বড় দরপতনে নানা প্রশ্ন
দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা গতকাল রোববার আরেকটি বড় ধরনের দরপতন দেখলেন। যদিও বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে টানা দরপতন চলে আসছে। তবে গতকালের দরপতনটি ছিল সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড়।
তবে ব্যাপক দরপতন হলেও রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে কোনো ধরনের বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেনি।
তবে ব্যাপক দরপতন হলেও রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে কোনো ধরনের বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেনি।
সকাল থেকেই ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশি নিরাপত্তা ছিল। কেউ জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেই পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গতকালের এই দরপতন ছিল অনেকাংশে অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। এর সুনির্দিষ্ট কারণও কেউ জানাতে পারেননি। তবে কেউ কেউ গতকালের এই পতনের জন্য রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দায়ী করেছেন। পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে গতকাল রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দরপতনের পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভীতি বা আতঙ্ক তৈরি হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাই আমার কাছে দরপতনটিকে অযৌক্তিকই মনে হচ্ছে।’
রাজনৈতিক অস্থিরতাও বাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন না মির্জ্জা আজিজ। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না, রাজনৈতিক অস্থিরতা এ ধরনের দরপতনের কোনো কারণ। এর আগে ২০০৬ সালের শেষদিকে দেশে যখন রাজনৈতিক সহিংসতা চলছিল, তখনো এ ধরনের দরপতন ঘটেনি।’
ডিএসইর বাজার তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল তালিকাভুক্ত বড় মূলধন ও ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর শেয়ারেরই বেশি দরপতন ঘটেছে। সেই তুলনায় কম মৌলভিত্তি বা দুর্বল মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর দরপতনের হার বা মাত্রা কম ছিল।
ডিএসইর হিসাব অনুযায়ী, বাজারের প্রতিদিনের সূচকের উত্থান-পতনে বড় ভূমিকা রাখে বড় মূলধনের কোম্পানিগুলো। এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়া-কমা সূচককে প্রভাবিত করে। এসব শেয়ারের বেশির ভাগই গতকাল দাম কমার সর্বনিম্ন স্তরে (সার্কিট ব্রেকার) লেনদেন হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দিনের শুরুতে এসব শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেলে তাতে সূচক পতনমুখী হয়। তাই কেউ কেউ মনে করছেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে লেনদেনের শুরুতে বড় মূলধনের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দামকে সর্বনিম্ন স্তরে নামিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিকল্পিত কোনো কারসাজির ঘটনাও ঘটে থাকতে পারে। বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মির্জ্জা আজিজ বলেন, ‘বড় মূলধন ও মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির মূল্য-আয়ের অনুপাত (পিই রেশিও) আকর্ষণীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় এসব কোম্পানির শেয়ারের ব্যাপক দরপতনের যৌক্তিক কোনো কারণ থাকতে পারে না।’
মির্জ্জা আজিজ আরও বলেন, বড় বাজার মূলধনের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের কেন ব্যাপক দরপতন ঘটল এবং এর সঙ্গে কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ার কেনা বা অন্য কোনো কারসাজির ঘটনা রয়েছে কি না, সেটি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা দরকার।
যোগাযোগ করা হলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দরপতনের পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভীতি বা আতঙ্ক তৈরি হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাই আমার কাছে দরপতনটিকে অযৌক্তিকই মনে হচ্ছে।’
রাজনৈতিক অস্থিরতাও বাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন না মির্জ্জা আজিজ। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না, রাজনৈতিক অস্থিরতা এ ধরনের দরপতনের কোনো কারণ। এর আগে ২০০৬ সালের শেষদিকে দেশে যখন রাজনৈতিক সহিংসতা চলছিল, তখনো এ ধরনের দরপতন ঘটেনি।’
ডিএসইর বাজার তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল তালিকাভুক্ত বড় মূলধন ও ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর শেয়ারেরই বেশি দরপতন ঘটেছে। সেই তুলনায় কম মৌলভিত্তি বা দুর্বল মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর দরপতনের হার বা মাত্রা কম ছিল।
ডিএসইর হিসাব অনুযায়ী, বাজারের প্রতিদিনের সূচকের উত্থান-পতনে বড় ভূমিকা রাখে বড় মূলধনের কোম্পানিগুলো। এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়া-কমা সূচককে প্রভাবিত করে। এসব শেয়ারের বেশির ভাগই গতকাল দাম কমার সর্বনিম্ন স্তরে (সার্কিট ব্রেকার) লেনদেন হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দিনের শুরুতে এসব শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেলে তাতে সূচক পতনমুখী হয়। তাই কেউ কেউ মনে করছেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে লেনদেনের শুরুতে বড় মূলধনের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দামকে সর্বনিম্ন স্তরে নামিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিকল্পিত কোনো কারসাজির ঘটনাও ঘটে থাকতে পারে। বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মির্জ্জা আজিজ বলেন, ‘বড় মূলধন ও মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির মূল্য-আয়ের অনুপাত (পিই রেশিও) আকর্ষণীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় এসব কোম্পানির শেয়ারের ব্যাপক দরপতনের যৌক্তিক কোনো কারণ থাকতে পারে না।’
মির্জ্জা আজিজ আরও বলেন, বড় বাজার মূলধনের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের কেন ব্যাপক দরপতন ঘটল এবং এর সঙ্গে কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ার কেনা বা অন্য কোনো কারসাজির ঘটনা রয়েছে কি না, সেটি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা দরকার।
No comments