পুলিশ-সাংবাদিকসহ আহত দুই শতাধিক
লক্ষ্মীপুরেও পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ ও সাংবাদিক আছেন। দলীয় নেতা-কর্মী, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে চারদলীয় জোটের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী শহরের দক্ষিণ তেমুহনী থেকে মিছিল বের করেন।
মিছিল মূল শহরের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ বাধা দেয়। মিছিলকারীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। তখন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তর তেমুহনী, দক্ষিণ তেমুহনী ও আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনেসহ শহরের কয়েকটি পয়েন্টে নেতা-কর্মীরা সংঘটিত হয়ে মিছিল বের করেন। এসব জায়গায়ও পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বাধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ তেমুহনীতে পুলিশ প্রথমে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনার চেষ্টা করে। তবে পরে গুলি ছুড়লে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে রুবেলকে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান এবং আবুল কাসেম মারা যান বিকেলে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে।
লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন অভিযোগ করেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ চার দলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও গুলি চালিয়েছে। গুলিতে নিহত রুবেল দালাল বাজার ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি ও আবুল কাসেমকে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বলে তিনি দাবি করেন।
সাহাব উদ্দিন আরও জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সোহেল, বিএনপির কর্মী জিল্লুর ও আবুল; ছাত্রদলের কর্মী কামাল ও মোরশেদ এবং ছাত্রশিবিরের কর্মী ইয়াছির আরাফাত, মো. ইব্রাহিম, নুর আলম, খোরশেদ, মো. বাবুল ও সালামসহ কমপক্ষে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের নোয়াখালী ও ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের লাঠিপেটা ও নেতা-কর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন ছয়জন সাংবাদিক। তাঁরা হলেন: দিগন্ত টিভি ও দৈনিক সংবাদ-এর প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান খান, মাছরাঙা টিভি ও যায়যায়দিন-এর জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, দৈনিক আজকালের খবর ও বার্তা সংস্থা এফএনএসের প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম খান, দৈনিক উপকূল প্রতিদিন-এর নির্বাহী সম্পাদক বেলাল হোসেন, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি এম জে আলম, দৈনিক মেঘনার পাড় পত্রিকার শাকের মো. রাসেল।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরওয়ার জানান, চার দলের নেতা-কর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে তিনি নিজেসহ এসআই গোলাম ছরোয়ার, এনামুল হক, আবুল কালাম, মো. ইয়াকুব এবং কনস্টেবল সফিকুল ইসলাম, আনসার ফরিদ উদ্দিন, আহসান উল্যা, মো. জামিল, মো. ইকবাল ও মো. সুরত আলীসহ পুলিশের ২৬ সদস্য আহত হন। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) জমসের আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরাই প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তখন আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি ছোড়ে। তবে নিহতরা কার গুলিতে মারা গেছে তদন্তের পর তা বলা যাবে।’
লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাংসদ আবুল খায়ের ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিনা উসকানিতে পুলিশ চারদলীয় জোটের মিছিলে হামলা চালায়। তাঁদের গুলিতেই বিএনপির দুই নেতা নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে আজ সোমবার লক্ষ্মীপুর শহরে আধাবেলা হরতাল ডাকা হয়েছে।’
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তর তেমুহনী, দক্ষিণ তেমুহনী ও আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনেসহ শহরের কয়েকটি পয়েন্টে নেতা-কর্মীরা সংঘটিত হয়ে মিছিল বের করেন। এসব জায়গায়ও পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বাধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ তেমুহনীতে পুলিশ প্রথমে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনার চেষ্টা করে। তবে পরে গুলি ছুড়লে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে রুবেলকে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান এবং আবুল কাসেম মারা যান বিকেলে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে।
লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন অভিযোগ করেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ চার দলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও গুলি চালিয়েছে। গুলিতে নিহত রুবেল দালাল বাজার ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি ও আবুল কাসেমকে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বলে তিনি দাবি করেন।
সাহাব উদ্দিন আরও জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সোহেল, বিএনপির কর্মী জিল্লুর ও আবুল; ছাত্রদলের কর্মী কামাল ও মোরশেদ এবং ছাত্রশিবিরের কর্মী ইয়াছির আরাফাত, মো. ইব্রাহিম, নুর আলম, খোরশেদ, মো. বাবুল ও সালামসহ কমপক্ষে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের নোয়াখালী ও ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের লাঠিপেটা ও নেতা-কর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন ছয়জন সাংবাদিক। তাঁরা হলেন: দিগন্ত টিভি ও দৈনিক সংবাদ-এর প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান খান, মাছরাঙা টিভি ও যায়যায়দিন-এর জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, দৈনিক আজকালের খবর ও বার্তা সংস্থা এফএনএসের প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম খান, দৈনিক উপকূল প্রতিদিন-এর নির্বাহী সম্পাদক বেলাল হোসেন, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি এম জে আলম, দৈনিক মেঘনার পাড় পত্রিকার শাকের মো. রাসেল।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরওয়ার জানান, চার দলের নেতা-কর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে তিনি নিজেসহ এসআই গোলাম ছরোয়ার, এনামুল হক, আবুল কালাম, মো. ইয়াকুব এবং কনস্টেবল সফিকুল ইসলাম, আনসার ফরিদ উদ্দিন, আহসান উল্যা, মো. জামিল, মো. ইকবাল ও মো. সুরত আলীসহ পুলিশের ২৬ সদস্য আহত হন। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) জমসের আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরাই প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তখন আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি ছোড়ে। তবে নিহতরা কার গুলিতে মারা গেছে তদন্তের পর তা বলা যাবে।’
লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাংসদ আবুল খায়ের ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিনা উসকানিতে পুলিশ চারদলীয় জোটের মিছিলে হামলা চালায়। তাঁদের গুলিতেই বিএনপির দুই নেতা নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে আজ সোমবার লক্ষ্মীপুর শহরে আধাবেলা হরতাল ডাকা হয়েছে।’
No comments