ভেজাল ওষুধ এবং ওষুধনীতি by ড. আবুল হাসনাত
আমরা জাতীয় পর্যায়ে যেক’টি সেক্টর নিয়ে গর্ববোধ করি তার মধ্যে ওষুধ শিল্প অন্যতম। কিন্তু ইদানীংকালে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ সব সচেতন নাগরিককেই আতঙ্কিত করে তুলেছে। ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ এবং তার প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
ভেজাল ওষুধ সব সময় এবং পৃথিবীর সব দেশেই কম-বেশী ছিল। নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারের ফলে ওষুধের কার্যক্ষমতা লোপ পায় এবং ড্রাগ রেসিসটেনসের সৃষ্টি হয়। বিশ্বে মোটামুটি শতকরা ১০ ভাগ ওষুধ ভেজাল, নিম্নমানের ও জাল মোড়কসম্পন্ন। ২০০৫ সালে বিশ্বে সর্বমোট ভেজাল ওষুধের পরিমাণ ছিল ৩৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার সমমূল্যের এবং ধারণা করা হচ্ছে, এ পরিমাণ ২০১০ সালে ৭৫ বিলিয়ন ইউএস ডলারে পৌঁছবে। এটা অবশ্যই একটা ভয়ঙ্কর সংবাদ সবার জন্য। উন্নয়নশীল দেশে এর পরিমাণ বেশি, তবে উন্নত দেশে একেবারেই কম নয়। নাইজেরিয়ায় ভেজাল মেনেনজাইটিস টিকা ব্যবহারের ফলে প্রায় ২ হাজার ৫শ’ লোক মারা যায়। এবছরও নাইজেরিয়ায় সিরাপে প্রোপাইলিন গ্লাইকলের পরিবর্তে ডাই ইথাইলিন গ্লাইকল ব্যবহারের ফলে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা একবার ১৯৯২ সালে এবং দ্বিতীয়বার কিছুদিন আগেই হয়েছে, যা সবারই জানা। ঘানাতে নোভারটিস কোম্পানির ম্যালেরিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধে (আগস্ট ২০০৯) মূল উপাদানই পাওয়া যায়নি। গত জুনে কানাডায় হৃদরোগে ব্যবহৃত নোভারটিস কোম্পানির একটি ওষুধে ট্যাল্ক পাউডার ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এমনকি চায়না থেকে আমদানিকৃত ভেজাল হেপারিন ব্যবহারের ফলে আমেরিকাতেই ১০০ জনের মৃত্যু হয়।
ভারত এবং চীন ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের জন্য সবার শীর্ষে। ভারতে এর পরিমাণ প্রায় ৩৩ শতাংশ। বাংলাদেশে ১৯৮২ সালের ওষুধনীতির আগে এ ভেজালের পরিমাণ ছিল ৩৭ শতাংশ। বর্তমানে যা শতকরা ২ ভাগেরও নীচে। তবে এই ভেজালের জন্য ভারতের অসাধু ব্যবসায়ীরা অনেকাংশে দায়ী। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের যৌন উত্তেজক এবং গর্ভনিরোধকসহ অনেক নিষিদ্ধ ওষুধ অবৈধভাবে ভারত থেকে এদেশে প্রবেশ করছে। উন্নত দেশগুলোতে এ অপরাধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়। কিছু দিন আগে আমেরিকায় ভেজাল ওষুধ মার্কেটিংয়ের দায়ে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। চীনে মেলামাইন কেলেংকারির জন্য দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশে এ ধরনের প্রচুর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে কিছুই হয় না। এর কারণ আইনের দুর্বলতা।
নকল/ভেজাল ওষুধ উত্পাদন, বিতরণ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রয়ের জন্য শাস্তির মেয়াদ বর্তমান ১৯৮২ সালের ড্রাগ (কন্ট্রোল) অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ১. যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ভেজাল বা নকল ওষুধ উত্পাদন, আমদানি, বিতরণ বা বিক্রয় করে, তবে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় শাস্তি ভোগ করতে হবে। ২. যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ওষুধ উত্পাদন বা বিক্রয় করে তবে তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা একলাখ টাকা জরিমানা বা উভয় শাস্তি ভোগ করতে হবে। পাঠক সহজেই বুঝতেই পারছেন আইনের দুর্বল দিকটি। সরকারি আইনজীবীকে ‘ম্যানেজ’ করা কোন কঠিন কাজ নয়। তাহলে জেল নয় শুধু এক লাখ বা দুই লাখ টাকা দিয়ে এ শাস্তি থেকে পরিত্রাণ পওয়া সম্ভব। তাহলে ২৭ শিশুমৃত্যুর শাস্তি কি এ সামান্য অর্থদণ্ড? তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, এ শাস্তি যেন মৃত্যুদণ্ড এবং কোটি টাকা জরিমানা হয়। ‘বা’ শব্দটি একেবারেই উঠিয়ে দিতে হবে। ১৯৮২ সালের ওষুধ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশের ফলে লক্ষণীয় অর্জন বেশ প্রশংসিত হলেও সময়ের সঙ্গে এবং ওষুধ শিল্পে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সঙ্গে সংগতি রক্ষার জন্য এ অধ্যাদেশ নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা এবং হালনাগাদ করা প্রয়োজন।
