেতর দিয়ে গতকাল সু চির গাড়িবহর যাওয়ার সময় রাস্তার দুই পাশে তাঁর হাজারো সমর্থক সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানায়। এ সময় তারা স্লোগান দেয়, ‘মা সু চি দীর্ঘজীবী হোন।’ এ সময় সমর্থকদের অনেকে দলীয় টি-শার্ট পরে। কারও হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। এতে শোভা পাচ্ছে, ‘মা সু চি, তুমি আমাদের প্রাণ।’
সমর্থকদের অভিবাদনের জবাবে সু চি বলেন, ‘যদি আমরা সঠিক পথে এগিয়ে যাই, আমাদের দেশ নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। আমরা এসব সুযোগ হাত ছাড়া করব না।’
শহরে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সমর্থকদের উদ্দেশে সু চি বলেন, ‘সংবিধানে সুনির্দিষ্ট কিছু আইন আছে, যেগুলো জনগণের স্বাধীনতার পরিপন্থী। পার্লামেন্টের মাধ্যমে আমরা এই আইনগুলো বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে প্রাণপণে লড়াই চালিয়ে যাব।’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে সামরিক বাহিনী এই সংবিধান প্রণয়ন করে। ওই সংবিধানে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নিয়োগের ক্ষমতা, জরুরি অবস্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও পার্লামেন্টে এক-চতুর্থাংশ আসনসহ সেনাবাহিনীকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
সু চি অবশ্য এ-ও বলেন, সরকারি সেনা ও বিভিন্ন বিদ্রোহীগোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধ করতে হবে।
১৯৯০ সালের নির্বাচনে সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। কিন্তু তৎকালীন সামরিক জান্তা এই ফল মেনে নেয়নি। তাঁর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। বরং সু চিসহ তাঁর দলের শীর্ষ নেতাদের কারাবন্দী করে রাখে জান্তা। এর পর থেকে নানা অজুহাতে সু চিকে কারা ও গৃহবন্দী করে রাখা হয়। ২০১০ সালের নভেম্বরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। ওই বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচন জান্তার পাতানো—এই অভিযোগ এনে বর্জন করে এনএলডি। নির্বাচন শেষে সেনা-সমর্থিত সরকার গঠন করা হয়। ওই সরকার গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের লক্ষ্যে সংস্কারের ঘোষণা দেয়।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর থেকে কড়াকড়ি শিথিল করে সরকার। দেশকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সু চি ও তাঁর সমমনা দলগুলো আগামী ১ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের উপনির্বাচনে ৪৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সু চি নিজেও একটি আসনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেননি তিনি।
সু চির গতকালের রাজনৈতিক সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এনএলডির এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, এ সফরের মধ্য দিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সুসংগঠিত করা হচ্ছে। বিবিসির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেদক র্যাচেল হারভে বলেন, সু চির এই সফর নিছক প্রশাসনিক সফর নয়। এর গুরুত্ব অনেক। যেখানেই যাচ্ছেন সু চি, তাঁকে ঘিরে সমবেত হচ্ছেন সমর্থকেরা। নেত্রীকে এক পলকের জন্য হলেও দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে শত শত মানুষ। বিবিসি ও রয়টার্স।
ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৬১৫ কিলোমিটার দক্ষিণের দাওয়েই শহরের ভেতর দিয়ে গতকাল সু চির গাড়িবহর যাওয়ার সময় রাস্তার দুই পাশে তাঁর হাজারো সমর্থক সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানায়। এ সময় তারা স্লোগান দেয়, ‘মা সু চি দীর্ঘজীবী হোন।’ এ সময় সমর্থকদের অনেকে দলীয় টি-শার্ট পরে। কারও হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। এতে শোভা পাচ্ছে, ‘মা সু চি, তুমি আমাদের প্রাণ।’
সমর্থকদের অভিবাদনের জবাবে সু চি বলেন, ‘যদি আমরা সঠিক পথে এগিয়ে যাই, আমাদের দেশ নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। আমরা এসব সুযোগ হাত ছাড়া করব না।’
শহরে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সমর্থকদের উদ্দেশে সু চি বলেন, ‘সংবিধানে সুনির্দিষ্ট কিছু আইন আছে, যেগুলো জনগণের স্বাধীনতার পরিপন্থী। পার্লামেন্টের মাধ্যমে আমরা এই আইনগুলো বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে প্রাণপণে লড়াই চালিয়ে যাব।’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে সামরিক বাহিনী এই সংবিধান প্রণয়ন করে। ওই সংবিধানে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নিয়োগের ক্ষমতা, জরুরি অবস্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও পার্লামেন্টে এক-চতুর্থাংশ আসনসহ সেনাবাহিনীকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
সু চি অবশ্য এ-ও বলেন, সরকারি সেনা ও বিভিন্ন বিদ্রোহীগোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধ করতে হবে।
১৯৯০ সালের নির্বাচনে সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। কিন্তু তৎকালীন সামরিক জান্তা এই ফল মেনে নেয়নি। তাঁর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। বরং সু চিসহ তাঁর দলের শীর্ষ নেতাদের কারাবন্দী করে রাখে জান্তা। এর পর থেকে নানা অজুহাতে সু চিকে কারা ও গৃহবন্দী করে রাখা হয়। ২০১০ সালের নভেম্বরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। ওই বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচন জান্তার পাতানো—এই অভিযোগ এনে বর্জন করে এনএলডি। নির্বাচন শেষে সেনা-সমর্থিত সরকার গঠন করা হয়। ওই সরকার গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের লক্ষ্যে সংস্কারের ঘোষণা দেয়।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর থেকে কড়াকড়ি শিথিল করে সরকার। দেশকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সু চি ও তাঁর সমমনা দলগুলো আগামী ১ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের উপনির্বাচনে ৪৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সু চি নিজেও একটি আসনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেননি তিনি।
সু চির গতকালের রাজনৈতিক সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এনএলডির এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, এ সফরের মধ্য দিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সুসংগঠিত করা হচ্ছে। বিবিসির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেদক র্যাচেল হারভে বলেন, সু চির এই সফর নিছক প্রশাসনিক সফর নয়। এর গুরুত্ব অনেক। যেখানেই যাচ্ছেন সু চি, তাঁকে ঘিরে সমবেত হচ্ছেন সমর্থকেরা। নেত্রীকে এক পলকের জন্য হলেও দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে শত শত মানুষ। বিবিসি ও রয়টার্স।
No comments