ওষুধ প্রশাসন পরিদফতর এবং ড্রাগ টেস্টং ল্যাবরেটরিতে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দেশে দু’টি ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি রয়েছে— একটি ঢাকায় এবং অন্যটি চট্টগ্রামে।অ্যানালাইসিস যা হয় শুধু ঢাকাতে, চট্টগ্রামেরটি আছে শুধু নামমাত্র। বছরে প্রায় এক লাখ ওষুধ অ্যানালাইসিস করার প্রয়োজন হয়, ক্ষমতা আছে পাঁচ থেকে সাত হাজার ওষুধ অ্যানালাইসিস করার। তাই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনে এবং লোকবল নিয়োগ করে ঢাকার ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির ক্ষমতা দ্বিগুণ করা যেতে পারে। তাছাড়া ওষুধের গুণগতমান নির্ণয় এবং বিকাশমান ওষুধ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কমপক্ষে আরও একটি ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা জরুরি ।
প্রতি দুই বছর পর পর ওষুধ কোম্পানিগুলো পরিদর্শন করার আইনিবিধান রয়েছে। এই দুই বছরের মাঝে আর কোনো পরিদর্শন না হওয়াতে কিছু কিছু অসাধু ওষুধ প্রস্তুতকারী এ সুযোগের অপব্যবহার করে, প্রস্তুত করে ভেজাল ওষুধ। তাই শুধু দুই বছর পরপর নয়, মাঝে মধ্যেই কোম্পানিগুলোকে আকস্মিক পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে আইন সংশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া বাজার থেকে স্যাম্পল সংগ্রহের সময় এবং ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার সময় একটা অসাধু নেটওয়ার্ক কাজ করে। বিশেষ করে ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে টপ টু বটম মোটামুটি অধিকাংশ কর্মকর্তা/কর্মচারী এ অসাধু চক্রের অংশ। এ চক্রকে প্রতিরোধ করা এত সহজ কাজ নয়। তাই সরকারকে অনুরোধ করব, ওষুধ প্রশাসন ও ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির কাজকর্ম তদারকির জন্য একটি শক্তিশালী কমিশন বা মনিটরিং কমিটি গঠন করার জন্য। এই কমিটিকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ডাক্তার, ফার্মাসিস্টদের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা যেতে পারে । এটা জনগণের এবং দেশের স্বার্থেই প্রয়োজন।
মিটফোর্ডে খোলা বাজারে প্রায় সব ধরনের ওষুধের কাঁচামাল পাওয়া যায়, যা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। কোম্পানিগুলোকে এলসির মাধ্যমে কাঁচামাল ক্রয় করা বাধ্যতামূলক। খোলা বাজারে ওষুধের কাঁচামাল বিক্রি বন্ধ করা না গেলে নিম্নমানের এবং ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধ অসম্ভব হবে বলেই আমার ধারণা। তাই সরকারকে এ ব্যাপারে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাঝে মধ্যে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া ভারত থেকে যেন অবৈধ পন্থায় কোনো ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ ঢুকতে না পারে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। উপরে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের পরিমাণ অনেকাংশে কমে আসবে।
ভারত এবং চীন ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের জন্য সবার শীর্ষে। ভারতে এর পরিমাণ প্রায় ৩৩ শতাংশ। বাংলাদেশে ১৯৮২ সালের ওষুধনীতির আগে এ ভেজালের পরিমাণ ছিল ৩৭ শতাংশ। বর্তমানে যা শতকরা ২ ভাগেরও নীচে। তবে এই ভেজালের জন্য ভারতের অসাধু ব্যবসায়ীরা অনেকাংশে দায়ী। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের যৌন উত্তেজক এবং গর্ভনিরোধকসহ অনেক নিষিদ্ধ ওষুধ অবৈধভাবে ভারত থেকে এদেশে প্রবেশ করছে। উন্নত দেশগুলোতে এ অপরাধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়। কিছু দিন আগে আমেরিকায় ভেজাল ওষুধ মার্কেটিংয়ের দায়ে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। চীনে মেলামাইন কেলেংকারির জন্য দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশে এ ধরনের প্রচুর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে কিছুই হয় না। এর কারণ আইনের দুর্বলতা।
নকল/ভেজাল ওষুধ উত্পাদন, বিতরণ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রয়ের জন্য শাস্তির মেয়াদ বর্তমান ১৯৮২ সালের ড্রাগ (কন্ট্রোল) অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ১. যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ভেজাল বা নকল ওষুধ উত্পাদন, আমদানি, বিতরণ বা বিক্রয় করে, তবে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় শাস্তি ভোগ করতে হবে। ২. যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ওষুধ উত্পাদন বা বিক্রয় করে তবে তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা একলাখ টাকা জরিমানা বা উভয় শাস্তি ভোগ করতে হবে। পাঠক সহজেই বুঝতেই পারছেন আইনের দুর্বল দিকটি। সরকারি আইনজীবীকে ‘ম্যানেজ’ করা কোন কঠিন কাজ নয়। তাহলে জেল নয় শুধু এক লাখ বা দুই লাখ টাকা দিয়ে এ শাস্তি থেকে পরিত্রাণ পওয়া সম্ভব। তাহলে ২৭ শিশুমৃত্যুর শাস্তি কি এ সামান্য অর্থদণ্ড? তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, এ শাস্তি যেন মৃত্যুদণ্ড এবং কোটি টাকা জরিমানা হয়। ‘বা’ শব্দটি একেবারেই উঠিয়ে দিতে হবে। ১৯৮২ সালের ওষুধ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশের ফলে লক্ষণীয় অর্জন বেশ প্রশংসিত হলেও সময়ের সঙ্গে এবং ওষুধ শিল্পে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সঙ্গে সংগতি রক্ষার জন্য এ অধ্যাদেশ নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা এবং হালনাগাদ করা প্রয়োজন।
ওষুধ প্রশাসন পরিদফতর এবং ড্রাগ টেস্টং ল্যাবরেটরিতে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দেশে দু’টি ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি রয়েছে— একটি ঢাকায় এবং অন্যটি চট্টগ্রামে।অ্যানালাইসিস যা হয় শুধু ঢাকাতে, চট্টগ্রামেরটি আছে শুধু নামমাত্র। বছরে প্রায় এক লাখ ওষুধ অ্যানালাইসিস করার প্রয়োজন হয়, ক্ষমতা আছে পাঁচ থেকে সাত হাজার ওষুধ অ্যানালাইসিস করার। তাই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনে এবং লোকবল নিয়োগ করে ঢাকার ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির ক্ষমতা দ্বিগুণ করা যেতে পারে। তাছাড়া ওষুধের গুণগতমান নির্ণয় এবং বিকাশমান ওষুধ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কমপক্ষে আরও একটি ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা জরুরি ।
প্রতি দুই বছর পর পর ওষুধ কোম্পানিগুলো পরিদর্শন করার আইনিবিধান রয়েছে। এই দুই বছরের মাঝে আর কোনো পরিদর্শন না হওয়াতে কিছু কিছু অসাধু ওষুধ প্রস্তুতকারী এ সুযোগের অপব্যবহার করে, প্রস্তুত করে ভেজাল ওষুধ। তাই শুধু দুই বছর পরপর নয়, মাঝে মধ্যেই কোম্পানিগুলোকে আকস্মিক পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে আইন সংশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া বাজার থেকে স্যাম্পল সংগ্রহের সময় এবং ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার সময় একটা অসাধু নেটওয়ার্ক কাজ করে। বিশেষ করে ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে টপ টু বটম মোটামুটি অধিকাংশ কর্মকর্তা/কর্মচারী এ অসাধু চক্রের অংশ। এ চক্রকে প্রতিরোধ করা এত সহজ কাজ নয়। তাই সরকারকে অনুরোধ করব, ওষুধ প্রশাসন ও ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির কাজকর্ম তদারকির জন্য একটি শক্তিশালী কমিশন বা মনিটরিং কমিটি গঠন করার জন্য। এই কমিটিকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ডাক্তার, ফার্মাসিস্টদের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা যেতে পারে । এটা জনগণের এবং দেশের স্বার্থেই প্রয়োজন।
মিটফোর্ডে খোলা বাজারে প্রায় সব ধরনের ওষুধের কাঁচামাল পাওয়া যায়, যা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। কোম্পানিগুলোকে এলসির মাধ্যমে কাঁচামাল ক্রয় করা বাধ্যতামূলক। খোলা বাজারে ওষুধের কাঁচামাল বিক্রি বন্ধ করা না গেলে নিম্নমানের এবং ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধ অসম্ভব হবে বলেই আমার ধারণা। তাই সরকারকে এ ব্যাপারে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাঝে মধ্যে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া ভারত থেকে যেন অবৈধ পন্থায় কোনো ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ ঢুকতে না পারে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। উপরে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের পরিমাণ অনেকাংশে কমে আসবে।
No comments